ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্সট্রাক্টরের নিপীড়নের প্রতিবাদ

ভোলায় শিক্ষার্থী নার্সদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২৬ মার্চ ২০১৭

ভোলায় শিক্ষার্থী নার্সদের বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা, ২৫ মার্চ ॥ নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনস্ট্রাক্টটরদের শোসন নির্যাতন দুর্ব্যবহার আর গালমন্দের প্রতিবাদে প্রশিক্ষণরত নার্সরা বিক্ষোভ করেছে। শিক্ষকদের অত্যাচারে জিম্মি শিক্ষার্থীরা নিরুপায় হয়ে শুক্রবার রাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে। অভিযোগ রয়েছে, এলাকার ইনস্ট্রাক্টররা একজন ১০ বছরেরও অধিক সময় নার্সিং ইনস্টিটিউটে চাকরি করায় তারা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে। নার্সিং ইনস্টিটিউটের ৩য় বর্ষের ছাত্রী নুসরাত জাহান নিপা, সুমাইয়া আক্তার ও রুমা আক্তারসহ একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, তারা এখানে শিক্ষা নিতে এসে প্রকৃত শিক্ষা পাচ্ছে না। শুধু ম্যাডামদের গালমন্দ শুনতে হয় তাদের। কারণে অকারণে তাদের বংশ তুলে গালমন্দ করেন ইনস্ট্রাক্টর নন্দা রানী দাস। তার হাত এত লম্বা যে তিনি ইনচার্জকেই তোয়াক্কা করেন না। প্রতিষ্ঠানে ঝাড়ুদার ও মালী থাকা সত্ত্বেও ছাত্রীদের দিয়ে প্রতিষ্ঠানের ঝাড়ু দেয়াসহ ছাদের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করানো হয়। ক্লাসে পড়া না পারলে ছাত্রীদের বাবা-মা তুলে অকথ্য ভাষায় গালি দেন। সামান্য কোন ভুল হলেই পরীক্ষার মার্ক কেটে দেয়া হয়। ছাত্রীরা তাদের পরীক্ষার খাতাও দেখতে পারে না। ভুল করলেই কান ধরে উঠবস করানো হয় তাদের। হাসপাতালে অতিরিক্ত ডিউটি করানো হয়। এমনকি কোন ভুল হলে ছাত্রীদের খাবার টেবিল থেকে উঠিয়ে দেয়া হয়। প্রতিবাদ করলেই পরীক্ষার সময় নম্বর কম দেয়ার হুমকি দিয়ে থামিয়ে রাখা হয় তাদের। এর ভয়ে বিগত কয়েক বছর নির্বিচারে ইনস্ট্রাক্টরদের অত্যাচার নীরবে সহ্য করে যাচ্ছে ছাত্রীরা। অভিযোগ রয়েছে, সরকারী চাকরিতে একই কর্মস্থলে তিন বছরের বেশি থাকার নিয়ম না থাকলেও এখানকার ইনস্ট্রাক্টররা ১০ বছরেরও অধিক একই কর্মস্থলে রয়েছেন। আর এ সুযোগেই তারা নিজের মনমতো প্রতিষ্ঠনটি চালিয়ে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে অন্যতম হলো প্রভাবশালী শিক্ষক নন্দা রানী দাস। ২০১০ সালের জুলাই মাসে তিনি ভোলা নার্সিং ইনস্টিটিউটে ইনস্ট্রাক্টর পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই নন্দা রানী ছাত্রীদের মানসিকভাবে টর্চার করে আসছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইনস্ট্রাক্টর নন্দা রানী দাস অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি এ রকম কোন আচরণ ছাত্রীদের সাথে করেন না। তিনি পড়া লেখার জন্য রাগ করেন। ভোলা নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ রুখসানা পারভীন বলেন, এর আগে তাকে এ রকম কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
×