ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্যাকেজ ভ্যাট পুনর্বহালে এখনও আশাবাদী ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ১৯ মার্চ ২০১৭

প্যাকেজ ভ্যাট পুনর্বহালে এখনও আশাবাদী ব্যবসায়ীরা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আইনে প্যাকেজ ভ্যাট পুনর্বহাল ও টার্নওভার ট্যাক্সসীমা বৃদ্ধিসহ যৌথ কমিটির সাত সুপারিশ বাস্তবায়নে এখনও আশাবাদী ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি বাস্তবায়নে এখনও সরকার ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওপর আস্থা রেখেছে আন্দোলনরত ব্যবসায়ীরা। তাই আপাতত নতুন ভ্যাট আইনের বিরুদ্ধে কোন আন্দোলনে যাচ্ছে না ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো। আন্দোলনরত ব্যবসায়ী ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবু মোতালেব এ বিষয়ে বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আব্দুল রাজ্জাকের নেতৃত্বে সংসদীয় কমিটির নেতারা গত বুধবার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে সংসদীয় কমিটির সভাপতি আমাদের দাবির স্বপক্ষে কথা বলেছেন। বৈঠকে তিনি বলেছেন ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয় এমন কোন পদক্ষেপ নেয়া যাবে না। এ ছাড়া আমাদের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে। কর্মসূচীর বিষয়ে এফবিসিসিআই পরিচালক আবু মোতালেব বলেন, আমরা মূলত ৭টি দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি। প্যাকেজ ভ্যাট ও টার্নওভার ট্যাক্সসীমা বৃদ্ধি করা ইত্যাদি দিয়ে এনবিআর-এফবিসিসিআই যৌথ কমিটি সাতটি সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি করেছিল। এটা নিয়ে আলোচনা চলছে। এর আগে আমাদের দাবির পক্ষে নীতিগতভাবে একমত হয়েছিল এনবিআর। এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যানও এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ভ্যাট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আগামী বাজেটের আগে আশা করছি এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে। আমরা আশাবাদী। নতুন ভ্যাট আইনে এনবিআর-এফবিসিসিআই যৌথ কমিটির সাত সুপারিশে বলা হয়েছে, সব সরবরাহের (উৎপাদন, ব্যবসা ও সেবা প্রদান) ক্ষেত্রে ৩৬ লাখ টাকা টার্নওভার পর্যন্ত অব্যাহতি প্রদান; এর ধারাবাহিকতায় বার্ষিক টার্নওভার ৩৬ লাখ থেকে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত কেবল উৎপাদন পর্যায়ে ৩ শতাংশ পর্যন্ত টার্নওভার কর আরোপ করা হোক। টার্নওভার কর প্রদানকারী ক্রয় করা উপকরণের বিপরীতে মূসক নিবন্ধিত ব্যক্তির কর রেয়াত প্রযোজ্য হোক; ব্যবসায়ী পর্যায়ে বার্ষিক ৩৬ লাখ টাকার ঊর্ধে টার্নওভারের পরিমাণ নির্বেশেষে ২ শতাংশ হারে মূসক আরোপ করা হোক; উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণে অসমর্থ প্রতিষ্ঠানের করযোগ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে হ্রাসকৃত হারে মূসক আরোপ করা হোক; তবে হ্রাসকৃত হারে মূসক প্রদানকারী ও টার্নওভার কর প্রদানকারী উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ করতে পারবেন না; নতুন আইনের ধারা ২(৯৭) এর দফা (ক) সব আত্মীয় স্বজনকে করদাতার খেলাপি কর আদায়ের জন্য দায়ী করা যাবে না। প্যাকেজ ভ্যাট পুনর্বহালসহ ওইসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে ব্যবসায়ীরা তাদের নিজ নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ২০১৬ সালের ৩০ মে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন। এরপর সারাদেশের ১৬৬ চেম্বারসহ সকল ব্যবসায়ী তাদের ওই কর্মসূচীর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
×