ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আইপিইউ সম্মেলন কয়েক এলাকা ভিক্ষুকমুক্ত রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২৫ মার্চ ২০১৭

আইপিইউ সম্মেলন কয়েক এলাকা ভিক্ষুকমুক্ত রাখতে ভ্রাম্যমাণ আদালত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলন উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হোটেল সোনারগাঁও, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি), জাতীয় সংসদ ভবন, গুলশান ও বনানীর অভিজাত হোটেল এবং সংলগ্ন এলাকা ভিক্ষুক ও ভাসমান লোকমুক্ত রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণলায়কে চিঠি দিয়েছে সংসদ সচিবালয়ের আইপিএ অনুবিভাগ। আইপিইউ ১৩৬তম সম্মেলন আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন এক ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আগামী ১ থেকে ৫ এপ্রিল পাঁচ দিনের এ সম্মেলনটি বাংলাদেশের ৪৬ বছরের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক সম্মেলন। আইপিইউভুক্ত ১৭১টি দেশের মধ্যে ১৩৫টি দেশের মন্ত্রী-এমপিসহ দুই হাজারেরও বেশি অতিথি অংশ নেবেন এ সম্মেলনে। এছাড়া সম্মেলন কাভার করতে বিভিন্ন দেশের দুই শতাধিক সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক আসবেন। জানা গেছে, সম্মেলনে যোগ দিতে বিদেশী অতিথিরা ২২ মার্চ থেকে আসতে শুরু করেছেন। অতিথিদের থাকার জন্য ইতোমধ্যে রাজধানীর এয়ারপোর্ট রোড, কাওরান বাজার, গুলশান ও বনানীর ১৫টি অভিজাত হোটেলে বুকিং দেয়া হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে এসব আবাসস্থল এবং চলাচলের জায়গাগুলোতে ভিক্ষুক ও ভাসমান লোকদের কারণে অতিথিরা যাতে কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয় এবং দেশের ভাবমূর্তি যাতে অক্ষুণœ থাকে সে জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। চিঠি পেয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ও ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষিত এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। এ প্রসঙ্গে সমাজসেবা অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক ও ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচীর পরিচালক সৈয়দা ফেরদাউস আক্তার জনকণ্ঠকে বলেন, রাজধানীতে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিতদের পুনর্বাসনে সরকারের কর্মসূচী চলমান রয়েছে। আইপিইউ সম্মেলনের সঙ্গে দেশের ভাবমূর্তির বিষয়টি জড়িত। তাই এ সম্মেলনকে সফল করতে ঢাকা শহরের কয়েকটি এলাকাকে তিনটি জোনে বিভক্ত করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এলাকাগুলো হলোÑ জোন-১ বিমানবন্দর এলাকা ও হোটেল র‌্যাডিসন; জোন-২ গুলশান-বনানীর কূটনৈতিক ও দূতাবাস এলাকা এবং জোন-৩ হোটেল সোনারগাঁও, হোটেল রূপসী বাংলা ও বেইলি রোড। এছাড়া আইপিইউ সম্মেলনস্থল বিআইসিসি ও সংসদ ভবন এলাকাও ভিক্ষুক ও ভাসমান লোকমুক্ত রাখা হবে। তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে ভিক্ষারত অবস্থায় কাউকে পাওয়া গেলে তাদের সরকারী আশ্রয় কেন্দ্রে পুনর্বাসনের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুধু আশ্রয় কেন্দ্রেই নয়, তাদের নিজ নিজ এলাকায় নাগরিক সুবিধা প্রদানসহ আর্থিক সুবিধাও দেয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে নিয়ে গঠিত সবচেয়ে বড় সংস্থা আইপিইউ। এ সংস্থাটি সংসদীয় গণতান্ত্রিক দেশগুলোর গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে। বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে এ সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। আগামী ১ এপ্রিল জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। জাতীয় সংসদ সচিবালয় ও আইপিইউ যৌথভাবে এ সম্মেলন আয়োজন করছে। এরপর প্রতিদিন কয়েকটি সেশনে ভাগ হয়ে চলবে সম্মেলন।
×