ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা আওয়ামী লীগ নেতাদের

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৪ মার্চ ২০১৭

ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা আওয়ামী লীগ নেতাদের

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ সদর উপজেলার ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান মোশাকে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণার পাশাপাশি দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদকসহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা। তার বিরুদ্ধে সীমান্তে গরু চোরাচালান, চোরাই ঘাট দখল, এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে নিরীহ লোকদের ধরে বাণিজ্য করার অভিযোগ এনেছেন নেতাকর্মীরা। এছাড়া ঘোনা এলাকায় কলেজছাত্র গৌতম ও মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম হত্যার সঙ্গে জড়িতরা সবাই এই চেয়ারম্যানের পেটুয়া বাহিনীর সদস্য এমন অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে দলের উর্ধতন নেতাকর্মী ও সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন করেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সরদার রহিল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আবুবকর সিদ্দিকসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। তবে চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। দলের কাউন্সিলর হতে না পেরে একটি মহল এই প্রচার দিচ্ছে। তিনি এর প্রতিবাদে এলাকায় একটি সমাবেশ ডেকে এর জবাব দেবেন বলে জানান। সংবাদ সম্মেলনে ৯ দফার বিভিন্ন অভিযোগ এনে বলা হয় ইউপি সদস্য গণেশ সরকারের ছেলে গৌতম ও মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম হত্যার সঙ্গে তার বাহিনীর সদস্যরা যুক্ত। এসব মামলার আসামিদের রক্ষার চেষ্টা করছেন চেয়ারম্যান। তার বাহিনীর সদস্যরা লিয়াকত আলিকে বেধড়ক মারধর করেছে। দাঁতভাঙ্গা বিলের মোনায়েম সরদারের ১০০ একর চিংড়ি ঘের চেয়ারম্যান দখল করে নিয়েছেন। ছনকা গ্রামের পংকজ ঘোষের তিন একর জমিও দখল করেছেন তিনি। দাঁতভাঙ্গা বিলপাড়ের ১০ গ্রামের মানুষের চাষাবাদ বন্ধ করতে পানি নিষ্কাশন পথ আটকে দিয়েছেন চেয়ারম্যান। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রহিল উদ্দিনের ছেলে কামাল হোসেনকে বিজিবি সদস্য দিয়ে পিটিয়েছেন মিথ্যা তথ্য দিয়ে। প্রতি রাতে এলাকায় পুলিশ পাঠিয়ে নিরীহ মানুষদের ধরে টাকা আদায় করে চেয়ারম্যান তার ভাগ নিচ্ছেন। তারা এলাকার আহারুল, মজিবর ও ইসলামসহ তিনটি নাম তুলে ধরে বলেন তাদের কাছ থেকে একই কায়দায় প্রায় এক লাখ টাকা আদায় করে হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, চেয়ারম্যান আগে জাতীয় পার্টি করতেন। ২০০৩ সালে তিনি জামায়াতে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ সদস্যও নন উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ‘তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য। আমরা এটা মানি না। তাকে বহিষ্কার করতে হবে। তাকে আমরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি ও সম্পাদক হিসেবে মোঃ হযরত আলি, জিয়াউর রহমান, আবদুল গফফার, মোঃ আসাদুল ইসলাম, গোবিন্দ পাল, আবদুল জব্বার, নিমাই সরকার, মোঃ শাহিনুজ্জামান ডালিম, আবদুর রহমান, ইউনুস আলি, আলমগীর ঢালি, আদর আলি, মিজানুর রহমান মুকুল, রাজিব হায়দর, বদরুদ্দোজা শাহিন, আনন্দকুমার, সাজেদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর, কামাল হোসেন, মেহেদি হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×