ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বাউফলে সরকারী চাল জব্দ করে ছেড়ে দেয়ায় তোলপাড়

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২২ মার্চ ২০১৭

বাউফলে সরকারী চাল  জব্দ করে ছেড়ে দেয়ায় তোলপাড়

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ২১ মার্চ ॥ কালোবাজারে বিক্রি করা ৬০ টন সরকারী চাল আটকের পর ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় তোলপাড় চলছে। রবিবার বিকেলে কালইয়া বন্দরের চাঁন মিয়ার ঘাট থেকে বাউফল থানা পুলিশ এ চাল আটক করেছিল। ভোলার লালমোহন থেকে এমভি দিপ্র-অন্তর নামে একটি কার্গোযোগে চালগুলো ওই ঘাটে নিয়া আসা হয়েছিল। ওই বন্দরের ব্যবসায়ী জহির খান লালমোহনের ব্যবসায়ী মমিন শিকদারের কাছ থেকে এ চাল ক্রয় করেন। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে ৬০ টন চাল বরাদ্দ দেয়। প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট লোকজন খাদ্য অফিস থেকে ওই চালের ডিও নিয়ে কালোবাজারিদের কাছে বিক্রি করে দেন। কালোবাজারিরা উপজেলা খাদ্য অধিদফতরের কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে চাল খাদ্যগুদামে মজুদ রাখতেন এবং তাদের সুবিধামতো সময় গুদাম থেকে চালগুলো অনত্র পাচার করতেন। চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে সরকার খাদ্যগুদাম নিয়ন্ত্রণ বেসরকারী খাতে ছেড়ে দিলে মওজুদকৃত ওই ৬০ টন চাল নিয়ে বিপাকে পড়েন খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা। তাই রবিবার সকালে কালোবাজারিরা ওই চাল কালাইয়া বন্দরের মোঃ জহির খানের কাছে পাচার করেন। এ খবর পেয়ে বাউফল থানা-পুলিশ চাঁন মিয়ার ঘাট থেকে চালগুলো আটক করে এবং ওইদিনই সন্ধ্যার দিকে আবার আটককৃত চাল ছেড়ে দেন। এরপর স্থানীয়ভাবে বিষয়টি তোলপাড় শুরু হয়। স্থানীয় লোকজনের ধারণা অনৈতিক সুবিধার বিনিময় এই বিপুল পরিমাণ চাল ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি আযম খান ফারুকী বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কথামতো ওই চাল আটক করা হয়। পরে আবার তার কথামতো ওই চাল ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, আমি লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি তিনি আমাকে নিশ্চিত করেছেন যে ওই চাল বৈধ প্রক্রিয়ায় বিক্রি করা হয়েছে। তাই চাল ছেড়ে দেয়ার জন্য বলেছি।
×