ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সাহিদা সাম্য লীনা

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২৩ মার্চ ২০১৭

সাহিদা সাম্য লীনা

স্বাধীনতার ৪৬ বছরে উপনীত আমরা ইতোমধ্যে। আমরা স্বাধীন নাগরিক হিসেবে অনেক ঋদ্ধ বলা যায়। মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন এমন অনেক নাগরিক রয়েছেন এদেশে। অনেকে চলে গেছেন পরপারে। মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা নিয়ে লেখালেখি, বই প্রকাশ, নানাবিধ তথ্যাদি থাকলেও আগামী প্রজন্ম কতটা জানছে এই ইতিহাস। সঠিক ইতিহাস নিয়ে রয়েছে বিভ্রান্তি! বিগত কয়েক দশক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে চলছে নানা ছলচাতুরি। কোন্টা সঠিক কোন্টা বেঠিক তা নিয়ে সাধারণ জনগণ আছেন প্রতিনিয়ত বিভ্রান্তিতে। দেশের বিশিষ্টজন ও কলামিস্ট অনেকে স্বচোখে দেখা তাদের মুক্তিযুদ্ধ, পাক হানাদার বাহিনী ও দেশীয় দোসর, রাজাকারদের চক্রান্ত ও স্বাধীনতা অর্জনের নানা ইতিহাস যার যার বর্ণনায় ফুটিয়ে তোলেন। এক্ষেত্রে কে কোন দলের অনুসারী সে অনুযায়ী লেখনীও আসে। যা পড়ে নতুন প্রজন্ম আছে দ্বিধায়! স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে এই দেশে হরহামেশা অযথা বিতর্ক। আমরা দেখেছি ইতিহাস পরিবর্তন হয়েছে সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে। দুইভাবে শেখা শিক্ষার্থী ও প্রজন্মরা একবার একটা বিশাল আয়োজনে যোগ দিল। সেখানে স্বাধীনতা ঘোষকের প্রশ্ন আসল। দুইভাবে শেখা শিক্ষার্থীরা উত্তর করল দুই রকম। অথচ এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন মহান নেতা শেখ মুজিব আর মহান নেতার নামে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠকারী ব্যক্তিকে মহানায়ক বানানোর অপপ্রয়াস চললো অনেক বছর। এতে করে আমাদের নতুন প্রজন্ম ইতিহাস সম্পর্কে একটা অনিশ্চিত ধারণা পেল। স্বাধীনতা ও দেশাত্মবোধের প্রতি নাড়ির অবিচ্ছেদ্য টান যদি সত্যিকার অর্থে থাকে তাহলে ইতিহাস বিকৃতি ঘটে না। অভিভাবক বা পূর্ব প্রজন্ম যদি তার ভবিষ্যত কর্ণধারদের জন্য সঠিক কোনটি এবং এই নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান, তাহলে অন্তত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে আগামী প্রজন্ম বিভ্রান্ত হবে না। পশ্চিম উকিলপাড়া, ফেনী থেকে
×