ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ইসরাইলী বর্ণবাদী আচরণ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশের পর তোলপাড়

প্রকাশিত: ০৪:৪৩, ১৯ মার্চ ২০১৭

ইসরাইলী বর্ণবাদী আচরণ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশের পর তোলপাড়

জাতিসংঘের ওপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রভাব ও চাপ এত তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে যে, জাতিসংঘের একটি সংস্থা ফিলিস্তিনীদের ওপর ইসরাইলের বর্ণবাদী আচরণ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশের পর জাতিসংঘ আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও তদন্ত কমিশনের নির্বাহী সচিব রীমা খালাফকে গত শুক্রবার পদত্যাগ করতে হয়েছে। জাতিসংঘের মতো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার একজন আন্ডার সেক্রেটারি ও নির্বাহী কর্মকর্তাকে শুধুমাত্র একটি বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্ট প্রকাশের জন্য পদত্যাগ করতে হলো এবং মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেস তা গ্রহণ করেছেন। এটি অভূতপূর্ব ঘটনা। তা সত্ত্বেও এটি বাস্তব। কেননা, যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের বৃহত্তম চাঁদাদাতা দেশ এবং ট্রাম্প সরাসরি ইসরাইলের পক্ষাবলম্বনকারী ব্যক্তি, তিনি গুতেরেসের ওপর এমন তীব্র চাপ সৃষ্টি করেন যে, গুতেরেস ওই পদত্যাগ গ্রহণ করতে বাধ্য হন। এ ব্যাপারে বৈরুতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে রীমা খালাফ বলেন, মহাসচিব গুতেরেস তাকে তার প্রদত্ত রিপোর্টকে অস্বীকার বা ভিত্তিহীন বলার জন্য আহ্বান জানান কিন্তু তিনি তা না করে পদত্যাগ করাটাই শ্রেয় বলে মনে করেছেন। তিনি আরও বলেন, এ নিয়ে পদত্যাগের ঘটনা গুতেরেসের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলী চাপের ফসল। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফানি ডুজারিক বলেছেন, জাতিসংঘ মহাসচিব এটি কোনভাবেই মেনে নিতে পারেন না যে, একজন আন্ডার সেক্রেটারি অথবা কোন সিনিয়র কর্মকর্তা জাতিসংঘের নাম, লোগো ব্যবহার করে তার সঙ্গে অথবা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল বিভাগের সঙ্গে আলোচনা না করে কোন তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করবে। পদত্যাগের পর অনেকের মনে প্রশ্ন জেগেছে- কী ছিল এ রিপোর্টে? বিস্তারিতভাবে জানা না গেলেও রিপোর্টের মূল কথা এই ছিল যে, ইসরাইল, লেবানন এবং অন্যত্র ফিলিস্তিনী জনগোষ্ঠীর ওপর যে নির্দয় ও অমানবিক আচরণ করছে তা মানবতার পরিপন্থী ও যুদ্ধাপরাধের শামিল। -খবর সিএনএন
×