ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইউরোপে আট ধরনের সবজি রফতানি বন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:০০, ২৬ মার্চ ২০১৭

ইউরোপে আট ধরনের সবজি রফতানি বন্ধ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশী সবজি ও ফলমূল রফতানি বাড়লেও, রফতানি কমছে অন্যতম বড় বাজার ইউরোপে। ব্যাপক চাহিদা থাকলেও সবজির চালানে ক্ষতিকর জীবাণু পাওয়ায় পানসহ আট ধরনের সবজি ও ফলমূল ইউরোপে রফতানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। এ অবস্থায় রফতানির বাধা নিরসনে চুক্তিতে চাষাবাদের পাশাপাশি, পুরান ঢাকার শ্যামপুরে ল্যাবসহ অত্যাধুনিক প্যাকিং হাউস নির্মাণ করেছে সরকার। তবে পরিচালনার নীতিমালা তৈরি ও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ না হওয়ায় চালু হয়নি এটি। চার বছর আগেও রফতানি হওয়া সবজির ৫২ শতাংশ যেত ইউরোপে। তবে সালমোনেলা ভাইরাস পাওয়ার পর ২০১৪ সাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ থেকে পান আমদানি বন্ধ করে দিলে বৃহৎ এ বাজারে সবজি রফতানিতে প্রথম ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এরপর সবজির চালানে ক্ষতিকর জীবাণু ও পোকামাকড় পেয়ে আট ধরনের সবজি ও ফলমূল রফতানি বন্ধের হুঁশিয়ারি দেয় ইউরোপ। এ অবস্থায় স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা এড়াতে এসব সবজি রফতানিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। সবজি ও ফলমূল রফতানিকারক সমিতি সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনসুর বলেন, শাক-সবজি আন্তর্জাতিক মানের করার জন্য যে সাপোর্ট বাংলাদেশে থাকার কথা, এই সাপোর্টগুলো বাংলাদেশে নেই। বর্তমানে রফতানিকারকরা স্বউদ্যোগে সবজি প্যাকিং ও গ্রেডিং করলেও তা মানসম্মত নয়। তাই রফতানি হওয়া সবজির গুণগত মান নিশ্চিতে ১৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউস নির্মাণ করেছে সরকার। কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউসের প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী বলেন, নীতিমালা ও পূর্ণাঙ্গ জনবলের অভাবে এটি চালু হয়নি। আশা করা যায় ৩০ জুন ২০১৭ এর ভিতরে পুরো দমে কাজে আসবে।
×