নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা ২০ মার্চ ॥ কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের প্রচারে মুখরিত হয়ে উঠেছে মহানগরী। রাত-দিন বিরামহীন চলছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার। এদিকে নির্বাচন ঘিরে জমে উঠেছে টাকার খেলাও। টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে নগরীর কাঁটাবিল এলাকায় সোমবার সকালে খোরশেদ আলম নামে একজন নিহত হয়েছে। এদিকে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্বাচনী ইস্তেহার ঘোষণা করবেন। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু ২৩ মার্চ নির্বাচনী ইস্তেহার ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে।
সোমবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরীর উত্তর আশ্রাফপুর, রাজাপাড়া, উনাইসার, শাকতলা, ধনাইতরী, জাঙ্গলিয়া, পদুয়ারবাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গণসংযোগ করেন। এছাড়া দলের কেন্দ্রীয় নেতা এনামুল হক শামীম, সুজিত রায় নন্দী, অপু উকিল, মারুফা আক্তার পপি, লিয়াকত শিকদারসহ স্থানীয় নেতারা নৌকার পক্ষে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। অপরদিকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু নেতাকর্মীদের নিয়ে নগরীর দক্ষিণ বাগমারা, সালমানপুর, গন্ধমতি, রামপুর, বার্ড, চাঙ্গিনী, বাতাবাড়িয়া এলাকায় গণসংযোগ করেন। এছাড়া দলের কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম খান, জয়নাল আবেদীন ফারুক ও খাইরুল কবির খোকন স্থানীয় নেতাদের নিয়ে ধানের শীষের পক্ষে নগরীর কয়েকটি এলাকায় গণসংযোগ করেন। এছাড়া স্বতন্ত্রপ্রার্থী মেজর (অব.) মামুনুর রশীদ (টেবিল ঘড়ি) নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের কাছে তার উন্নয়ন প্রতিশ্রুতির প্রচারপত্র পৌঁছে দিচ্ছেন। জেএসডি মনোনীত প্রার্থী শিরিন আক্তার নগরীর কাপ্তান বাজার, মোগলটুলী, চৌধুরীপাড়া, অশোকতলা এলাকায় কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন।
টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে একজন নিহত ॥ এদিকে প্রার্থীর কাছ থেকে নেয়া টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এক যুবকের লাথিতে খোরশেদ আলম নামে একজন নিহত হয়েছেন। সোমবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর কাঁটাবিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত খোরশেদ আলম ওই এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে।
জানা যায়, মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের কাছ থেকে কাঁটাবিল এলাকার হারুন মিয়া (৪৫) ও তার ছেলে তামিম (২২) স্থানীয় ভোটারদের নামে টাকা আদায় করে। খবর পেয়ে ওই এলাকার খোরশেদ আলম টাকার বিষয়টি জানতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হারুনের বাড়িতে যান। এ নিয়ে বাগ্বিত-ার একপর্যায়ে হারুন ও তার ছেলে খোরশেদ আলমকে কিল-ঘুষি এবং লাথি মারে। এতে তিনি আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে নগরীর তেলিকোনা এলাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে ঘাতক পিতা-পুত্র পলাতক রয়েছে।