অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণের মূল লক্ষ্য হলেও সেদিকে নজর কমই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর। বরং এসব ব্যাংক অতি উৎসাহী হয়ে ঋণের সিংহভাগই দিচ্ছে বড় উদ্যোক্তাদের।
ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পর্ষদের দাবি, এসএমই ঋণের প্রবৃদ্ধি আছে এবং তা বাড়বে। আর কিছুটা দায় চাপালেন পরিসংখ্যানগত ভুলের ওপর। বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যাংকগুলো তাদের লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। তাই কৃষির মতো এসএমই বিনিয়োগেও লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেয়া উচিত।
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক। দেশের সর্ববৃহত এই ব্যাংকটি ছড়িয়ে আছে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সে হিসেবে ব্যাংকটির ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা ঋণ বেশি হবে এমনটাই প্রত্যাশিত। তবে অবাক করার বিষয় হলো এ খাতে ব্যাংকটির মোট ঋণের মাত্র ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ গেছে এসএমই খাতে। রূপালী ব্যাংক বিতরণ করেছে মাত্র ১৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ, জনতা ২৪ শতাংশ। আর সর্বনিম্ন অগ্রণী ব্যাংক দিয়েছে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। অবশ্য অগ্রণীর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দাবি এতে পরিসংখ্যানগত ত্রুটি রয়েছে। সর্বাধিক ঋণ বিতরণকারী জনতা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দাবি এ খাতে তাদের প্রবৃদ্ধি আছে আর সামনের দিনগুলোতে তা আরও বাড়বে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ব্যাংকগুলো তাদের লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। যুগ যুগ করে পরিচর্যার অভাবে এই ব্যাংকগুলোর এসএমই ঋণ বিতরণ পরবর্তী মনিটরিং ব্যবস্থা খুবই নাজুক। তাই বাধ্য হয়েই তাদের আগ্রহ বেড়েছে বড় বড় ঋণ গ্রহীতার দিকে। আর সিনিয়র এই ব্যাংকার মনে করেন, কৃষির মতো এসএমইতেও ব্যাংকগুলোকে লক্ষ্যমাত্রা বেধে দেয়া উচিত। তবে তার আগে মানব সম্পদ উন্নয়নেরও ওপর জোর দেন তিনি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: