ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজস্ব আহরণ করে প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প ’২১ ও ’৪১ সার্থক করতে চাই ॥ এনবিআর চেয়ারম্যান

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ১৮ মার্চ ২০১৭

রাজস্ব আহরণ করে  প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প  ’২১ ও ’৪১  সার্থক করতে  চাই ॥ এনবিআর  চেয়ারম্যান

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ১৭ মার্চ ॥ এনবিআর চেয়ারম্যান মোঃ নজিবুর রহমান বলেছেন, বাজেটে শুধু আয়-ব্যয় নয়, সরকারের রাজনৈতিক দর্শনও প্রতিফলিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দর্শন ও উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে যত রাজস্ব দরকার হবে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সকলের সহযোগিতায় তা সংগ্রহ করে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখবে। আমরা রাজস্ব আহরণ করে প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ স্বার্থক করতে চাই। প্রথমবারের মতো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রাক-বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গোপালগঞ্জ সুইমিং পুল এ্যান্ড জিমনেসিয়াম অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘রাজস্ব সংলাপ’-২০১৭ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি আরও বলেন, এখন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস্্ বা টেকসই উন্নয়নের অধ্যায়। এ অধ্যায়ের মূল সূত্রই হচ্ছেÑ প্রতিটি দেশকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করে উন্নয়নের অর্থায়ন করতে হবে। এ ধারণাটি ২০১৫ সালের শেষদিকে প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু করেছেন তার আগেই, অভ্যন্তরীণ সম্পদ দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণার মধ্য দিয়ে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক দিকনির্দেশনায় এবং অর্থমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে একটা ব্যবসাবান্ধব, বিনিয়োগবান্ধব ও শিল্পবান্ধব পরিবেশ তৈরির প্রয়াস চালাচ্ছে। রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে একটি রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের জন্ম হয়েছে জাতির জনকের হাতে। ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনের ৪র্থ দফাই ছিল পূর্বাঞ্চলের রাজস্ব ব্যবস্থাপনার অধিকার থাকতে হবে। সেই যে বীজ তিনি বপন করেছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭২ সনে রাষ্ট্রপতির আদেশ নম্বর ৭৬ বলে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গঠন করেন। বাজেট ছিল ৭০০ কোটি টাকা, আর রাজস্ব আহরিত হয়েছিল ১৬৬ কোটি টাকা। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশেও প্রতিবছর প্রবৃদ্ধি ছিল জাতির জনকের শহীদ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রায় ৬০ শতাংশ। স্বাধীনতার শুরুতেই আমাদের জনসাধারণ একটা ক্রোড় প্রদানের ইতিবাচক মানসিকতা দেখিয়েছেন। কর, শুল্ক ও ভাট প্রদানে সকলের সহযোগিতা কামনা করে তিনি আরও বলেন, উন্নয়নের অক্সিজেন হচ্ছে রাজস্ব এবং রাজস্ব এলে তা জনকল্যাণে ব্যবহার হবে। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় রাজস্ব ভবন হবে। স্বাধীনতার পরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ১৬৬ কোটি টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, গতবছর আমরা ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব সংগ্রহ করেছি। এ বছর ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকার রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে বিশ্ব-বাণিজ্য কেন্দ্র উদ্বোধন করতে গিয়ে ‘আমরা স্বাবলম্বী হব, সকলে কর দেব’Ñ প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে গতবছর আয়কর মেলায় মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। উৎসবমুখর পরিবেশে সারাদেশে করদাতারা এনবিআরের কাছে কর জমা দিয়েছেন, যেটাকে আমরা একটা চূড়ান্ত পর্যায়ে দেখছি। আমরা এ ধারাবাহিকতা নিয়ে এগোতে চাই।
×