ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সোনাকাটায় কুমিরের আক্রমণে পর্যটক নিহত

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২৬ মার্চ ২০১৭

সোনাকাটায় কুমিরের আক্রমণে পর্যটক নিহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ২৫ মার্চ ॥ সোনাকাটা টেংরাগিরি ইকোপার্কে’র কুমিরের নিরাপত্তা বেষ্টনী’র ভেতরে গিয়ে কুমির দেখায় অতি উৎসাহী পর্যটক আসাদুজ্জামান রনি (২৯) কুমিরের আক্রমণের শিকার হয়ে মারা গেছে। ঘটনা ঘটেছে শনিবার দুপুরে। জানা গেছে, শনিবার দুপুর পৌনে একটার দিকে আসাদুজ্জামান রনি, তার খালাত ভাই আল আমিন, রনির বন্ধু আবু সালেহ ও বন্ধুর স্ত্রী লাইজু বেগম এবং পাঁচ বছরের শিশু কন্যা জুঁই মণিকে নিয়ে সোনাকাটা ইকোপার্ক ভ্রমণে আসে। তারা কুমির দেখার জন্য কুমিরের খাঁচায় যায়। নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে অপেক্ষা করে কুমির না দেখে তিন জন মিলে নিরাপত্তা বেষ্টনী’র ভেতরে প্রবেশ করে। পরে পুকুরের পানিতে হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করলে তীরে ওঁৎপেতে থাকা কুমির গিরি (পুরুষ) থাবা দেয়। আসাদুজ্জামান রনি’র হাত কুমির কামড়ে ধরে। এ সময় খালাত ভাই ও বন্ধু রনির অপর হাত ধরে কুমিরের মুখ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। কুমির গিরি তাকে নিয়ে পুকুরের মধ্যে চলে যায়। পরে অপর দু’জন দ্রুত বেষ্টনীর বাইরে চলে আসে। রনির জীবন বাঁচাতে তারা চিৎকার শুরু করলে উদ্ধার করার কোন ব্যবস্থা ছিল না। কুমির গিরি রনিকে মুখে নিয়ে পুকুরের চারদিকে ঘুরতে থাকে। আধাঘণ্টা পরে কুমির রনিকে ছেড়ে দেয়। তখন রনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। বেলা সাড়ে তিনটায় কোস্ট গার্ড ও পুলিশ এবং স্থানীয় জনগণ রশি’র সঙ্গে নোঙ্গর (গেরাফি) বেঁধে দেশীয় পদ্ধতিতে আসাদুজ্জামান রনিকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে। এ সময় সোনাকাটা ইকোপার্কে হাজার হাজার লোক ভিড় করে। উল্লেখ্য, সোনাকাটা ইকোপার্কে কুমির বেষ্টনীতে গিরি ও ছকিনা নামে দু’টি কুমির রয়েছে। নিহত আসাদুজ্জামান রনি’র বাবা গোলাম মোস্তফা। তার বাড়ি মঠবাড়িয়া উপজেলার সবুজনগর গ্রামে। তার বাবা পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান হিসাব রক্ষক। রনি বাংলাদেশ থেকে বিবিএ পাস করে লেখাপড়ার জন্য মালয়েশিয়া যায়। সেখানে কুয়ালালামপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএতে অধ্যায়নরত ছিল। ছাত্র হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ২৫ মার্চ ॥ নালিতাবাড়ীতে নাজমুল স্মৃতি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফায়সাল হোসেনের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। শনিবার দুপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ গেটসংলগ্ন মহাসড়কে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাংবাদিক সামেদুল ইসলাম তালুকদার, প্যানেল মেয়র সুরঞ্জিত সরকার বাবলু, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম খোকন, ফায়সালের মা রেহেনা বেগম, বাবা আজিজুর রহমান প্রমুখ। উল্লেখ্য, ২০ মার্চ সোমবার কালিনগর মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে মাছ ধরার কথা বলে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় কলেজছাত্র ফায়সাল হোসেন।
×