ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে কর্মসূচী

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২৪ মার্চ ২০১৭

খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে কর্মসূচী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রশিক্ষিত প্রায় আড়াইহাজার জনবলকে নিয়োগ না দিলে আগামী ৫ মে থেকে অনশনে যাবে স্যানিটারি ইন্সপেক্টরশিপ ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশ (এসআইডব্লিউএবি)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা অনশনের এ কর্মসূচী ঘোষণা করেন। তারা বলেছেন, জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে অথবা সরকারের কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডগুলোতে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকের পদ সৃজন করে প্রশিক্ষিত জনবলকে কাজে লাগাতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি এ এফ জুনায়েদ আহমদ বলেন, খাদ্যের ভেজাল রোধে সরকার ২০১৩ সালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠন করে। কিন্ত সরকারের এই কর্মসূচী বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে যে প্রশিক্ষিত স্যানিটারি ইন্সপেক্টররা রয়েছেন গত প্রায় তিন বছরেও তাদের কাজে লাগানো হয়নি। তিনি বলেন, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদের জন্য স্বাস্থ্য সহকারীদের প্রতিবছর সরকারী অর্থে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এতে প্রতিবছরই প্রশিক্ষণ বাবদ সরকারের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। কিন্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এই জনবলকে কোন কাজেই লাগানো হচ্ছে না। জুনায়েদ আহমদ আরও বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত আইপিএইচ ল্যাব কর্তৃক খাদ্যের নমুনা পরীক্ষার ফল থেকে দেখা গেছে, খাদ্যে ৫০ ভাগ ভেজাল পাওয়া গেছে। আবার কোন কোন খাদ্যপণ্যে ভেজালের পরিমাণ শতভাগ। সেই ভেজালের পরিমাণ গত কয়েক বছরে আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ আগে যেখানে প্রতি থানায় একজন খাদ্য পরিদর্শক ছিল সেখানে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নেয়ার পর প্রতি থানার পরিবর্তে প্রতি জেলায় দুইজন করে জনবল নিয়োগ দিয়েছে। এটি কার্যত খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রহসনমূলক আচরণ কি না সেটি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
×