ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রূপগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ১৯ মার্চ ২০১৭

রূপগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ১৮ মার্চ ॥ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের দড়িকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষের সঙ্কটের কারণে জরাজীর্ণ-ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাটিতে বসে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। ভবন না থাকায় শ্রেণী সঙ্কটের কারণে পর্যাপ্ত বসার জায়গা নেই বিদ্যালয়টিতে। তাই ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। দড়িয়াকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে ৩টি ভবন রয়েছে। ১৯৬৫ সালে স্থাপিত হওয়া ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর ২০০৭ সালে এটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। এরপর ১৯৯৬ সালে বিদ্যালয়ে নতুন একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। ভবন পুনর্নির্মাণের ২০ বছর যেতে না যেতেই ভবনটির বিভিন্ন অংশে ভাটল দেখা দিয়েছে। ভবনে ভাটল ধরার পরও কোন উপায় না পেয়ে শিক্ষকদের এ ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণীকক্ষেই পাঠদান করতে হচ্ছে। এ বিদ্যালয়টিতে ৩৩২ জন শিক্ষার্থী ও ৭ জন শিক্ষক রয়েছে। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকই ৯০ ভাগই হতদরিদ্র। অভিভাবকদের মধ্যে প্রত্যেকেই কোন না কোন শিল্প কারখানায় শ্রমিক। তাই অভিভাবকরা তাদের ছেলেমেয়েদের কম খরচের কারণে বিদ্যালয়ের ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও এখানে ভর্তি করাচ্ছে। বিদ্যালয়ের দুইটি ভবনই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। একটি ভবনের বাকি ৪টি কক্ষে দেয়ালে বিভিন্ন অংশে বড় ধরনের ভাটল ধরেছে। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, এ বিদ্যালয়টিতে কোন বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা না থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের অস্বাস্থ্যকর পানি পান করতে হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রশাসন ও বিভিন্ন জন প্রতিনিধিদের জানানোর পর তারাও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ভবনের গুরুত্বপূর্ণ খুঁটিতে ফাটল ও ছাদের মূল অংশে ফাটল দেখা দেয়ার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠছে। বাধ্য হয়েই ভবনের মধ্যেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই পাঠদান চলতে থাকলে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আব্দুল আলীম বলেন, ভবনগুলো ভাটল ধরার উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও ওপর মহলের কর্মকর্তাদের বেশ কয়েকবার জানানো হলেও এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি বিউটি আক্তার বলেন, এ ব্যাপারটি কয়েকবার উপজেলার শিক্ষা অফিসারকে জানানো পরও এ ব্যাপারে তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এ ব্যাপারে শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নতুন ভবনের তালিকায় বিদ্যালয়টির নাম রয়েছে অনুমোদন আসলে নতুন ভবন করা হবে।
×