ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রফেসর ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী

ব্যাংকিং খাতে বিকল্প ভাবনা ভাবতে হবে

প্রকাশিত: ০৩:১৯, ২৭ মার্চ ২০১৭

ব্যাংকিং খাতে বিকল্প ভাবনা ভাবতে হবে

শেখ হাসিনা জাতীয় উন্নয়নে নিবেদিতপ্রাণ। তিনি ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের জন্য ডাক দিচ্ছেন। তাঁর এ উদাত্ত আহ্বান দরিদ্র-হতদরিদ্র মানুষের কর্ণ কুহুরে পৌঁছছে। আসলে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের এই যে উদাত্ত আহ্বান তাকে সফল করতে হলে ব্যাংকিং খাতকে নিয়ে বিকল্প ভাবনা ভাবতে হবে। গত ২০ মার্চ, ২০১৭ অর্থমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, দেশে ৯৩ হাজার গ্রাম থাকলেও ব্যাংকের শাখা আছে মাত্র আট হাজার। এ ব্যাংকগুলো ধনবান শ্রেণীকেই লেনদেন সহযোগিতা করে থাকে। কেননা, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু গ্রামীণ পর্যায়ে ব্যাংকের শাখা খুলে সঞ্চয় ও বিনিয়োগকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে প্রয়াস নিয়েছিলেন। গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নকে সৃজনশীল পদ্ধতিতে বিকাশে বঙ্গবন্ধু নানামুখী কর্মকা-ও পরিচালনা করেছিলেন। দুর্ভাগ্যজনক যে, পঁচাত্তরের নৃশংস ঘটনার পর এ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা থমকে দাঁড়ায়। দেশ হয়ে ওঠে মাৎস্যন্যায়। এদের এ ‘ মাৎস্যন্যায়’ প্রয়াস চলে ’৭৫ থেকে ’৯৫ পর্যন্ত, আবার ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত। আসলে অর্থনীতির বর্তমান চেহারা যে পাল্টে যাচ্ছে তার মূল পুরোধা হিসেবে কাজ করছেন শেখ হাসিনা। এ মাৎস্যন্যায়দের একজন কর্তাব্যক্তি ছিলেন দেশে ও আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত একজন অর্থনীতিবিদ, যিনি ঋণ দেয়ার নাম করে আপদ-বিপদকে কাজে লাগিয়ে পরের সম্পদকে নিজের সম্পদ বলে তৈরিকৃত প্রথার মধ্য দিয়ে আত্মসাত করার ব্যবস্থা করেছেন। এতে দরিদ্র আরও দরিদ্র হয়েছে। এখনও গ্রামীণ ব্যাংকে একজন দক্ষ চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ করা যায়নি। এটি আসলে নতুন আঙ্গিকে পরিচালিত করা না গেলে জনকল্যাণের কাজে লাগবে না। যারা এখনও ড. ইউনূসকে ঘিরে কোন কিছু করার স্বপ্ন দেখেন তাদের মনে রাখা দরকার রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শেখ হাসিনা সবসময়ে জনকল্যাণের বিষয়টি অগ্রাধিকার দেন। ড. ইউনূসের এখন দেশে সামাজিক ব্যবসার নামে আরেকটি ব্যবসা খুলে তা থেকে উদ্ভূত মূলধনকে গরিবের উন্নয়নে ব্যয় করার সঠিক কোন পন্থা দেখাতে পারেনি। বর্তমানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ করে ব্যাংক তাদের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা মেটাতে সচেষ্ট রয়েছে। অধিকাংশ ব্যাংকেরই মূলধন ঘাটতি রয়েছে। দেশে বর্তমানে ৫৬টি ব্যাংক রয়েছে, যার মধ্যে ৩৯টি হচ্ছে বেসরকারী ব্যাংক। এরা আসলে সীমিত সংখ্যক উদ্ভাবনী ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। এ ব্যাংকগুলো যদি সমতল ভূমি রেখে পাহাড়ী অঞ্চলে অধিকতর মনোবিবেশ মাধ্যমে মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ করত যার মাধ্যমে অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো হ্রাস পেয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরিতে সহায়তা করত। অথচ তারা ইঁদুর দৌড় প্রতিযোগিতা করে সীমিত বাজারে অপ্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থার সম্মুখীন হচ্ছে। ব্যাসেল-৩ এর জন্য ব্যাংকগুলোর মূলধন সংগ্রহ করতে বন্ড বাজারে ছাড়াও অনুমতি প্রদান করা উচিত। এদিকে পুঁজিবাজারের শেয়ার মার্কেট ছাড়াও ডেব্ট মার্কেট এবং ডেরিবেটিভ মার্কেট গঠন প্রক্রিয়া শুরু করা দরকার। পুঁজিবাজারে একজন দক্ষ ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেয়া দরকার। আর কতকাল ব্যাংকনির্ভর শেয়ার দ্বারা শেয়ার মার্কেট পরিচালিত হবে। পুঁজিবাজারকে অবশ্যই শক্তিশালী করা বাঞ্ছনীয় দেশের কাক্সিক্ষত শিল্পায়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে জোরদার করার জন্য। এ জন্য অবশ্যই একটি বিগ পুশের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। নচেৎ এভাবে অথর্বের মতো পুঁজিবাজার খালি কাতরাবে ক্ষুদ্র ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা স্বল্পকালীন মুনাফার ধান্ধায় কেবল ফটকাকারবারী হিসেবে নিয়োজিত থাকবে। যে সমস্ত ব্যাংক সঠিকমাত্রার কাজ করতে অসমর্থ হচ্ছে, তারা ক্রাউডিং আউট এফেক্টের মাধ্যমে শেষ হয়ে যাওয়াই ভাল। (সমস্যা হলো বেসকরকারী খাতে ধান্ধাবাজরা নিজেদের স্বার্থে সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে ভাল চলুক তাতে সায় দেয় না। বাংলাদেশে এখনও অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে মোট কর্মসংস্থানের ৮০ ভাগ কাজ করে। ফলে বিশাল সংখ্যক লোককে করের আওতায় প্রত্যক্ষভাবে নেয়া যায় না। পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে দেখা যায় যে, অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ছাড়াও বাংলাদেশে বিশাল সংখ্যক কোটিপতি রয়েছে যারা কর দেন না। পত্রিকায় দেখা যায়, আনুমানিক ২২ লাখ কোটিপতি রয়েছে, টিআইএনধারীর নম্বর যদিও ২৮ লাখ অথচ প্রত্যক্ষ কর দেয় ১৬ লাখ লোক। আরও সরাসরি বললে চাকরিজীবীরা তো কর দিয়ে থাকে। অবস্থা দাঁড়িয়েছে প্রাচীন লোকগাথা নাসিরুদ্দীন শাহের মতো- যদি বিড়াল এক কেজি গোশ্ত খেয়ে থাকে তাহলে ওজন কত, মাঝখান থেকে এনবিআর কেবল অপ্রত্যক্ষ কর বাড়িয়ে চলেছে। দেশ থেকে নামী জার্নালে গবেষণাকর্ম প্রকাশের ক্ষেত্রে সাবসক্রিপশনের ক্ষেত্রেও ভ্যাট ও ট্যাক্স মিলিয়ে ২৫% আদায় করেছে বলে ব্র্যাক ব্যাংকের এক শাখা কেটে নিয়েছে। অন্যদিকে বিদেশ থেকে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে বলে অনেক কথা হচ্ছে। কিন্তু আসল কথা কেউ বলছে না। যারা আমাদের দেশে অর্থ প্রেরণ করে তারা মূলত ব্লু কলার লেবার, এদের ক্ষেত্রেও ট্যাক্স এই সোর্স হিসেবে ১০% কেটে নিচ্ছে। যে বিদেশে বাড়ির কাজকর্ম সহায়তা করে মাসে ১০০ ডলার বৈধ পথে পাঠাচ্ছে এখন ১০০ ডলার থেকে কর বাবদ যখন ১০ ডলার চলে যাচ্ছে তখন তার কাছে কিন্তু ৮শ’ টাকা চলে যাওয়া। আবার বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো প্রতিযোগিতায় থাকে বেনিফিসিয়ারিকে কত কম টাকা দেয়া যায়। ফলে ক্যাশ ডলারের রেটে না দিয়ে যাতে রেট কম সেটি দেয়া হয়। বিদেশের বদলে বাংলাদেশে প্রবাসীদের পরিবারের ওপর একটি সমীক্ষা এনবিআর পরিচালনা করে বুঝতে পারে কিভাবে তাদের ওপর করারোপ না করা। