ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় পৃথক হত্যার দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ২১ মার্চ ২০১৭

কুষ্টিয়ায় পৃথক হত্যার দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ২০ মার্চ ॥ পৃথক দুটি হত্যা মামলার রায়ে তিন জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছে আদালত। অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী স্নিগ্ধা আক্তার রিমি (২০) ও পাখী ভ্যানচালক নিশান (১৪) হত্যার দায়ে সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক রেজা মোঃ আলমগীর হাসান এবং জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক তৌহিদুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জেলার মিরপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে শিহাব উদ্দিন ওরফে শিশির ও স্বরূপদহ পালপাড়া গ্রামের কামাল হোসেন শেখের ছেলে সন্টু শেখ এবং সলেমান কারিকরের ছেলে মাহাবুল ইসলাম কামাল। চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড স্টাফ রিপোর্টার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে জানান, যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ স্বামী রুবেলকে (২৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত রুবেল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শিবনগর গ্রামের তাজেল আলীর ছেলে। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা জজ জিয়াউর রহমান এ দ-াদেশ প্রদান করেন। উল্লেখ্য, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দেবীনগর গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে ববিতাকে বিয়ের সময় ৮০ হাজার টাকা নেয় রুবেল। পরে আরও ৫০ হাজার টাকা ও একটি বাইসাকেলের জন্য নির্যাতন করে আসছিল। যৌতুক না পেয়ে ২০১৪ সালের ১ জুলাই রাত ১০টার দিকে রুবেল তার স্ত্রীকে হত্যার পর দু’হাত বেঁধে ঘরের তীরের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। গাইবান্ধায় ৩ জনের যাবজ্জীবন নিজস্ব সংবাদদাতা গাইবান্ধা থেকে জানান, সাঘাটা উপজেলার মথরপাড়া গ্রামের রমজান আলীকে হত্যার দায়ে তিন যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম এ দণ্ডাদেশ দেন। দ-প্রাপ্তরা হলেন- একই গ্রামের ফেরদৌস সরকার নান্নু, হেলাল মিয়া ও লাভলু মিয়া। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ১৩ মার্চ সকালে মথরপাড়া গ্রামের রমজান আলী ও তার ছেলে আবদুর রহীম সরকারসহ তিনজন একসঙ্গে বোনারপাড়ায় যাচ্ছিলেন। এ সময় ওই গ্রামের ফেরদৌস সরকার ও তার পক্ষের লোকজন পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাদের পথরোধ করে দাঁড়ায়। পরে উভয়পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে তাদের মারধর করা হয়। এতে আবদুর রহিমের বাবা রমজান আলী গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
×