ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গী হামলায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে শুধুই কান্না

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ২৭ মার্চ ২০১৭

জঙ্গী হামলায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে শুধুই কান্না

নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ, ২৬ মার্চ ॥ সিলেটের শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গীদের বোমা বিস্ফোরণে নিহত পুলিশ কর্মকর্তা সুনামগঞ্জের চৌধুরী আবু কয়সর মুহাম্মদ এখন দীপুর বাড়িতে সুনসান নীরবতা। শনিবার রাতে শিববাড়িতে জঙ্গীদের গ্রেনেড বিস্ফোরণে তিনি মারা যান। তিনি শহরের নতুনপাড়া এলাকার মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আসদ্দর আলী চৌধুরী মোক্তার সাহেবের ৩য় ছেলে। সাত ভাইবোনের মধ্যে দীপু চৌধুরী তৃতীয়। রাতে কয়সর মুহাম্মদ দীপুর মৃত্যু সংবাদ শোনার পরই পরিবারের লোকজন ছুটে যান সিলেট। সুনামগঞ্জের বাসভবনে ছুটে আসেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা। তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ শাখার ইন্সপেক্টর (সিটি এসবিএর সিআইও ওয়ান) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সৎ, বিনয়ী, ও মেধাবী অফিসার। ছাত্রজীবনে তিনি একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার ও প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার পিতা আছদ্দর মোক্তার ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ১৯৭১ সালে তার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল পাকহানাদাররা। দিপুর মৃত্যুর খবরে তার পরিবারসহ সকল মহলে শোকের মাতম চলছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ছোট ভাই চৌধুরী বাবলু সিলেটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। ছোট ভাই বাবলু ছাড়া পরিবারের বাকিরা সুনামগঞ্জের বাইরে থাকেন। বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত করা। তার বাসাজুড়ে শোকাবহ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিবাহিত দিপুর কোন ছেলে সন্তান ছিল না। ঘটনার সময় তার স্ত্রী লোপা সিলেটে অবস্থান করছিলেন। রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইনে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে এশার নামাজের পর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে জানাজা শেষে হাসন রাজার কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। দীপুর মৃত্যুর খবর শোনার পর প্রতিবেশী খেলার সাথী মোজাম্মল হক মুনিম বলেন, এমন একজন ভাল মানুষ এভাবে মারা যাবেন সেটা কল্পনাও করা যায় না। এই মৃত্যুর মিছিল থামবে কবে উল্লেখ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
×