ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নোয়াখালীতে বজ্রপাতে নিহত এক ॥ ঝড়ে ফসলের ক্ষতি

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ১৯ মার্চ ২০১৭

নোয়াখালীতে বজ্রপাতে নিহত এক ॥ ঝড়ে ফসলের ক্ষতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, নোয়াখালী, ১৮ মার্চ ॥ সুবর্ণচরে বজ্রপাতে সেলিম (৪০) নামের এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে উপজেলার চরজব্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। একই সময় কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় উঠতি বোরো ও রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর ডিগ্রী কলেজের টিনশেড ঘরের চাল উড়ে গেছে। এতে ভেতরে থাকা স্কাউটসদের কম্পিউটার ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের ক্ষতি হয়েছে। চরজব্বর ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম জানান, ঝড়ের সময় তার ইউনিয়নের চরজব্বর গ্রামে সেলিম নামে এক ব্যক্তি বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন। তিনি তখন মাঠ থেকে গবাদিপশু আনতে গিয়েছিলেন। এ ছাড়া ঝড়ে ইউনিয়নের কৃষি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান চেয়ারম্যান। এছাড়া গাছ-পালা উপড়ে পড়ায় জেলার বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ডিডি প্রণব ভট্টাচার্য ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিকেলে জানান, ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নিরূপণের কাজ চলছে। এখনও প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। তবে চাটখিল ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় বেশি ক্ষতি হতে পারে বলে স্থানীয়ভাবে জানানো হয়েছে। কুড়িগ্রাম স্টাফ রিপোর্টার কুড়িগ্রাম থেকে জানান, মৌসুমের শুরুতে শনিবার বিকেলে কুড়িগ্রাম ও তার আশপাশের এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়। এই শিলাবৃষ্টি ১০ থেকে ১৫ মিনিট স্থায়ী থাকে। হঠাৎ করে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় আমের মুকুলের এবং গমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, কুড়িগ্রাম এবং তার আশপশের এলাকায় এ মৌসুমে বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি শুরু হবার কিছুক্ষণ পর ব্যাপক শিল পড়তে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে রাস্তাঘাটসহ সব এলাকা শিলে সাদা হয়ে যায়। বেলগাছার কৃষক বাবলু রায় জানান, হাঠাৎ করে এই শিলাবৃষ্টিতে আমের মুকুল আর গম ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কারণ কয়েকদিন পরেই গম ঘরে তুলবে কৃষকরা। নাটোর নিজস্ব সংবাদদাতা নাটোর থেকে জানান, মৌসুমের প্রথম শিলাবৃষ্টিতে উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শনিবার দুপুরে হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে এ ক্ষতি হয়। কিছু কিছু জায়গা বৃষ্টির বদলে হয়েছে শুধু শিলা। এতে হালতিবিলসহ আশপাশের উপজেলায় উঠতি ফসল গম, রসুন, পেঁয়াজ, ভুট্টার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বোরো ধান, তরমুজ, আম ও লিচুর ক্ষতি হয়েছে। তবে কৃষি অফিস বলেছে, মাঠ পর্যায়ে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয় করা হচ্ছে। এলাকাবাসীরা জানায়, শনিবার বেলা ৩টার দিকে নলডাঙ্গা, সিংড়া, গুরুদাসপুর এবং সদর উপজেলায় হঠাৎ করে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়। এ সময় ছোট ছোট শিলাবৃষ্টির পাশাপাশি বড় আকারের শিলাও পড়ে। পনেরো মিনিট ধরে চলা শিলাবৃষ্টিতে স্থানীয় শিশুকিশোর ও মহিলারা বাটি নিয়ে শিলাখ- কুড়াতে দেখা গেছে। প্রতিটি শিলের ওজন ছিল ১শ’ গ্রাম থেকে ১৫০ গ্রাম পর্যন্ত। নলডাঙ্গা উপজেলার মাধনগর ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন জানান, মাধনগর এলাকায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়। ওই এলাকার বাসিন্দা মামুনুর রশিদ তোতা জানান, ব্যাপক শিলাবৃষ্টির কারণে মাঠের জমি শিলাতে সাদা হয়ে যায়। এতে পেঁয়াজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সোনাপাতিল গ্রামের কৃষক আসাদ আলী বলেন, তার জমির পেঁয়াজের কদম ফুল ভেঙ্গে গেছে। আর পেঁয়াজের গাছগুলো মাটি পড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে পচন ধরে নষ্ট যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উপজেল কৃষি অফিসার আমিরুল ইসলাম জানান, শিলাবৃষ্টিতে লাগানো চারা পেঁয়াজ, পেঁয়াজের কদম ফুলের ক্ষতি হতে পারে, তবে কি পরিমাণ ক্ষতি হবে তা তাৎক্ষণিক নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি।
×