স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিনা নোটিসে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানীর রামপুরায় একটি গার্মেন্টেসের কর্মীরা দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে গামের্ন্টস শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয়গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ পুরো এলাকা রণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা, শ্রমিকসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছে। পরে পুলিশ টিয়ারশেল গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অবরোধের ফলে ডিআইটি রোড ও প্রগতি সরণির রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে মালিবাগ থেকে বাড্ডা পর্যন্ত ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় অফিসমুখী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা হেঁটে গন্তব্যস্থলে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রামপুরা ‘লিরিক গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ’ নামের তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে ও বকেয়া বেতনের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে কয়েক শত শ্রমিক বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনের সামনে দুই দিকের রাস্তা আটকে বসে পড়লে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় সেখানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় রামপুরা হয়ে ডিআইটি রোড ও প্রগতি সরণিতে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে যায়। যানজটে আটকে পড়ে শিক্ষার্থী ও অফিসগামীরা গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যস্থলে রওনা দেন। মূহূর্তে মধ্যে ঢাকার পূর্ব অংশের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক বন্ধ থাকায় মালিবাগ থেকে বাড্ডা পর্যন্ত ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া জানান, রামপুরায় পুলিশের সঙ্গে গার্মেন্টকর্মীদের সংঘর্ষে আহত ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যাদের মধ্যে এসআই মনিরুল জামান খানসহ ৪ পুলিশ সদস্যও রয়েছে। আহত গার্মেন্টকর্মীরা হচ্ছেনÑ রহিমা (৩৫), শিউলি (৩০), নার্গিস (২৪), ঝর্না (২৫), শাহিদা (৩৫) ও রাসেল (২৪)। বাচ্চু বলেন, গার্মেন্টস কর্মীরা ছররা গুলিতে। আর পুলিশ সদস্যরা ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন।