ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘হামরা সুখত আছি’

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ২১ মার্চ ২০১৭

‘হামরা সুখত আছি’

তাহমিন হক ববী, নীলফামারী ॥ হামরা যে ভিক্ষা করছিনু ওই কথা ভুলিই গেছি। ভিক্ষা করার কথাখানা মনত পইড়লে (পড়লে) এ্যালা (এখন) হামাক নজ্জা (লজ্জা) নাগে (লাগে)। হামরা এ্যালা খুবি (খুবই) ভালা (ভাল) আছি। ও স্যার আপনে হামার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাক লইয়া (সাথে) একবার এইঠে আসি দেখি যাও, হামরা আর আগের মতো নাই। হামরা টিনের ঘর পাইছি, টাকা পাইছি, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি পালছি, ক্ষুদ্র ব্যবসার দোকান করছি। মৌসুম ভিত্তিক পিঠাপুলির দোকান করছি। হামার আর দুঃখ নাই। হামরা সুখত আছি- ও স্যার-একবার আসি হামাক দেখি যাও। ঠিক এমনিভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী দফতরের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিসি) আবুল কালাম আজাদকে বলছিলেন সাবেক ভিক্ষুকরা। শনিবার বেলা তিনটা হতে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত সিটিজেন জার্নালিজম বিষয়ক সোস্যাল মিডিয়া সংলাপে ভিক্ষুকমুক্ত জেলা গঠনের অভিজ্ঞতা ও করণীয় পর্যালোচনা অনুষ্ঠানটি হচ্ছিল জামালপুর জেলা হতে। সেই অনুষ্ঠানেই ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিল নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভিক্ষুকসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। ২০১৪ সালের ৫ জুলাই বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ভিক্ষুকমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল কিশোরীগঞ্জ। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে নড়াইল জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এবার জামালপুর, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, শেরপুর ও খুলনা জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ওই কার্যক্রমে পূর্ব অভিজ্ঞতায় ভিডিও কনফারেন্সে ভিক্ষুকরা তাদের সফলতার কথা তুলে ধরেন।
×