ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকল্পে অর্থছাড় কমছে

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ২৬ মার্চ ২০১৭

প্রকল্পে অর্থছাড় কমছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশের অর্থছাড়ের পরিমাণ কমেছে। বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ছাড় হয়েছে ১৯৫ কোটি ২০ লাখ ৯০ হাজার ডলার। এর মধ্যে ঋণ প্রায় ১৭২ কোটি ৭৮ লাখ ডলার এবং অনুদান প্রায় ২২ কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে মোট অর্থছাড় হয়েছিল ২০৭ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ডলার। এর মধ্যে ঋণ প্রায় ১৭৩ কোটি ৮৩ লাখ ৬০ হাজার এবং অনুদান পায় ৩৩ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এক্ষেত্রে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে অর্থছাড় কমেছে প্রায় ১১ কোটি ৯৬ লাখ মার্কিন ডলার। এর কারণ হিসেবে ইআরডির এক কর্মকর্তা জানান, এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। কোন মাসে অর্থছাড়ের পরিমাণ বাড়ছে, আবার কোন মাসে কমবে। যেমন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রের অর্থছাড় শুরু হলেও এ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় হবে। চলতি অর্থবছরের আট মাসে প্রতিশ্রুতি এসেছে ৩৪১ কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ঋণ প্রায় ৩০৯ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং অনুদান পায় ৩১ কোটি ৮৮ লাখ ২০ হাজার ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে প্রতিশ্রুতি এসেছিল ১৭২ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার। এর মধ্যে ঋণ প্রায় ১৩৯ কোটি ৬৮ লাখ ২০ হাজার ডলার এবং অনুদান প্রায় ৩২ কোটি ৭৯ লাখ ৭০ হাজার ডলার। চলতি অর্থবছরে প্রতিশ্রুতি বেশি আসার কারণ হিসেবে ইআরডি বলেছে, শুধু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র প্রকল্পেই রাশিয়ার কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি এসেছে ১১৩ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার, যা এত বড় প্রতিশ্রুতি এর আগে কোন অর্থবছরে ছিল না। এটি একটি ব্যতিক্রমী প্রকল্প বলা যায়। অন্যদিকে গত আট মাসে বিদেশী ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে ৭০ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার ডলার। এর মধ্যে আসল প্রায় ৫৬ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং সুদ প্রায় ১৪ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার। গত অর্থবছরের একই সময় ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৬৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর মধ্যে আসল প্রায় ৫৬ কোটি ৫৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং সুদ প্রায় ১২ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার। সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে বৈদেশিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রায় আড়াই গুণ বেশি প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। এছাড়া অর্থছাড়ের লক্ষ্য রয়েছে ৪১৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার এবং ঋণ পরিশোধের লক্ষ্য রয়েছে ১৩৪ কোটি ডলার।
×