ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দেশে আইএসের অস্তিত্ব নেই ॥ আইজিপি

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ১৯ মার্চ ২০১৭

দেশে আইএসের অস্তিত্ব নেই ॥  আইজিপি

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ দেশে আইএসের কোন অস্তিত্ব নেই উল্লেখ করে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেন জঙ্গীদের বিরুদ্ধে চলতি বিশেষ অভিযান আরও জোরদার করা হবে। আমরা জঙ্গীদের নির্মূল করতে পারিনি। তাদের কিছু বীজ রয়েছে। তারা ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তদের নেটওয়ার্ক সক্রিয় রেখেছে। এ ক্ষেত্রে পুলিশের কড়া নজরদারি রয়েছে। আইজিপি শনিবার বিকেলে বগুড়া পুলিশ লাইন্স মাঠে পুলিশের বার্ষিক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। গত চব্বিশ ঘণ্টায় জঙ্গী তৎপরতার দুটি ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জঙ্গীরা এর মাধ্যমে তাদের অস্তিত্ব জানান দিতে চাইছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের নির্মূল করতে সকল ব্যবস্থাই নিয়েছে। তারা বড় ধরনের কিছু করতে পারবে না। গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। মানুষ তাদের বিরুদ্ধে না সূচক অবস্থান নিয়েছে। তিনি বলেন, ঢাকায় ৬ থেকে ৭টি সফল পুলিশী অভিযানের ফলে জঙ্গীরা দুর্বল হয়ে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছে। পুলিশ তাদের সেসব আস্তানা খুঁজছে। শীঘ্রই তাদের নির্মূল করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, বর্ডার থেকে কিছু অস্ত্র ও বিস্ফোরক আসছে। সীমান্ত এলাকায় প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইজিপি ঢাকায় অনুষ্ঠিত ১৪ দেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের সমাবেশের কথা উল্লেখ করে বলেন, এক দেশ আরেক দেশের জঙ্গী তৎপরতা নির্মূলে সহায়তা দেবে। দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিকভাবে জঙ্গীদের নির্মূলে পুলিশ সকল পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেন, ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে বলেছেন যাতে জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে তাদের এ্যাকাউন্ট খোলা হয়। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাতে রাজি হয়নি। তবে তারা বলেছে, জঙ্গী নির্মূলে পুলিশ সহযোগিতা চাইলে ফেসবুক সহযোগিতা দেবে। পুলিশের বার্ষিক সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া ১ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আব্দুল মান্নান, বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান, রাজশাহী রেঞ্জের উপ মহাপুলিশ পরিদর্শক এম খুরশিদ হোসেন, বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোঃ আশরাফ উদ্দিন ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন। এর আগে বগুড়ার পুলিশ সুপার মোঃ আসাদুজ্জামান আইজিপিকে স্বাগত জানান। আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ঢাকায় হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়া ঈদগাহের ঘটনার পর ৭টি সফল অভিযানের পর ৪৫ জঙ্গী মারা গেছে। আরও জঙ্গী বাইরে আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ বাইরে পালিয়ে যেতে পারে। তাদেরও খোঁজখবর করা হচ্ছে। তবে জঙ্গী দমনে সদাসতর্ক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তিনি বলেন, জঙ্গীরা বিকৃত মানসিকতার। তাদের নির্মূলে এবং জঙ্গীবাদ বিস্তারে পুলিশী কঠোর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
×