ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মিজারুল কায়েসের মরদেহ পৌঁছেছে কাল দাফন

প্রকাশিত: ০৫:২০, ২০ মার্চ ২০১৭

মিজারুল কায়েসের মরদেহ পৌঁছেছে কাল দাফন

কূটনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্রাজিলে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েসের মরদেহ রবিবার মধ্যরাতে ঢাকায় পৌঁছেছে। কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ ঢাকায় আসে। অন্তিম শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ আজ সকাল দশটা থেকে বারোটা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। পরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি পাকুন্দিয়ায় নেয়া হবে। সেখানে স্বজনদের শ্রদ্ধা নিবেদন ও জানাজা শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার বনানী কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানায়। সূত্র জানায়, কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে রবিবার মধ্যরাতে মিজারুল কায়েসের লাশ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। মিজারুল কায়েসের প্রথম জানাজা আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে মরহুমের সহকর্মীরা তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পরে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার কফিন সকাল দশটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। শিল্প ও সাহিত্য সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তিরা তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তার দ্বিতীয় জানাজা হবে। পরে মিজারুল কায়েসের কফিন জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তার আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা তৃতীয় জানাজায় অংশ নেবেন। সব শেষে মঙ্গলবার বনানী কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে তার দাফন সম্পন্ন হবে। গত ১১ মার্চ ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে মিজারুল কায়েস মৃত্যুবরণ করেন। মিজারুল কায়েস ব্রাজিলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনকালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে মাস খানেক ধরে ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়া হাসপাতালে আইসিইউতে ছিলেন তিনি। কিশোরগঞ্জের সন্তান মিজারুলের বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। তিনি স্ত্রী নাইমা চৌধুরী ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। ২০০৯-২০১২ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মিজারুল কায়েস। এর আগে ২০১২ সালে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ও রক্তে ইনফেকশনের মতো প্রাণঘাতী সেপটেসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সে সময় সুস্থ হয়েছিলেন তিনি। ব্রাজিলে যাওয়ার আগে মিজারুল বাংলাদেশের লন্ডন মিশনে হাই কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে তাকে ব্রাজিলে পাঠানো হয়েছিল।
×