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকও স্টাডি করতে পারে। পাশাপাশি বিদেশের দূতাবাসসমূহ ব্লু কলার লেবারদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করে দেশে বৈধপথে পাঠাতে সহায়তা করতে পারে। বিকাশ বা এ ধরনের যে সমস্ত মোবাইল ব্যাংকিং আছে তাদের কাজকর্ম সঠিক করা বাঞ্ছনীয়। নেত্রী যখন দেশে ক্ষুদ্র সঞ্চয় সংগ্রহে জোর দিচ্ছেন, এটিকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামাতে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার আওতায় আনা উচিত। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের চেয়েও বৃহত্তর কলেবরে এটিকে কেবল সঞ্চয় নয় বরং সামাজিক পুঁজি গঠনের কথা বলেছেন। এই সামাজিক পুঁজিকে যদি ক্ষুদ্র বিনিয়োগ ব্যবস্থার আওতায় সামাজিক উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে আনা যায়, তবে গ্রামীণ অর্থনৈতিক কাঠামোয় সরকার যে সমস্ত নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তার সুফল দেশকে আরও এগিয়ে নেবে এবং মানুষের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগ হবে। সরকার এক্ষেত্রে পল্লী সহায়ক ব্যাংক, ডাকঘর, কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে কমিউনিটি ব্যাংকিং করে ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে ক্ষুদ্র বিনিয়োগে রূপান্তরের ব্যবস্থা করতে হবে। আর তাহলে সরকার যে ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে চেয়েছেন তা সফল হবে। বন্ধুপ্রতিম সাংবাদিক একটি গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘কালো টাকার সন্ধানে’ দেখিয়েছেন যে, দেশে কিভাবে কালো টাকা প্রসারিত হয়। সব দেশেই কালো টাকার সমস্যা আছে। কিন্তু অন্য দেশের তুলনায় এ দেশের সমস্যা হলো টাকাটা দেশে বিনিয়োগ না হয়ে পাচার হয়ে যায়। অথচ এ টাকা দেশে বিনিয়োগ হলে মানুষের কর্মসংস্থান বাড়ত। দেশের মানুষ ও দশের উপকার হতো। যতক্ষণ না প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় কমিউনিটি ব্যাংকিং নামমাত্র মূল্যে সেবা প্রদান ও গ্রহণ করে তা যথাযথভাবে বণ্টন করে প্রতিদানকে ধনাত্মক করবে, ততক্ষণ তা মানুষকে লাভবান করতে পারবে না। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কোপারেটিভ কাজ করলেও শেষপর্যন্ত এগুলো অপ্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনও তার চার্টার চেঞ্জ করে কমিউনিটি ব্যাংকিং-এ সহায়তার পাশাপাশি বিজনেস ইনকিউবেটার স্থাপন করে দুস্থ গ্রামীণ মানুষদের পণ্য বিপণন ও বাজারজাতকরণে সহায়তা করতে পারেন। এ ব্যাপারে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ বাঞ্ছনীয়। কেননা, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে পেটে-ভাতে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক দর্শন বাস্তবায়ন করছেন তাতে অন্যদেরও সক্রিয় হতে হবে। পিকেএসএফএ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ বর্তমানে ‘এনরিচ’ নামে যে প্রকল্পটি গ্রহণ করেছেন এটি একটি হোলিস্টিক এ্যাপ্রোচ। এ প্রকল্পটি পিকে এসএফের পার্টনার অর্গানাইজেশন ছাড়াও অন্য এনজিওগুলো