ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্পকলার নাট্যশালায় জ্যাজ মিউজিকের সুর মূর্ছনা

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২৪ মার্চ ২০১৭

শিল্পকলার নাট্যশালায় জ্যাজ মিউজিকের সুর মূর্ছনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যের সীমারেখা ভেঙ্গে যায় সুরের সৌন্দর্যে। শ্রোতার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে সুখময়তা অনুভবের মাঝেই আছে সে সীমানা পেরোনোর চাবিকাঠি। সে সুবাদে সীমানা ছাড়ানো জ্যাজ মিউজিকের সুর শুনতে পেল রাজধানীর শ্রোতারা। পাশ্চাত্যের গানে মুগ্ধ হলো প্রাচ্যের সুর রসিকরা। আফ্রো-আমেরিকান ঘরানার সঙ্গীতের এ জনপ্রিয় ধারাটি উপভোগের সুযোগ পেল কয়েক শ’ সঙ্গীতানুরাগী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় ভেসে বেড়াল জ্যাজ মিউজিকের সুর মূর্ছনা। অনুষ্ঠিত হলো ‘এ রিটার্ন টু দ্য রুট’ শীর্ষক সঙ্গীতানুষ্ঠান। মনোমুগ্ধকর পরিবেশনাটি উপস্থাপন করে লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জনপ্রিয় জ্যাজ অর্কেস্ট্রা দল ‘দ্য ডোনাট কিংস’। জ্যাজ গানের এ সঙ্গীতসন্ধ্যার আয়োজন করে ২৪তম বিসিএস ফোরাম। সম্মিলিত প্রয়াসের এ সঙ্গীত আয়োজনে স্যাক্সোফোনের চনমনে সুরের সঙ্গে পিয়ানো ও বাঁশির মিঠে সুর, গিটারের নিনাদ এবং ড্রাম ও কি-বোর্ডের তালবাদ্য শ্রোতার মাঝে ছড়িয়েছে উচ্ছ্বাস। বাণীর সঙ্গে সুরের সহযোগে পরিবেশনায় অংশ নেয় ২২ সদস্যের দলটি। শেকড়ের সন্ধান করা এ সঙ্গীতাসরে শোনা গেছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের গানের বাণীও। সেই সঙ্গে ছিল নির্মলেন্দু গুণের ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো’ কবিতার আবৃত্তি। প্রায় দেড় ঘণ্টার সঙ্গীত আসরটি সব মিলিয়ে শ্রোতার অন্তরে ছড়িয়েছে প্রশান্তির পরশ। তাদের পরিবেশনায় ছিল বিখ্যাত শিল্পীদের কালজয়ী কিছু গান। এগুলোর মধ্যেÑ গ্লেন মিলারের ‘ইন দ্য মুড’, মেনার্ড ফার্গুসনের ‘ফক্স হান্ট’, দ্য বিটলসের ‘গড টু গেট ইউ ইন টু মাই লাইফ’, ফ্র্যাঙ্ক সিনত্রার ‘আই হ্যাভ গট ইউ আন্ডার মাই স্কিন’, স্টিভ ওয়ান্ডারের ‘ইজন’ট সি লাভ মি’, স্ট্যান কেন্টনের ‘মাই ওয়ান এ্যান্ড অনলি লাভ’, ওয়েসিসের ‘ওয়ান্ডার ফল’। অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। সঙ্গীতায়োজন শেষে তিনি জ্যাজ দলটির সবাইকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করেন। সঙ্গীতানুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সালমা খুকি ও সৈয়দ মুনতাসির মামুন। বনানী মাঠে স্বাধীনতা বইমেলা ॥ বইয়ের অনুরাগীদের আগমনে মুখরিত হলো রাজধানীর বনানী রাজউক মাঠ। বৃহস্পতিবার থেকে এ মাঠে শুরু হলো স্বাধীনতা বইমেলা। বৈকালিক ভ্রমণে বের হওয়া উৎসুক নাগরিকরাও জড়ো হয়েছিলেন এ বইমেলায়। ঘুরতে ঘুরতে সংগ্রহ করেছেন নিজের মনকে টেনে নেয় এমন বইটি। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যৌথভাবে সপ্তাহব্যাপী এ বইমেলার আয়োজন করেছে জ্ঞান ও সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশনা সমিতি এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গুলশান বিভাগ। মেলার উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য একেএম রহমত উল্লাহ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কালের কণ্ঠ সম্পাদক ও কথাশিল্পী ইমদাদুল হক মিলন। সভাপতিত্ব করেন জ্ঞান ও সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশনা সমিতির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেলার অন্যতম আয়োজক ডিএমপির গুলশান বিভাগের ডিসি ও লেখক মোশতাক আহমেদ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সমিতির নির্বাহী পরিচালক কামরুল হাসান শায়ক। প্রথমবারের মতো বনানী মাঠে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। অতীতে এখানে বিভিন্ন মেলা অনুষ্ঠিত হলেও বইমেলার আয়োজন এ প্রথম। মেলায় অংশ নিচ্ছে জ্ঞান ও সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশনা সমিতির সদস্যভুক্ত ৫০টি প্রকাশনা সংস্থা। বইপ্রেমীদের কাছে মেলার প্রথম দিনেই বিশেষ আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। মেলায় ২৫ শতাংশ ছাড়ে বই কেনার সুযোগ পাবেন ক্রেতারা। উদ্বোধনী বক্তব্যে একেএম রহমত উল্লাহ সবাইকে বই পড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে বই পড়ার কোন বিকল্প। এজন্য বেশি করে বই পড়তে হবে এবং সবার মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। মাজহারুল ইসলাম বলেন, একুশে গ্রন্থমেলার পর এ মেলাটিই হচ্ছে সবচেয়ে বড় আয়োজন। কোন একটি জায়গায় আবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন এলাকায় মেলা করতে আগ্রহী। তাই এবার মেলার আয়োজন করা হয়েছে বনানী রাজউক মাঠে। মেলায় অংশ নেয়া শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ আগামী প্রকাশন, অন্যপ্রকাশ, অনন্যা, বেঙ্গল পাবলিকেশন্স, ঐতিহ্য, অনিন্দ্য প্রকাশ, সময় প্রকাশন, পাঞ্জেরি, অ্যাডর্ন, কাকলী, বিদ্যাপ্রকাশ, কথাপ্রকাশ, তাম্রলিপি, অন্বেষা প্রকাশন, আদর্শ, রয়েল পাবলিকেশন্স ও চন্দ্রাবতী একাডেমি। মেলা চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে। মেলামঞ্চে প্রতিদিন বিকেলে থাকবে সাংস্কৃতিক আয়োজন। এছাড়া রয়েছে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাহিত্যবিষয়ক আলোচনা। রবীন্দ্র সরোবরে মাদকবিরোধী ফ্যাশন শো ॥ ফ্যাশনের মাধ্যমে জানানো হলো মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। রাজধানীর রবীন্দ্র সরোবরে বৃহস্পতিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হলো মাদকবিরোধী এক ভিন্নধর্মী ফ্যাশন শো। জনসচেতনতামূলক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন। আয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীদের ডিজাইনকৃত পোশাকের ফ্যাশন শো অনুষ্ঠিত হয়।
×