মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বিশেষ বাহিনী সিক্রেট সার্ভিসের একটি ল্যাপটপ নিউইয়র্ক নগরী থেকে চুরি হয়ে গেছে। সিক্রেট সার্ভিসের একটি গাড়ি থেকে ল্যাপটপটি চুরি করা হয়েছে। এতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্পর্শকাতর তথ্য রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এসব তথ্য প্রকাশিত হলে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা বিঘিœত হবে বলে সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে। খবর বিবিসির।
চুরি যাওয়া ল্যাপটপটির সমস্ত তথ্য কোডে রূপান্তরিত থাকায় তা সুরক্ষিত থাকবে। সন্দেহভাজন ল্যাপটপ চোরকে শনাক্ত করতে পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজগুলো পরীক্ষা করে দেখছে। সিক্রেট সার্ভিস বলেছে, তদন্ত চলায় এ বিষয়ে আর কোন তথ্য দেয়া হবে না। ল্যাপটপটি সিক্রেট সার্ভিসের এক মহিলা এজেন্টের ছিল। তদন্তকারীদের তিনি নিজেই বলেছেন, তার কম্পিউটারে যেসব তথ্য আছে তা প্রকাশ পেলে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা বিপদে পড়তে পারে। আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিসসহ একটি ব্যাগের ভেতর ল্যাপটপটি ছিল। ব্যাগে সিক্রেট সার্ভিসের লোগো ছিল। কিন্তু খালি ব্যাগটি পরে পাওয়া গেলেও ল্যাপটপটির কোন খোঁজই পাওয়া যায়নি। ওই ল্যাপটপের ডিস্ক কোডে রূপান্তর করাসহ তাতে বহু স্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে এবং এতে গোপনীয় তথ্য রাখার অনুমতি নেই বলে জানিয়েছে এজেন্সিটি। বৃহস্পতিবার ব্রুকলিনের বাথ বিচ এলাকায় ওই নারী এজেন্টের গাড়ি থেকে ল্যাপটপটি চুরি যায় বলে জানিয়েছে এবিসি। অবশ্য মার্কিন আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা চুরি যাওয়া ল্যাপটপের তথ্য সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমকে কিছু কথা বলেছেন। ল্যাপটপে নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারের ফ্লোর প্ল্যান এবং আপদকালীন সময়ে ট্রাম্প টাওয়ার থেকে মানুষজন বের করে নেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, মার্কিন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনও রয়েছে এতে। ল্যাপটপে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস সম্পর্কে তথ্য আছে বলে আইন প্রয়োগকারী সূত্রগুলোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে সিবিএস নিউজ। মার্কিন নিউজ চ্যানেল সিএনএনকে এক কর্মকর্তা বলেছেন, এ ঘটনাকে জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে শিথিলতা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, ওই এজেন্টের গাড়ি বারান্দায় রাখা গাড়িতে একটি ব্যাগের ভেতরে ল্যাপটপ ও আনুষাঙ্গিক কিছু নথিপত্র রাখা ছিল, ব্যাগটি খুঁজে পাওয়া গেলেও ল্যাপটপটি পাওয়া যায়নি।
