ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গৌরনদী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র

সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ ছয় বছর

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ২৫ মার্চ ২০১৭

সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ ছয় বছর

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ একজন এ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসকের অভাবে গৌরনদী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে সিজারিয়ান অপারেশন। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার গরিব পরিবারের প্রসূতি মা ও তাদের স্বজনরা। জানা গেছে, ২০১১ সাল থেকে এখানে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্র্তৃপক্ষের কোন নজরই নেই। সূত্রমতে, ২০০২ সালে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের তৎকালীন মহাপরিচালক ফজলুর রহমান হাওলাদার তার নিজ এলাকার গরিব মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে গৌরনদী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সিজারিয়ান অপারেশন চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ জন্য তিনি এখানে একটি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার স্থাপনসহ একজন গাইনী চিকিৎসক ও একজন এ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক নিয়োগ করেন। চিকিৎসক ও কর্মচারীদের বসবাসের জন্য বিপুল অর্থ ব্যয়ে গৌরনদী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পাশেই নির্মাণ করা হয় দুইটি আধুনিক ভবন। এছাড়া একই সময়ে রোগীদের হাসপাতালে আনা নেয়ার জন্য প্রদান করা হয় একটি নতুন এ্যাম্বুলেন্স। জানা গেছে, ২০০২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত একটানা নয় বছরের অধিক সময়কাল যাবত এ কেন্দ্রে চলে সিজানিয়ান অপারেশন। প্রসাবকালীন সমস্যা দেখা দিলে গৌরনদী, কালকিনি, আগৈলঝাড়া, উজিরপুরসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার গরিব পরিবারের প্রসূতি মায়েরা এখানে বিনামূল্যে সিজারিয়ান অপারেশনের সুযোগ পেতেন। কিন্তু ২০১১ সালের শেষের দিকে আকস্মিকভাবে অন্যত্র বদলি হয়ে যান এ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসক ডাঃ মাহাবুবুর রহমান। এরপর থেকে শুধু একজন এ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসকের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় গৌরনদী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সিজারিয়ান অপারেশন। ফলে বিপাকে পড়েছেন এলাকার গরিব লোকজন। বাইরের কোন ক্লিনিকে একজন প্রসূতি মায়ের সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য খরচ হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। যে অর্থ গরিব মানুষের পক্ষে যোগার করা কোনক্রমেই সম্ভব হচ্ছে না। যে কারণে এলাকার অনেক প্রসূতি মা বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ থাকার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে গৌরনদী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের অপারেশন থিয়েটারের মূল্যবান যন্ত্রপাতি।
×