ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে রেল কর্মচারীদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ২৩ মার্চ ২০১৭

চট্টগ্রামে রেল কর্মচারীদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে রেলের জায়গায় দীর্ঘ ২০ বছর ধরে অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকানঘর ও স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অভিযানে বেশকিছু স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। পূর্বাঞ্চলীয় বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা ও রেলওয়ে ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত রেজার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে রেল কর্মচারীরা বিভিন্নভাবে ম্যাজিস্ট্রেটকে বাধা দেয়াসহ প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত উচ্ছেদ কার্যকর করা হয়েছে। এদিকে, রেলের এ অভিযানকে পুঁজি করে পরিবেশ অধিদফতরের কয়েক কর্মচারী দখলমুক্ত ওই জায়গা অবৈধ দখলে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৮-৯৯ সালে পাহাড় কেটে সাড়ে ৩৩ কাঠা রেল ভূমির ওপর পরিবেশ অধিদফতর নির্মাণ করেছে। যা রেল কর্তৃপক্ষ সরেজমিনে পরিমাপসহকারে বুঝিয়ে দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষ থেকে রেলের ডিজির দফতরে অভিযোগের পর কয়েক রেল কর্মচারীর অবৈধভাবে গড়ে তোলা স্থাপনা ও দোকানঘর ভেঙ্গে দেয়ার কার্যক্রম হাতে নেয় কর্তৃপক্ষ। মূলত পাহাড়তলীস্থ প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক এর অধীনে থাকা প্রিন্টিং বিভাগের রেল কর্মচারী আতিকুর রহমান, সীতাকু- স্টেশনে কর্মরত ওয়েম্যান নিজাম উদ্দিনের অবৈধ স্থাপনায় ভাড়াঘর ও দোকান নির্মাণ করেছিল। ফলে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সাতদিনের সময় দিয়ে ২ মার্চের মধ্যে এসব স্থাপনা নিজ দায়িত্বে তুলে নেয়ার জন্য নোটিস করা হয়েছিল এস্টেট বিভাগ থেকে। কিন্তু বিষয়টি আমলে না নিয়ে এসব অসাধু কর্মচারীরা স্থাপনা বিদ্যমান রেখে ভাড়া বাণিজ্য চালিয়ে আসছিল। এমনকি উচ্ছেদ অভিযানকে প্রতিহত করার জন্য বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা ও অধীনস্থ কর্মচারীদের নানাভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। এদিকে, ডিজির দফতর থেকে পরিচালক প্রকৌশল ও এস্টেট কর্মকর্তা মামুনুল ইসলাম ও উপ পরিচালক তানভীরুল ইসলাম পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষ নিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় চীফ এস্টেট অফিসার জসিম উদ্দিনকে চাপাচাপি শুরু করে। সর্বশেষ গত ১৫ মার্চ পুনরায় তানভীরুল ইসলামের পক্ষ থেকে আরেকটি চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। এ চিঠির প্রেক্ষিতে সাত দিনের মধ্যে স্থাপনা উচ্ছেদ কেন করা হয়নি তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। পরিবেশ অধিদফতরের দুই পরিচালকের গাড়ির চালক মোশারফ ও খোকন এই চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। অপরদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে এলাকায় এই দুই কর্মচারী সীমানা নির্ধারণে খুঁটিও লাগিয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা চালিয়েছে।
×