ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর ॥ কলেজ অধ্যক্ষসহ গ্রেফতার ৫

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ২০ মার্চ ২০১৭

রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর ॥ কলেজ অধ্যক্ষসহ গ্রেফতার ৫

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন রাজশাহীর রাজাবাড়ীহাট ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ। শনিবার রাতে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিরেন্দ্রনাথ দত্ত, প্রভাষক আব্দুস সবুর, পিয়ন অকিলকে গ্রেফতার করেছে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ। এছাড়া একই অভিযোগে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমন ম-লের পিতা রবিউল করিম রবি ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজাবাড়ী হাট ডিগ্রী কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহাদুল হক মাস্টারের লোকজন কলেজে যায়। এ সময় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিরেন্দ্রনাথ দত্ত ও প্রভাষক মাহামুদ আক্তারের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে। গোদাগাড়ী থানার ওসি হিপজুর আলম বলেন, সেই দিন বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাঙ্গার কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে ওইদিন কলেজের অধ্যক্ষ নিরেন্দ্রনাথ দত্ত থানায় এসে কলেজের সাবেক সভাপতি শাহাদুল হক মাস্টারসহ কয়েকজনের নামে জিডি করেন। বিষয়টি তদন্ত করে কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তবে শনিবার সকালে কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা অফিস ঘর খুলে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করা দেখেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ কলেজের অধ্যক্ষ নিরেন্দ্রনাথ দত্ত ও তার সহযোগীরা কলেজের সাবেক সভাপতিকে ফাঁসাতে এ নাটক করে। পরে গোদাগাড়ী থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ বিষয়টি টের পেয়ে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ বলেন, কলেজটিকে নিয়ে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও অসাধু শিক্ষক কর্মচারীরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান তিনি। কলেজ কমিটির সাবেক সভাপতি শাহাদুল হক মাস্টার বলেন, ছবি ভাংচুরের ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, আগে থেকেই কলেজটির নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করায় অধ্যক্ষ তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এবার বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করে তাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।
×