ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রদ্ধা ভালবাসায় জাতির জনকের জন্মদিন পালন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার শপথ

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১৮ মার্চ ২০১৭

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার শপথ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ কৃতজ্ঞ বাঙালী জাতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় স্মরণ করল বাংলাদেশ নামক ভূখ-ের স্বাপ্নিক স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমানকে। দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে সন্ত্রাস-নাশকতা-জঙ্গীবাদ ও ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের দৃপ্ত শপথে শুক্রবার বাঙালী জাতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বঙ্গবন্ধুকে। দিনভর জাতির পিতার প্রতিকৃতি ও মাজারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন, শিশু সমাবেশ, আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্রন্থমেলা, কেক কাটা, স্বেচ্ছায় রক্তদান, বিনামূল্যে চিকিৎসা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনসহ সরকারী-বেসরকারী নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালিত হয় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধুর ৯৭তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার ভোর থেকে রাত অবধি ঐতিহাসিক ধানম-ির ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত বাসভবন এবং টুঙ্গিপাড়ায় মাজারে নেমেছিল শ্রদ্ধা জানাতে আসা সর্বস্তরের মানুষের ঢল। দিবসটি উপলক্ষে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের পাশাপাশি রাজধানীসহ সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শের ওপর আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বইমেলা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বঙ্গবন্ধুর ওপর তৈরি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এবং মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সরকারের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ৭টায় ধানম-ির ৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে রক্ষিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। এ সময় তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সামরিক বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল বঙ্গবন্ধুকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন। পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা দলীয় নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে যান। সেখানে তিনি কিছু সময় অতিবাহিত করেন। সকাল ১০টা রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যান। সেখানে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করে তাঁরা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল এ সময় সশস্ত্র সালাম জানায়। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। পরে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফাতেহা পাঠ শেষে মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় মন্ত্রিসভার সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও উপস্থিত ছিলেন। পরে রাষ্ট্রপতি মাজার প্রাঙ্গণে রাখা পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এরপর সেখানে শিশু সমাবেশ, আলোচনাসভা, গ্রন্থমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতার জন্মদিন পালনে আনন্দ-উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং সাম্প্রদায়িকতা ও কুপমন্ডুকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক সোনার বাংলা গড়ে তোলার দুর্জয় প্রেরণা ও ইষ্পাতকঠিন প্রত্যয় ছিল শ্রদ্ধা জানাতে আসা সারাদেশের কৃতজ্ঞ বাঙালী কণ্ঠে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে রাজপথে অতন্দ্র প্রহরীর মতো থাকার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন তারা। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা শিশু একাডেমির উদ্যোগে দেশব্যাপী সকল জেলা ও উপজেলা সদরে শিশু সমাবেশ, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারসহ সকল গণমাধ্যম বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে। তথ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর এবং গণযোগাযোগ অধিদফতরের আয়োজনে জেলা ও উপজেলা সদরে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও মহান মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সপ্তাহব্যাপী পুস্তক ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হচ্ছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশব্যাপী সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে দিবসটি যথাযথভাবে উদ্্যাপন করা হয়। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করা হয়। ধানম-ির ৩২ নম্বরে মানুষের ঢল ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার ভোরে তাঁর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে ধানম-ি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে জনতার ঢল নামে। সকাল সাড়ে ৬টার আগেই বঙ্গবন্ধু ভবনের আশপাশের এলাকা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষ ধানম-ি ৩২ নম্বর সড়কের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে জমায়েত হতে থাকে। বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে উপস্থিত হাজার হাজার নারী-পুরুষের কণ্ঠে উচ্চারিত জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জামায়াত শিবির রাজাকার এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই দিতে হবে, মুজিবের বাংলায় খুনী খালেদার ঠাঁই নাই’ ইত্যাদি নানা সেøাগানে এলাকার পরিবেশ ছিল মুখরিত। