ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পুজারার সেঞ্চুরিতে ভারতের লড়াই

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ১৯ মার্চ ২০১৭

পুজারার সেঞ্চুরিতে ভারতের লড়াই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চেতেশ্বর পুজারার সেঞ্চুরির ওপর ভর করে রাচি টেস্টে লড়ছে ভারত। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ৪৫১ রানের জবাবে তৃতীয়দিন শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩৬০ রান। দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা পুজারা ব্যক্তিগত ১৩০ রানে অপরাজিত রয়েছেন। ১৮ রান নিয়ে তার সঙ্গে আছেন ঋদ্ধিমান সাহা। ৪ উইকেট হাতে নিয়ে এখনও ৯১ রানে পিছিয়ে বিরাট কোহলির দল। বড় রানের জবাবে ফের ব্যর্থ ভারতের বড় তারকা। আগের চার ইনিংসে ০, ১৩, ১২ ও ১৫ রানে ফেরা অধিনায়ক এবার আউট হয়েছেন মাত্র ৬ রান করে। অথচ যার সঙ্গে মূল লড়াই সেই স্টিভেন স্মিথ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রথম ইনিংসেও ১৭৮ রানের অপরাজিত এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক। ১-১এ চলমান চার টেস্টের সিরিজে রাঁচির তৃতীয় ম্যাচটা দু’দলের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে চতুর্থদিনে আজ পুজারা ও টেলএন্ডার ব্যাটসম্যানদের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। ১ উইকেটে ১২০ রান নিয়ে শুরু করা ভারত এদিন ৫ উইকেট হারিয়ে আরও ২৪০ রান যোগ করে। ৪২ রান নিয়ে নামা মুরলি বিজয় আউট হন ৮২ রান করে। ৫০তম টেস্টে এটি তার ১৫তম হাফ সেঞ্চুরি। তবে অসি পেসারদের তোপের মুখে স্বাগতিকদের টপঅর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ। পতন হওয়া ৬ উইকেটের চারটিই তুলে নিয়েছেন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা পেসার প্যাট কামিন্স। অজিঙ্কা রাহানে (১৪) ও করুণ নায়ার (২৩) আউট হয়েছেন সেট হওয়ার পরে। তার আগে ৬ রান করে কামিন্সের বলে স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কোহলি। ৫ ইনিংস মিলিয়ে মোট রান ৪৬। শনির দশা চলছেই। সিরিজ শুরু করেছিলেন ৮৯৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে। সেটি কমে এখন ৮৪৭-এ নেমেছে, যদিও তিনি র‌্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় স্থানেই আছেন (প্রতিদ্বন্দ্বী স্মিথ শীর্ষে)। এ নিয়ে টানা ছয় ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরিবিহীন কোহলি। ক্যারিয়ারে এরচেয়ে বাজে সময় একবারই কাটিয়েছেন ভারতের সময়ের সেরা তারকা। ২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফরে ১০ ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি ছিল না। তবে সেই কোহলি আর এখনকার কোহলি তো এক নন। তার আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের গল্পটা স্মিথ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। ১০৪ রানের চমৎকার ইনিংস উপহার দিয়ে দীর্ঘদিন পর সাদা পোশাকের প্রত্যাবর্তনটাকে স্মরণীয় করে রাখেন ম্যাক্সওয়েল। এর মধ্য দিয়ে ইতিহাসের মাত্র ১২তম ব্যাটসম্যান হিসেবে তিন ফরমেটে সেঞ্চুরির নজির স্থাপন করেন ২৮ বছর বয়সী ভিক্টোরিয়ান। নাম লেখালেন ক্রিস গেইল, তিলকারতেœ দিলশানদের পাশে। আর ১৭৮ রানে অপরাজিত স্মিথ ৩৬১ বলে ১৭টি চার মারেন। ভারতের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ান ‘অধিনায়ক’ হিসেবে যা ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড। এতদিন যেটি ছিল মাইকেল ক্লার্কের দখলে, ২০১৩ সালে চেন্নাই টেস্টে ১৩০ রান করেছিলেন তিনি। স্কোর ॥ অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ৪৫১/১০ (১৩৭.৩ ওভার; রেন শ ৪৪, ওয়ার্নার ১৯, স্মিথ ১৭৮*, শন মার্শ ২, হ্যান্ডসকম্ব ১৯, ম্যাক্সওয়েল ১০২, ওয়েড ৩৭, কামিন্স ০, ও’কেফে ২৫, লেয়ন ১, হ্যাজলউড ০*; ইশান্ত ০/৭০, যাদব ৩/১০৬, অশ্বিন ১/১১৪, জাদেজা ৫/১২৪)। ভারত প্রথম ইনিংস ৩৬০/৬ (১৩০ ওভার; রাহুল ৬৭, বিজয় ৮২, পুজারা ১৩০*, কোহলি ৬, রাহানে ১৪, নায়ার ২৩, অশ্বিন ৩, ঋদ্ধিমান ১৮*; কামিন্স ৪/৫৯, হ্যাজলউড ১/৬৬, ও’কেফে ১/১১৭)। * তৃতীয়দিন শেষে
×