ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু ছিলেন সারাবিশ্বের নেতা

প্রকাশিত: ০৪:৪৯, ১৯ মার্চ ২০১৭

বঙ্গবন্ধু ছিলেন সারাবিশ্বের নেতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে নিজেদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। অন্যায়ের প্রতি বঙ্গবন্ধু ছিলেন প্রতিবাদী। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে তা অনুধাবন করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল মানুষকে ভালবাসা। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল বড় প্রত্যয়। শনিবার রাজধানীর আজিমপুর সরকারী কলোনি ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাতদিনব্যাপী এই উৎসবের আয়োজন করে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উৎসব উদযাপন পরিষদ’। গত বছর থেকে সংগঠনটি বঙ্গবন্ধু উৎসবের আয়োজন করে আসছে। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উৎসব উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের কিউরেটর সাবেক শিক্ষা সচিব মোঃ নজরুল ইসলাম খান (এনআই খান), ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উৎসব উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ওমর আলী ও সদস্য সচিব শেখ রানা প্রমুখ। স্পীকার বলেন, বাঙালীর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য তিনি সংগ্রাম করেছেন। রাজনৈতিক মুক্তি তিনি দিয়ে গেছেন। অর্থনৈতিক মুক্তির কাজ তিনি শুরু করেছিলেন। কিন্তু সে কাজ শেষ করার সময় দেয়া হয়নি। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বক্তব্যের আগে বেলা সাড়ে ১১টায় অনুষ্ঠান স্থলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জাতীয় সংসদের স্পীকার শিরীন শারমীর চৌধুরী। পরে বেলুন উড়িয়ে সাতদিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উৎসবের উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনী অধিবেশন শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটেন স্পীকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উৎসবের নানা আয়োজনের মধ্যে রয়েছে, জাতির পিতার বিভিন্ন কর্মকা-ের চিত্র প্রদর্শনী। প্রথমদিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পাশাপাশি শিশুদের বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন বিষয়ের ওপর শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন ছিল। উৎসবের উদ্বোধনের আগেই উপস্থিত শিশু-কিশোরদের মাঝে বিনামূল্যে মুজিব কোর্ট বিতরণ করেছে আয়োজকরা। উৎসে শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে নাগোরদোলা, ঘোড়ার গাড়িসহ নানা আয়োজন। উৎসব স্থলে স্টলগুলোর মধ্যে রয়েছে বাহারি খাবারের দোকান, গৃহস্থালি সামগ্রীর দোকান। এই উৎসবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনও স্টল নিয়েছে। এখানে রয়েছে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প, আউটসোর্সিংবিষয়ক পরামর্শ কেন্দ্র ইত্যাদি।সা দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উৎসবে আজ রবিবার দ্বিতীয়দিন সকাল ১০টায় শিশুদের বিস্কুট দৌড়, মোরগ লড়াই, রচনা প্রতিযোগিতা ও মহিলাদের পিলো পাসিং খেলা অনুষ্ঠিত হবে। ২০ মার্চ বিকেল ৪টায় শিশু-কিশোর সঙ্গীত প্রতিযোগিতা। ২১ মার্চ বিকেল ৪টায় শিশু-কিশোর নৃত্য প্রতিযোগিতা। ২২ মার্চ শিশু-কিশোরদের কবিতা আবৃত্তি ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা। ২৩ মার্চ অভিভাবকদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ২৪ মার্চ বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ওপর প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতা এবং ২৫ মার্চ পুরস্কার বিতরণী ও সভাপতির ভাষণের মাধ্যমে সমাপ্তি হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব উৎসবের।
×