ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লৌহজংয়ে শাখা পদ্মায় ডুবোচর ॥ ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ১৮ মার্চ ২০১৭

লৌহজংয়ে শাখা পদ্মায়  ডুবোচর ॥ ভোগান্তি

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ ॥ লৌহজংয়ে পদ্মার শাখা নদীতে ডুবোচরের কারণে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। শিমুলিয়া-লৌহজং পদ্মা নদীর মাঝখানে জেগে উঠেছে এই চর। কুমারভোগ ইউনিয়নের শিমুলিয়া থেকে তেউটিয়া-লৌহজং ইউনিয়নের ঘোড়দৌড় পর্যন্ত এই চর এখন দৃশ্যমান। সকালে নদীতে জোয়ারের সময় চরটি আধা কিলোমিটার এবং বিকেলে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ লম্বা হয়। এই চর পড়ার কারণে পদ্মাচরের দুই হাজার বাসিন্দা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। ফলে মানুষজনের নিকটবর্তী হাটবাজার, রোগীদের হাসপাতাল, স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রীদের জন্য চলাচল অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। নদীর বুকে চর পড়ার কারণে শিমুলিয়া-লৌহজং শাখা নদীটি দিন দিন নাব্য হারাচ্ছে। এর ফলে লৌহজংয়ের তীরবর্তী জেলেরা জীবিকা হারানোর ভয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ছে দিন দিন। গত দুই মাস আগে থেকে এই চর আস্তে আস্তে পড়তে শুরু করে। কনকসার বাজারের দক্ষিণে পদ্মাতীরবর্তী এলাকার চরের বাসিন্দাদের প্রথম দিকে সকালে জোয়ারের সময় এক কিলোমিটার এবং বিকেলে দুই কিলোমিটার ঘুরে আসতে হতো। এখন সেই দূরত্ব বেড়ে তিনগুণ দাঁড়িয়েছে। এ প্রসঙ্গে কথা হয় লৌহজংয়ের পদ্মা চরের বাসিন্দা সত্তরোর্ধ খালেক মাদবর ও পঞ্চাশোর্ধ শাহজাহানের সঙ্গে। তারা জানান, পদ্মা চরে উৎপাদিত সবজি ও খামারের দুধ বিক্রি আমাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পদ্মা চর থেকে ট্রলারে উঠে নদীর মাঝে চরে নেমে কিছু দূর হেঁটে হাঁটু সমান পানি পেরিয়ে আমাদের নানা জায়গায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। পদ্মা চরবাসীদের ভোগান্তি নিয়ে কথা হয় কনকসার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, উপজেলার আগামী উন্নয়ন সভায় চরবাসীদের এই সমস্যা নিয়ে তিনি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন। পরিকল্পিতভাবে নানা পদক্ষেপ নেয়া হবে। শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা বলেন, শাখা নদীর মাঝে এই বড় চরটির অবস্থা কি হবে সে জন্য আরও একটু অপেক্ষা করতে হবে। তবে এখন চরের হাজারো মানুষের যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
×