ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মার্কিন বাজেট

সামরিক বরাদ্দ ১০ শতাংশ বাড়লেও বৈদেশিক সহায়তা কমছে ২৮ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ১৯ মার্চ ২০১৭

সামরিক বরাদ্দ ১০ শতাংশ বাড়লেও বৈদেশিক সহায়তা কমছে ২৮ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সামরিক খাতে ১০ শতাংশ ব্যয় বাড়িয়ে এবং বৈদেশিক সহায়তার বরাদ্দ ২৮ শতাংশ কমিয়ে কংগ্রেসে প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই বাজেটে পররাষ্ট্র দফতরসহ সুনির্দিষ্ট ১৯টি বিভাগের ব্যয় ৯ থেকে ২৯ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। এই বাজেট কার্যকর হলে ক্ষতির মুখে পড়বে জাতিসংঘের মতো বিভিন্ন সেবা সংগঠন, বিশেষত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় কাজ করা সংস্থাগুলো। এতে বিশ্বে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। তবে বেশির ভাগ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার কংগ্রেসে উত্থাপিত ওই বাজেটে ট্রাম্প প্রতিরক্ষা দফতরের বরাদ্দ গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বা ৫ হাজার ৪শ’ কোটি ডলার বাড়াতে কূটনীতি ও বৈদেশিক সহায়তার বাজেট ২৮ শতাংশ কমিয়ে আনেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সদ্য প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক উঠলেও যুক্তরাষ্ট্রবাসী এই সিদ্ধান্তের পক্ষে তাদের মত দিয়েছেন। প্রস্তাবিত বাজেটে পররাষ্ট্র দফতর, স্বাস্থ্য ও জনসেবা, পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থাসহ সুনির্দিষ্ট ১৯টি বিভাগের ব্যয় ৯ থেকে ২৯ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়। অন্যদিকে প্রতিরক্ষা দফতর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি, কাস্টমস, অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের ভাতাসহ হাতেগোনা কয়েকটি খাতে বাজেট বাড়ানো হয়। ২০১৮ অর্থবছরের জন্য এই প্রস্তাবিত বাজেট চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর করা হবে বলে জানান ট্রাম্পের বাজেট পরিচালক মিক মালভানি। ট্রাম্পের বাজেট পরিচালক মিক মালভানি বলেন, ‘ট্রাম্প তার এক টুইট বার্তায় বলেছেন নিরাপত্তা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমি তার এই মতের পক্ষে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতির উন্নয়নে বিভিন্ন খাতের বরাদ্দ কমিয়ে নির্ধারিত কিছু খাতকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এতে অর্থের অপচয় রোধ করা সম্ভব হবে।’ যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের মোট বাজেটের ২২ শতাংশ এবং শান্তিরক্ষা মিশনের ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাজেট বহন করে থাকে। যা টাকার অঙ্কে ৫৪০ কোটি ও ৭৯০ কোটি ডলার। তাই এই বাজেট কার্যকর হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন সহায়তা সংগঠন ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে কাজ করা সংস্থায় মার্কিন বরাদ্দ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যাবে। এক ধাপে বিপুল পরিমাণ সহায়তা কমে গেলে বিশ্বে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টেফানি দুজারিক ও ডেমোক্রেট নেতারা। ডেমোক্রেট নেতাদের পাশাপাশি রিপাবলিকানরাও গৃহায়ণ, বিশুদ্ধ পানি ও যুব প্রশিক্ষণের বাজেট কমানোর সমালোচনা করেছেন। তবে, জাতিসংঘের মার্কিন দূত নিকি হেলি ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পক্ষ নিয়ে বলেন, জাতিসংঘ অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি অর্থ ব্যয় করে, যার বোঝা বহন করতে হয় যুক্তরাষ্ট্রকে। তবে সামাজিক কর্মসূচীর ব্যয় সংকোচন করায় কংগ্রেসে বাজেট আলোচনায় চাপের মুখে পড়তে পারেন ট্রাম্প।
×