ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হকির ক্যাম্পে ২৭ খেলোয়াড়

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ২৬ মার্চ ২০১৭

হকির ক্যাম্পে ২৭ খেলোয়াড়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দলীয় খেলাধুলায় সাফল্যের জন্য চাই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, পাইপলাইনে পর্যাপ্ত খেলোয়াড় তৈরি এবং তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন। সে কাজটিই করার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে)। এশিয়ান পর্যায়ে ভাল অবস্থানে পৌঁছানো সম্ভব বাংলাদেশের, এমন খেলাগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে হকি। বিগত বছরগুলোতে বয়সভিত্তিক এবং সিনিয়র পর্যায়ে বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের একাধিক সাফল্য সেটাই প্রমাণ করে। সম্প্রতি জাতীয় হকি দলের পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বাহফে। প্রায় সাড়ে বারোশো খেলোয়াড় থেকে দীর্ঘ সাত মাসের প্রক্রিয়া শেষে ২৭ নতুন খেলোয়াড়কে বাছাই করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা এসব প্রতিভাবান নবীন হকি খেলোয়াড়দের নিয়ে ঢাকার মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে চলছে জাতীয় দলের জার্মান কোচ অলিভার কার্টজের অনুশীলন ক্যাম্প। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অর্থায়নে ও বাহফে ব্যবস্থাপনায় হকি ট্যালেন্টের খোঁজে দেশব্যাপী প্লেয়ার হান্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উঠে এসেছেন এই ২৭ খেলোয়াড়। সারাদেশ থেকে বাছাইকৃত অনুর্ধ-১৬ ক্যাটাগরির এই খেলোয়াড়কে নিয়ে দেড় মাসব্যাপী চলবে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। কোচ অলিভার কার্টজের তত্ত্বাবধানে ক্যাম্প। তাই এই নবীন খেলোয়াড়দের প্রত্যাশাটাও অনেক বেশি তাদের সবার চোখে এখন একটাই স্বপ্নÑ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ানো। কোচ কার্টজও মনে করেন জাতীয় দলের পাইপলাইন তৈরিতে এসব তরুণ প্রতিভা বেশ কাজে লাগবে। দেড় মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে নবীন হকি খেলোয়াড়রা খুব দ্রুতই উন্নতি করছে বলে জানান দলের দায়িত্বে থাকা জাতীয় দলের কোচ অলিভার কার্টজ। নতুনদের দ্রুত উন্নতিতে বেশ সন্তুষ্টও তিনি। চুক্তির অন্তর্ভুক্ত না হলেও স্বেচ্ছায় এই প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে সময় দিয়ে জাতীয় দলের জন্য পাইপলাইন প্রস্তুত করতে কাজ করছেন বলে জানান তিনি। তবে শুধু প্রতিভা অন্বেষণ করেই হকির মান উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে জানান তিনি। এ জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গড়ে তুলতে হবে হকি উপযোগী পরিবেশ, এমনটাই অভিমত তার। হকি স্টেডিয়ামে বসছে ফ্লাডলাইট ॥ অবশেষে কাটল মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট স্থাপনের জটিলতা। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র পেয়েছে ১০ কোটি টাকার ফ্লাডলাইট স্থাপনের প্রকল্পটি। অচিরেই আহ্ববান করা হবে দরপত্র। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের প্রত্যাশাÑ আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ শেষ হয়ে যাবে ফ্লাডলাইট স্থাপনের কাজ, আর অক্টোবরে সূচি অনুযায়ী তারা আয়োজন করতে পারবে আট জাতি এশিয়া কাপের আসর। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশেনের সহ-সভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ জানান, ‘আশা করছি আগামী মাসের শুরুতেই আহ্বান করা হবে দরপত্র, কাজ শেষ করতে দুই মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়। সে হিসেবে দরপত্র নেয়া ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনার জন্য জুন পর্যন্ত সময় লাগলে জুলাই-আগস্ট নাগাদ কাজ শেষ হতে পারে। আমরা চাইব দ্রুত শেষ হোক কাজ, যাতে নির্বিঘেœ আয়োজন করতে পারি এশিয়া কাপ।’ হকি স্টেডিয়ামের চার কোনায় চারটি টাওয়ারে বসবে লাইটগুলো। মাঠের মাঝখানে লাক্সের মাত্রা হবে ১২৫০। তবে হকি ফেডারেশন শুধু ফ্লাডলাইট স্থাপন করেই বসে থাকতে চায় না। এবারের হকি ওয়ার্ল্ড লীগ রাউন্ড-২ আয়োজনের সময় দেখা গেছে বেশকিছু ঘাটতি। বিশেষ করে মূল টার্ফের পাশে একটি অনুশীলন টার্ফের প্রয়োজনীয়তা প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে বর্তমানে টার্ফ যেখানে আছে, সেটিকে আরও পশ্চিমে সরিয়ে এনে পূর্ব দিকে অনুশীলন টার্ফ স্থাপন করা সম্ভব। ফেডারেশন এটি ছাড়াও ভিআইপি গ্যালারি ও প্রেসবক্সের উন্নয়নও করতে চায়। তাছাড়া মাঠের পাশে খেলোয়াড়দের বসার স্থান ও ড্রেসিং রুমের সংস্কারও প্রয়োজন। কারণ এশিয়া কাপের মতো বড় আসরের ক্ষেত্রে অনেক কিছুতেই ছাড় দেবে না এশিয়ান হকি ও আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশন। এশিয়া কাপ হকি নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ॥ এশিয়া কাপ হকিতে সফল হতে কোচের কাছে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা চেয়েছে হকি ফেডারেশন। জার্মান কোচের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে ২৮ মার্চের পরবর্তী নির্বাহী কমিটির সভায়। জাতীয় নারী হকি চ্যাম্পিয়নশিপ ॥ এদিকে জাতীয় নারী হকি চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হবে আগামী মাসে। ১৬ জেলা অংশ নেবে এই টুর্নামেন্টে। দলগুলোকে আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি খেলার সরঞ্জাম দেবে টুর্নামেন্ট কমিটি। এদিকে টুর্নামেন্ট কমিটি ৪৯ সদস্য থেকে কমিয়ে ১৫ সদস্য করা হয়েছে।
×