রোল মডেল হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। এনরিচের আওতায় স্বাস্থ্য, সৌরবিদ্যুৎ, শিক্ষা, সচেতন করা, বিশেষায়িত ঋণ কর্মসূচী, বিশেষায়িত সঞ্চয়, প্রকল্প, পণ্য উৎপাদন করা, আবহাওয়ার পরিবর্তন, সামাজিক পুঁজি পুনর্গঠন, যুব সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকা-, সমৃদ্ধি বাড়ি, যারা উন্নয়ন বঞ্চিত মানুষ, উন্নয়ন বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধা, এনরিচ সেন্টার, কমিউনিটি লেভেল এ্যাকশন, তদারকিও মূল্যায়ন। এটি একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প যার মাধ্যমে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ মান মর্যাদা সৃষ্টির স্বপ্নকে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি স্থাপনে নিরলস প্রয়াস গ্রহণ করেছেন। বস্তুত গ্রামীণ ও ভাগ্যাহত মানুষের জন্য কাঠামোগত সংস্কার সাধন করে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার মাধ্যমে বিকল্প ব্যাংকিং ব্যবস্থা হিসেবে কমিউনিটি ব্যাংকিং চালু করে ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে ক্ষুদ্র বিনিয়োগে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। শেখ হাসিনা বলেছেন, মাইক্রো সেভিংস দ্বারা দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে মানুষের উন্নতি বিধান করবেন। বাংলাদেশে বর্তমান সরকার অর্থনীতিকে বিকশিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যা গ্রামীণ অর্থনীতিসহ শহরের অর্থনীতেকে শক্তিশালী করছে। বস্তুত ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের জন্য সামাজিক যোগাযোগ এবং কমিউনিটি ব্যাংকিং প্রয়োজন। এ জন্য অবশ্য একটি তাত্ত্বিক মডেল তৈরি করে মাত্র দুটো গ্রাম নিজস্ব অর্থায়নে ড. আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ ও প্রভাষক দীপিকা চন্দ্রকে নিয়ে পরীক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের যথার্থতা পাওয়া গেছে। ক্ষুদ্র সঞ্চয় যাতে শেষপর্যন্ত মানুষের ভাগ্য ফেরায় ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতে রূপান্তরিত হয় এবং অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকে জোরদার করে, সে জন্য উদ্ধাবনী শক্তিকে মানবকল্যাণে প্রয়োগ ও সমাজের উন্নয়ন কর্মকা-ে পরিচালনা করতে হবে। উগান্ডার ওপর এক গবেষণা থেকে দেখা যায়, সেখানে ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে ক্ষুদ্র বিনিয়োগ কাঠামোতে আনতে না পারায় তা বসতভিটা, গবাদিপশু ক্রয় এবং জমি ক্রয়ে ব্যবহৃত হয়েছিল। আর এ কারণেই ক্ষুদ্র সঞ্চয়কে কমিউনিটি ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ক্ষুদ্র বিনিয়োগে আনতে হবে। পল্লীসঞ্চয় ব্যাংক, ডাকঘর, কর্মসংস্থান ব্যাংক, বিএনএফ একযোগে কোন তদারকি সংস্থার আওতায় স্থানীয় পর্যায়ে বিকল্প ব্যাংকিং হিসাবে যেন বৃহত্তর পরিসরে সমতল-পাহাড়ী উভয় গোষ্ঠীর মানুষের উন্নয়ন, স্বউদ্যোগকে জাগ্রত করে। এদিকে যারা বিভিন্ন উন্নয়নের নামে মহিলা উদ্যোক্তার চেম্বার বা ফেডারেশন খুলেছেন, তারা কত উদ্যোক্তা তৈরি করেছেন তার জবাবদিহিতা দরকার। লেখক : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ [email protected]
×