ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিলেটে চেকপোস্টের কাছে বোমায় দুই পুলিশসহ নিহত ৪

অপারেশন টোয়াইলাইট

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২৬ মার্চ ২০১৭

অপারেশন টোয়াইলাইট

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ টানা তিন দিনের শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির পর সিলেটের জঙ্গী আস্তানায় সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডো দলের নেতৃত্বে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’ পরিচালনাকালে নগরীর দক্ষিণ সুরমার গোটাটিকর এলাকায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় দুই পুলিশসহ চারজন নিহত এবং অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন পুলিশের ইন্সপেক্টর চৌধুরী মোঃ আবু কায়ছর, কলেজ ছাত্র অহিদুল ইসলাম অপু ও স্থানীয় দাঁড়িয়াপাড়ার বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম (৩৮)। নিহত অপর ব্যক্তির পরিচয় মেলেনি, বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। শনিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে ঘটনাটি ঘটে। ঢাকা- ফেঞ্চুগঞ্জ মহাসড়কের গোটাটিকর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাসংলগ্ন পুুলিশ চেকপোস্টে প্রথমে বোমা বিস্ফোরণ হয়। একইস্থানে কিছুক্ষণ পর আরেকটি অবিস্ফোরিত বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সিলেট মহানগর ডিবির ওসি মনিরুল ইসলাম মারাত্মক আহত ও দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি হারুনুর রশীদ আহত হন। ওসমানী হাসপাতালের চিকিৎসক সুবলজ্যোতি চাকমা জানিয়েছেন, আহত মোট ৩৩ জনকে হাসপাতালে নেয়ার পর একজনকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করা হয়। নিহতের লাশ সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে। আর আহতদের একই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হতাহতদের তাৎক্ষণিক পরিচয় মেলেনি। গুরুতর আহত র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ ও মেজর আজাদকে ঢাকার সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে। রাতে সিলেটের হুমায়ুন রশিদ চত্বর থেকে কদমতলী পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এদিকে আতিয়া মহলের জঙ্গীর আস্তানায় অভিযানকালে সেনাবাহিনীর কমান্ডো দল বাড়িটিতে আটকাপড়াদের মধ্যে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ নারী, পুরুষ ও শিশু মিলিয়ে ৭৮ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পুলিশ, সোয়াট, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী মিলিয়ে শতাধিককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেনাবাহিনীর কমান্ডো দলের সঙ্গে জঙ্গীদের ব্যাপক গোলাগুলি হয়। সেখানে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। জঙ্গীরা সেনা কমান্ডোদের লক্ষ্য করে গুলি ও গ্রেনেড হামলা চালায়। অভিযানকালে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী গ্রেনেড সেনা সদস্যদের দিকে ছুড়ে মেরেছিল আত্মঘাতী জঙ্গীরা। জঙ্গী হামলায় দুই সেনা সদস্যসহ তিনজন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেনা সদস্যদের লক্ষ্য করে জঙ্গীদের ছোড়া শক্তিশালী গ্রেনেড বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হলে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। আশপাশের এলাকায় রীতিমতো ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। থমকে গিয়েছিল সেখানকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। পুরো এলাকা কর্ডন করে রেখেছে পুলিশ, র‌্যাব, সোয়াট, বম্ব ডিসপোজাল টিম, আইন, সিআইডির ক্রাইম সিনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিটি শাখা। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছিল। যেভাবে জঙ্গী আস্তানাটির সন্ধান মেলে ॥ জঙ্গীদের গ্রেফতারে সারাদেশেই দীর্ঘদিন ধরেই অভিযান চলছে। বিশেষ করে ঢাকায় র‌্যাব সদর দফতরে আত্মঘাতী জঙ্গী হামলার পর সারাদেশে জঙ্গী আস্তানার সন্ধানে অভিযান জোরদার করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন শিববাড়ি এলাকায় আতিয়া মহল নামের একটি পাঁচতলা বাড়িতে জঙ্গী আস্তানার সন্ধান পায় পুলিশ। পাঁচতলা ওই বাড়ির দুটি ইউনিটে ৩০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। তাতে সমপরিমাণ পরিবার বসবাস করে। বাড়িটির নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে জঙ্গী আস্তানা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ। রাত থেকেই পুলিশ বাড়িটি ঘেরাও করে রাখে। বাড়ির মালিকের বক্তব্য ॥ বাড়িটির মালিক উস্তার আলী জানান, তিনি আমদানি-রফতানির ব্যবসা করেন। তিন মাস আগে কাউছার আলী ও মর্জিনা বেগম নামে দুজন স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দ্বিতীয় ইউনিটের নিচতলার চার নম্বর বাসাটি ভাড়া নেন। সে সময় কাউছার নিজেকে প্রাণ কোম্পানির অডিট অফিসার হিসেবে পরিচয় দেন। সব নিয়ম মেনেই তাদের বাসা ভাড়া দেয়া হয়েছে। দুজনের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপিও রাখা হয়েছে। তারা নিয়মিত ভাড়াও দিয়ে আসছে। বাড়িটিতে পুলিশ, র‌্যাব ও সোয়াট টিমের প্রথম অভিযান ॥ কয়েক দফায় পুলিশ হ্যান্ডমাইক দিয়ে বাড়ির ভেতরে থাকা জঙ্গীদের সঙ্গে কথা বলে। জঙ্গীরা পুলিশকে দ্রুত সোয়াট পাঠানোর কথা বলে। এমন কথাবার্তার মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত তিনটার দিকে পুলিশ আস্তানার ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় আস্তানা থেকে আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা করে জঙ্গীরা। পুলিশও গুলি চালায়। এরপরই আস্তানায় অভিযান চালানো নিয়ে টান টান উত্তেজনা শুরু হয়। ভেতরে থাকা জঙ্গীরা আত্মঘাতী স্কোয়াডের সদস্য বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়। অপারেশনে মারাত্মক ঘটনা ঘটতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকে ঢাকা থেকে আমেরিকায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশের বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াট সিলেটের ওই জঙ্গী আস্তানায় যায়। তারা অভিযানে অংশ নেয়। আস্তানার সন্ধান পাওয়ার পরেই পুলিশ দুর্ঘটনা এড়াতে আশপাশের সব রাস্তা বন্ধ করে দেয়। পুলিশ ও র‌্যাবের দ্বিতীয় দফায় অভিযান ॥ শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পুলিশ ও র‌্যাব আবারও ওই বাড়িতে অভিযান শুরু করে। এর পরই শুরু হয় গোলাগুলি। বাড়ি থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা ও গুলি চালায় জঙ্গীরা। পুলিশও পাল্টা গুলি চালাতে থাকে। এর পর পুলিশ আশপাশের সব রাস্তা বন্ধ করে দেয়। বাড়িটির আশপাশের ছাদে অবস্থান নেন পুলিশ ও র‌্যাবের সশস্ত্র সদস্যরা। শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটার দিকে সোয়াট টিম সিলেটের জঙ্গী আস্তানায় পৌঁছে। বিকেল চারটা থেকেই পুলিশ, র‌্যাব ও সোয়াট অভিযান শুরু করে। টানা দেড়ঘন্টার চেষ্টায় এক পুরুষ আত্মঘাতী জঙ্গীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় সোয়াট। ঘটনা শুরুর পর থেকেই সিলেটে জঙ্গী আস্তানায় পুলিশ, র‌্যাব ও সোয়াটের চালানো অভিযানে সহযোগিতা করতে শুক্রবার রাতেই সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডোর একটি দল সেখানে অবস্থান নেয়। বাড়িটিতে আটকাপড়া বাসিন্দাদের পুলিশ, র‌্যাব ও সোয়াটের উদ্ধার অভিযান ॥ জঙ্গী আস্তানার সন্ধান পাওয়ার পর পরই বাড়িটি ঘেরাও করে ফেলে পুলিশ ও র‌্যাব। এ সময় পাঁচতলা ওই বাড়িটিতে থাকা ৩০ পরিবার এবং পাশের চারতলা বাড়িতে থাকা অন্তত ২৬টি পরিবারের লোকজন আটকা পড়েন। পুলিশের তরফ থেকে মাইকযোগে তাদের ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। শুক্রবার বিকেলে পুলিশ, র‌্যাব ও সোয়াট চারতলা বাড়িটির বাসিন্দাদের মধ্যে অন্তত অর্ধশতকে নিরাপদে সরিয়ে আনতে সক্ষম হয়। আর পাঁচতলা বাড়িতে আটকা পড়ে থাকেন ৩০টি পরিবারের সদস্যরা। উদ্ধারকৃতদের পার্শ্ববর্তী জহির-তাহির মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হয়। অপারেশন টোয়াইলাইট ॥ শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে মেজর রোকন ও মেজর রাব্বীর নেতৃত্বে প্যারাকমান্ডো ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তবে পুরো টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্যারাকমান্ডো ব্যাটালিয়ন-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইমরুল কায়েস। শনিবার সকাল ৮টা থেকে ১৭ পদাতিক ডিভিশনের মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেনের নেতৃত্বে অভিযান শুরু করে প্যারাকমান্ডো টিম। অভিযানের আগে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। সকাল সাড়ে আটটার দিকে আশপাশে থাকা সবাইকে ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে সরিয়ে দেয়া হয়। অভিযানের আগে শনিবার সকালেই বন্ধ বাড়িটির বিদ্যুত ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়। ফায়ার ব্রিগেডের দুটি গাড়ি রাত থেকেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। সকালে সাঁজোয়া যান ও এ্যাম্বুলেন্স সেখানে পৌঁছে। আস্তানা আবিষ্কৃৃত হওয়ার পর থেকেই পুরো এলাকা জেনারেটর দিয়ে আলোকিত করে রাখা হয়। মূল জঙ্গী আস্তানা পাঁচতলা বাড়ি থেকে আটকাপড়াদের উদ্ধার করে প্যারাকমান্ডোরা ॥ সকাল দশটা থেকে বাড়িতে আটকাপড়া মানুষকে বের করে আনা শুরু হয়। নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের আগে বের করা হয়। তাদের মেন রোডে নিয়ে গাড়িতে করে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়। দুপুর ২টার নাগাদ মোট ৭৮ জনকে বাড়ি থেকে বের করে আনেন সেনা সদস্যরা। তাদের কাছের একটি ভবনে রাখা হয়েছে। ওই দুই বাড়ির মধ্যে পাঁচতলা ভবনটিতে ৩০টি ফ্ল্যাটে সমানসংখ্যক পরিবারের বসবাস। সেনা কমান্ডোদের সঙ্গে জঙ্গীদের ব্যাপক গোলাগুলি ॥ ৭৬ জনকে উদ্ধারের পর পরই দুপুর ২টা নাগাদ বাড়িটি থেকে দুবার গুলির শব্দ ভেসে আসে। এর পর বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরিত হতে থাকে। প্রায় একঘণ্টার মধ্যে অন্তত ছয়বার বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসে। বিকট শব্দে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। বেলা আড়াইটার দিকে দুই সেনাসদস্যসহ তিনজনকে আহত অবস্থায় বাড়ি থেকে অন্য সেনা সদস্যরা বের করে আনেন। তাদের দ্রুত এ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা পৌনে ৩টার দিকে আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটে। ভবনের পঞ্চম তলায় ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। গোলাগুলির ঘটনা উঁকি দেয়ার সময় আতিয়া মহলের পার্শ্ববর্তী এক মন্দিরে থাকা শিবুল মালাকার নামে এক ব্যক্তি আহত হন। সেনা সদর দফতরের বক্তব্য ॥ সেনা সদর দফতরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান বলেন, ভেতরে জঙ্গীদের অবস্থান রয়েছে। ফলে প্যারাকমান্ডো ব্যাটালিয়নের অভিযান অব্যাহত আছে। রাতে অভিযান চলবে কিনা তা স্পষ্ট করেননি তিনি। জিম্মিদের উদ্ধারকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। মোট ৭৮ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধারদের মধ্যে ৩০ পুরুষ, ২৭ নারী ও ২১ শিশু রয়েছে। উদ্ধাররা বিদ্যুত, গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় নয় ঘণ্টার বেশি সময় সেখানে আটকা ছিল। এই সেনা কর্মকর্তা বলছেন, ভেতরে থাকা জঙ্গীরাই ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ভবনে কত জঙ্গী তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। জঙ্গীরা বাড়ির উপর-নিচে যাতায়াত করছে। তারা একটি তলায় থাকছে না। ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করে বিভিন্ন তলায় থাকছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) পরিচালকের বক্তব্য ॥ আইএসপিআরের পরিচালক লে. কর্নেল রাশেদুল হাসান জানান, সিলেটে জঙ্গী আস্তানায় অপারেশন টোয়াইলাইট পরিচালনা করছে সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডো ব্যাটালিয়ন। শিববাড়ি পাঠানপাড়া এলাকায় এক ব্যবসায়ীর মালিকানাধীন পাঁচতলা ও চারতলা পাশাপাশি দুটি ভবনে অভিযান চালানো হয়। শুক্রবার রাত থেকেই সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডোদের একটি দল পুলিশ ও র‌্যাবকে সহায়তা করতে সেখানে অবস্থান করছিল। সকালে সেনাবাহিনীর আরেকটি দল সেখানে যায়। এর পর সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে অভিযান শুরু হয়। জঙ্গী আস্তানা থেকে নারী ও শিশুসহ বেসামরিক লোককে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডোরা। অভিযান খুবই সতর্কতার সঙ্গে ধীরগতিতে চালানো হচ্ছে যাতে বেসামরিক লোকজনের কোনও সমস্যা না হয়। প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে জঙ্গী আস্তানা থেকে হাতকড়া ও হেলমেট পরিহিত অবস্থায় এক যুবককে বের করেছে সোয়াট সদস্যরা। ওই জঙ্গীর বয়স ২৫ বছর। তার পরনে সবুজ রঙের টি শার্ট ও লুঙ্গি রয়েছে। জঙ্গী আস্তানার সন্ধান পাওয়ার পর থেকেই সেখানে অবস্থান করছেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
×