ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা নির্যাতন

মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক সত্যানুসন্ধান মিশন পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ২৬ মার্চ ২০১৭

মিয়ানমারে আন্তর্জাতিক সত্যানুসন্ধান মিশন পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্ত করবে। রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে রোহিঙ্গাদের হত্যা, ধর্ষণ এবং নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ তদন্তে একটি আন্তর্জাতিক সত্যানুসন্ধান মিশন পাঠাতে শুক্রবার একমত হয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ। খবর বিবিসির। কিন্তু সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত হিন লিন ‘এ পদক্ষেপ মেনে নেয়া যায় না’ বলে তা প্রত্যাখ্যান করেন। মিয়ানমার বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বলে জানান তিনি। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ ভোট ছাড়াই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্তের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল। এতে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের জন্য দায়ীদের পূর্ণ জবাবদিহিতা এবং নিপীড়নের শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। চীন ও ভারত জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের সিদ্ধান্ত সমর্থন করেনি। অন্যদিকে মানবাধিকার কর্মীরা এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে এটি পূর্ণ আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন নয় বলে দুঃখ প্রকাশ করেছে তারা। সেইসঙ্গে সরকারকে তদন্তে সহযোগিতা করার আহ্বানও জানিয়েছে। গত অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্য থেকে কয়েকজন রোহিঙ্গার সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে গত মাসে জাতিসংঘের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের গণহারে হত্যা করছে, ধর্ষণ করছে। এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের নামান্তর বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ জরুরী ভিত্তিতে নিরপেক্ষ সত্যানুসন্ধানী টিম মিয়ানমারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ তদন্ত দলটি সেপ্টেম্বরেই আরও নতুন তথ্য দেবে এবং বছরের শেষ নাগাদ পূর্ণ প্রতিবেদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বিবিসির মিয়ানমার বিষয়ক সংবাদদাতা বলেছেন, মিয়ানমার এখনও এ তদন্ত আটকে দিতে পারে। মিয়ানমারের নেত্রী আউং সান সুচির দলের এক মুখপাত্র সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ‘অতিরঞ্জিত’ আখ্যা দিয়েছেন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুটি মিয়ানমারের ‘অভ্যন্তরীণ’ বিষয়, ‘আন্তর্জাতিক’ নয় বলে মন্তব্য করেছেন। আফ্রিকায় ১১ কোটি ৬০ লাখ শিশুকে পোলিও টিকা দেয়া হবে পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার ১৩টি দেশে ১১ কোটি ৬০ লাখ শিশুকে পোলিও টিকা দেয়া হবে। এসব দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া পোলিও মোকাবেলায় এক লাখ ৯০ হাজারের বেশি টিকা দানকারি এ কাজে অংশ নেবেন। জাতিসংঘের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক শুক্রবার একথা জানান। খবর এএফপি’র। এ মহাদেশে ছড়িয়ে পড়া পোলিও মোকাবেলায় সমন্বিত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বেনিন, ক্যামেরুন, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, শাদ, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকান অব কঙ্গো, গিনি, লাইবেরিয়া, মালি, মৌরিতানিয়া, নাইজার, নাইজেরিয়া ও সিয়েরালিওনে একযোগে পাঁচ বছরের কম বয়সী সকল শিশুকে টিকা দেয়া হবে। হক বলেন, আফ্রিকায় এ যাবতকালের মধ্যে এ ধরনের যত পোলিও টিকা দান কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে এটি সবচেয় বড় কর্মসূচী। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জাতিসংঘ শিশু বিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ জানায়, এ মহাদেশে বিস্তার লাভ করা পোলিও মোকাবেলায় সমন্বিত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ১৩টি দেশের পাঁচ বছরের কম বয়সী সকল শিশুকে একযোগে পোলিও টিকা দেয়া হবে।
×