ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু ॥ চিকিৎসক লাঞ্ছিত

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ১৮ মার্চ ২০১৭

হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু ॥ চিকিৎসক লাঞ্ছিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ১৭ মার্চ ॥ ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বজনদের হাতে এক চিকিৎসক লাঞ্ছিত হয়েছেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। শুক্রবার দুপুর দুটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বড় গোপালদী গ্রামের বাসিন্দা রোকেয়া বেগম (৫৫) মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি হাসপাতালের চার তলায় মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এ ঘটনার পর মৃতের ছেলেসহ স্বজনরা ‘অবহেলা ও ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে’ এ অভিযোগ এনে মারমুখী হয়ে ওঠে এবং হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও সেবিকাদের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় চিকৎসক ও সেবিকারা আত্মগোপন করলেও মেডিসিন বিভাগের মেডিক্যাল কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলাম লাঞ্ছিত হন। পরে রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে ভাংচুর করার উদ্যোগ নিলে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। মৃত রোগীর ছেলে আবু তাহের অভিযোগ করেন, চিকিৎসকদের অবহেলায় আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। আমি সোয়া একটা দিকে জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেও মায়ের অবস্থা ভাল দেখে গেছি। দুপুর ২টার দিকে এসে দেখি মা আর বেঁচে নেই। ওই হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মজিবুর রহমান জানান, রোগীর চিকিৎসার ব্যাপারে কোন অবহেলা হয়নি। রোগীর শারীরিক অবস্থা খারপ ছিল এবং সিটিস্ক্যান প্রতিবেদনও ভাল ছিল না। কলাপাড়া নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া থেকে জানান, কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সালমা বেগম (৪০) এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রোগীর সৃজন এবং স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে চিকিৎসক জেএইচ খান লেনিনকে লাঞ্ছিত করতে যায়। এ নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুক্রবার সকালে এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। রোগীর স্বজনরা ডাক্তার ও নার্সদের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন। চিকিৎসক জানান এ রোগীকে তারা আগেই বরিশালে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এ নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, নীলগঞ্জের রহমতপুর গ্রামের রুহুল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী সালমা বেগম বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি হন। শ^াসকষ্ট ও পেটের পীড়াজনিত অসুখে আক্রান্ত সালমা ডাঃ জে এইচ খান লেনিনের তত্ত্বাবধানে ভর্তি ছিলেন। সালমার ছেলে সোহেল হাওলাদার জানান, রাত সাড়ে আটটায় রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন চিকিৎসক লেনিনকে জানানো হলেও তিনি কর্ণপাত করেননি। এছাড়া মধ্যরাতেও তাকে বলা হয়েছে। তখন বরিশাল নেয়ার জন্য বলেছেন। কিন্তু রোগী দেখেননি। একপর্যায়ে শুক্রবার সকালে (সাড়ে ৮টায়) একটি ইনজেকশন দেয়ার পরেই তার মা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এদের অভিযোগ ডাক্তার-নার্স যারাই ডিউটিতে ছিলেন কেউ কর্ণপাত করেননি। ডাঃ লেনিন জানান, রোগীর লাঞ্চে সমস্যা ছিল। তিনি তিন দফা দেখেছেন। বিভিন্ন পরীক্ষা করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলেই বরিশালে রেফার্ড করা হয়েছে।
×