ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মা সেতু প্রকল্প

প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশন গঠনের অগ্রগতি জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২১ মার্চ ২০১৭

প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে কমিশন গঠনের অগ্রগতি জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পদ্মা সেতু প্রকল্পে ‘দুর্নীতির মিথ্যা গল্প’ ফাঁদার নেপথ্যে ‘প্রকৃত ষড়যন্ত্রকারীদের’ খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের অগ্রগতি জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। কমিশন গঠন করার বিষয়ে আগামী ৯ মে’র মধ্যে একটি অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছে আদালত। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জারি করা এক রুলের শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষ আট সপ্তাহ সময় চাইলে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কমিটি বা কমিশন গঠনে কি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে সোমবার প্রতিবেদন দেয়ার কথা ছিল। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবের পক্ষ থেকে আট সপ্তাহের সময় চাওয়া হলে আদালত আগামী ৯ মের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে নির্দেশ দিয়েছে।’ একটি দৈনিকে ‘ইউনূসের বিচার দাবি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনসহ কয়েকটি পত্রিকার খবর আমলে নিয়ে একই বেঞ্চ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রুল জারি করে। রুলে ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে ১৯৫৬ সালের ইনকোয়ারি এ্যাক্টের তৃতীয় অনুচ্ছেদসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আইন অনুযায়ী কমিটি বা কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়। ওই দিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, সেতু সচিব, দুদক চেয়ারম্যান ও আইজিপিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। পাশাপাশি কমিটি বা কমিশন গঠনে কী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দেয় আদালত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের জন্য বিশ্বব্যাংক চুক্তি করেও দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে তা বাতিল করে। পরে বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের তদারকির পাঁচ কোটি ডলারের কাজ পেতে এসএনসি-লাভালিনের কর্মীরা ২০১০ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে মামলা হয়েছিল কানাডার আদালতে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে কানাডার আদালত ওই মামলার তিন আসামিকে খালাস দেয়। রায়ে বিচারক বলেছেন, এই মামলায় প্রমাণ হিসেবে যেগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে সেগুলো ‘অনুমানভিত্তিক, গালগল্প ও গুজবের বেশি কিছু নয়’।
×