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, আবদুল মান্নান খান, সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, মাহবুবউল আলম হানিফ, আকতারুজ্জামান, আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এনামুল হক শামীম, ড. হাছান মাহমুদ, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল প্রমুখ। পরে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতারের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময়ে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টি জেপির শেখ শহীদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ভবন এলাকা ত্যাগ করার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, তরুণ লীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, মৎস্যজীবী লীগ, হকার্স লীগ, তাঁতী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা জনতা লীগ, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, ওলামা লীগ, জাতীয় বিদ্যুত শ্রমিক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন, বঙ্গবন্ধু আইন পরিষদসহ অসংখ্য দল ও সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধুর প্রতিৃকতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নাধীন মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের আওতায় প্রাক্-প্রাথমিক, বয়স্ক ও সহজ কোরান শিক্ষার মোট ৫৯ হাজার ৯৬৮টি কেন্দ্রে এবং ইসলামিক মিশনের আওতায় ১৯টি এবতেদায়ি মাদ্রাসা ও ৩৯৫টি মক্তবসহ সারাদেশে ৬০ হাজার ৩৮২ স্থানে সকাল ৯টায় কোরানখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে এক বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়। প্রার্থনা সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার শান্তি ও সদগতি কামনা করা হয়। এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এদিকে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল- সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সঙ্গীতানুষ্ঠান প্রভৃতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় মসজিদসহ আবাসিক হল, হোস্টেল, মসজিদ ও উপাসনালয়ে দোয়া ও প্রার্থনা করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়েও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে সকালে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের ক্যাফেটেরিয়ায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ৩টি গ্রুপে এই প্রতিযোগিতায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজ, উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, নীলক্ষেত উচ্চ বিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকার শিশুরা অংশগ্রহণ করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদ ধানম-ির বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে শোভাযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি লায়ন গণি মিয়া বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে কবি কাজী রোজী এমপি বক্তব্য রাখেন। এদিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর পান্থপথে স্টার সিনেপ্লেক্সে বিনামূল্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ত্রিমাত্রিক ভিডিওচিত্র ‘পিতা’র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেড় হাজার শিশু-কিশোরসহ আগ্রহীরা বিনামূল্যে এ প্রদর্শনী উপভোগ করে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ দেশের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও গণমাধ্যম অঙ্গনের বিশিষ্টজনরা স্টার সিনেপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে কেক কেটে এ প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে পথশিশুদের মাঝে খাবার, পানি ও বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। দুপুরে রাজধানীর পরীবাগে প্রায় দুই শতাধিক পথশিশুর মাঝে এসব খাবার ও উপকরণ বিতরণ করা হয়। সকালে বাংলা একাডেমির বটতলায় জড়ো হয়ে মগ্ন হয়ে বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা ঘটনা শুনে শিশুরা; মাঝে মাঝেই হাততালি দিয়ে ও প্রশ্ন করে জানান দেয় সরব উপস্থিতির কথা। কেমন ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কী করে হয়েছেন টুঙ্গিপাড়ার ছোট্ট খোকা থেকে জাতির পিতা; বাল্যকাল থেকে তার মমত্ববোধ কেমন ছিল- এমন বহু গল্প শিশু-কিশোরদের শুনিয়েছেন তাদের প্রিয় ব্যক্তিত্বরা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ‘বঙ্গবন্ধুর গল্প শোনো’ শিরোনামে বাংলা একাডেমির ওই আয়োজনে রাজধানীর পাঁচটি স্কুলের প্রায় পাঁচশ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। শুক্রবার সারাদিন ধরেই দেশজুড়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের রেকর্ড বাজানো হয়। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিভিন্ন বেসরকারী টিভি চ্যানেল দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে। জাতীয় দৈনিকগুলো প্রকাশ করে বিশেষ ক্রোড়পত্র। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেড় হাজার শিশু-কিশোরসহ আগ্রহীরা এ প্রদর্শনী উপভোগ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নির্দেশে শুক্রবার সারাদেশে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সব সরকারী হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। এ সময় রোগীদের কাছ থেকে হাসপাতালের নির্ধারিত ফি নেয়া হয় না। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশের সকল সরকারী হাসপাতালে রোগীদের উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
×