ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আইসিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমতার পুনর্মূল্যায়ন চায় ভারত

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ২২ মার্চ ২০১৭

আইসিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমতার পুনর্মূল্যায়ন চায় ভারত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ হঠাৎ করেই আইসিসির (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল) চেয়ারম্যানের পদ থেকে শশাঙ্ক মনোহর পদত্যাগে নড়েচড়ে বসেছে ভারত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার শীর্ষ পদে থাকা ব্যক্তির ক্ষমতার পুনর্মূল্যায়ন চাইছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। যেন এমন একটা কিছুরই অপেক্ষায় ছিল তারা। সাবেক বিসিসিআই প্রধান মনোহরের সঙ্গে ভারতীয় কর্তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই তারা আইসিসির প্রধানকে আর সর্বেসর্বা হিসেবে দেখতে চায় না। বিসিসিআই’র নতুন প্রস্তাবে চেয়ারম্যানের অনেক ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার প্রস্তাব করার কথা বলা হয়েছে। যদিও কে আইসিসির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন, এ নিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে কৌতূহলের শেষ নেই। শ্রীলঙ্কান বোর্ড (এসএলসি) প্রেসিডেন্ট থিলাঙ্গা সুমাথিপালাকে শক্তিশালী প্রার্থী বলে ভাবা হচ্ছে। ২০১৫ সালের নভেম্বরে বিসিসিআই’র সভাপতি হওয়ায় পদাধিকার বলে আইসিসি প্রধানের দায়িত্বটা পেয়েছিলেন মনোহর। গত বছর মে মাসে নির্বাচিত হন আইসিসির প্রথম স্বাধীন চেয়ারম্যান হিসেবে। একজন ভারতীয় হয়েও আইসিসিতে ভারতের আধিপত্য কমাতে মনোহরের ভূমিকা ছিল ব্যাপক আলোচিত। তিন মোড়লের একচ্ছত্র আধিপত্য ও লাভের ভাটবাঁটোয়ারার সিংহভাগ ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের নিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে প্রথম থেকে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিলেন। এও নিয়ম করে দিয়েছিলেন, আইসিসির প্রধান হবেন পুরোপুরি স্বাধীন, কোন দেশের বোর্ডের কেউ নন। আইসিসি চেয়ারম্যান হলে বোর্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিন্ন করতে হবে। এতে কোন কোন বোর্ডের প্রতি তার আনুগত্য সরাসরি থাকবে না। মনোহরের পদক্ষেপগুলো যে বিসিসিআইয়ের পছন্দ হয়নি, সেটি এখন দিবালোকের মতো পরিষ্কার। এখন বিসিসিআইয়ের দাবি, গোপন ভোটের মাধ্যমে আর আইসিসির চেয়ারম্যান নির্বাচন নয়। যদি একজন চেয়ারম্যান তার মেয়াদ পূর্ণ করতে ব্যর্থ হন, তবে অসমাপ্ত সময়টার জন্য নতুন কাউকে দায়িত্ব দিতে হবে। ওই সময় নতুন করে কাউকে পূর্ণ মেয়াদে (২ বছর) দায়িত্ব দেয়া যাবে না। চেয়ারম্যান পূর্ণকালীন কিংবা ভারপ্রাপ্ত হবেন, আইসিসি বোর্ড মিটিংয়ে তার ভোটাধিকার থাকবে না। প্রধান নির্বাহী (সিইও) আইসিসি বোর্ডকে রিপোর্ট করবে, চেয়ারম্যানকে নয়। সিইও এবং আইসিসি বোর্ডকে মূল্যায়ন করবে স্বাধীন বর্ধিত এক কমিটি। এই কমিটিতে থাকবেন সিনিয়র কর্মীরা, যারা কাজের ভিত্তিতে পাবেন মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক। চেয়ারম্যান কোন বিশেষ বৈঠক বা বৈঠকের স্থান ঠিক করতে পারবেন না। শুধু আইসিসি বোর্ডই এটা করতে পারবে। বেশিরভাগ দেশ সন্তুষ্ট মনোহরের প্রস্তাবিত কাঠামো পরবর্তী সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায়। তবে ভারতের দাপটে শেষ পর্যন্ত সেটি বাস্তবায়ন হয় কিনা, দেখার বিষয়।
×