ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পাওয়ারপ্যাক-ইস্টওয়েস্ট-গ্যাসমিন কনসোর্টিয়ামকে এ্যাওয়ার্ড প্রদান

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ২২ মার্চ ২০১৭

পাওয়ারপ্যাক-ইস্টওয়েস্ট-গ্যাসমিন কনসোর্টিয়ামকে এ্যাওয়ার্ড প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) আওতায় চট্টগ্রামের মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ডেভেলপার নিয়োগে পাওয়ারপ্যাক-ইষ্টওয়েস্ট ও গ্যাসমিন কনসোর্টিয়ামকে লেটার অব এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১শ’ ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনে বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএলের) সঙ্গে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) আয়োজনে এ্যাওয়ার্ড প্রদান ও চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক সাবেক মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোঃ মঈনউদ্দীন, বেজার নির্বাহী সদস্য ড. এমদাদুল হক, পাওয়ারপ্যাক ইকোনোমিক জোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক শিকদার, বেপজার সচিব হাবিবুর রহমানসহ সরকারের বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চলের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) আওতায় চট্টগ্রামের মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ডেভেলপার নিয়োগে পাওয়ারপ্যাক-ইষ্টওয়েস্ট ও গ্যাসমিন কনসোর্টিয়ামকে লেটার অব এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। পাওয়ারপ্যাক-ইষ্টওয়েস্ট ও গ্যাসমিন কনসোর্টিয়াম কোম্পানির পক্ষে মাহবুবুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা যাতে ব্যবসা শুরু করতে পারেন সেজন্য বেজা কর্তৃপক্ষের সাথে সমস্ত কার্যাদি আমরা সমন্বয় করবো। মীরসরাই ইকোনমিক জোনে নিরবিচ্ছিন্ন বিদু্যুত সরবরাহের লক্ষ্যে বিপিডিবি ও আরপিসিএল পাওয়ার জোন লিমিটেড প্রাথমিক পর্যায়ে ডুয়েল ফুয়েল বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করবে। এটি আগামী ১৫ মাসের মধ্যেই নির্মাণ করা হবে। ভবিষ্যতে চাহিদার প্রেক্ষিতে তা আরও সম্প্রসারণ করবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। বিদ্যুত কেন্দ্রটি নির্মাণে প্রায় ১শ’ ৫০ মিলিয়ন ইউএস ডলার ব্যয় হবে। এজন্য অতিদ্রুত আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে টেন্ডার আহ্বান করা হবে। অনুষ্ঠানে সমঝোতা স্মারক বেপজার পক্ষে স্বাক্ষর করেন অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আইয়ূব ও বেজা নির্বাহী বোর্ড, বিপিডিসি, আরপিসিএল পাওয়ার জোন লিমিটেডের পক্ষে স্বাক্ষর করেন এমডি আব্দুর সবুর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আবুল কালাম আজাদ বলেন, এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান ও প্রতিবছর অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন ইউএস ডলার রফতানির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষ (বেজা) কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে। স্মারক অনুযায়ী বিপিডিসি আরপিসিএল পাওয়ার জোন লিমিটেড আগামী ২০১৮ সালের মধ্যেই বিদ্যুত উৎপাদনে যাবে। তিনি বলেন, প্রতি জোনে ননস্টপ সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। প্রতি প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আমরা ননস্টপ সার্ভিস নামে একটি আইন তৈরি করছি। বর্তমান সরকারের উদ্যোগে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে পাওয়ারপ্যাক-ইষ্টওয়েস্ট ও গ্যাসমিন কনসোর্টিয়াম বৃহৎ তিনটি প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান (সচিব) পবন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজিম উদ্দীন চৌধুরী।
×