ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১৭ মার্চ ২০১৭

উবাচ

দলের ছাতা স্টাফ রিপোর্টার ॥ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো হচ্ছে যুবলীগ, কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ ও তাঁতী লীগ। এছাড়া ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের স্বীকৃতি রয়েছে ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের। কিন্তু এর বাইরে ওলামা লীগ, প্রজন্ম লীগ, প্রচার লীগ এ রকম নানা বাহারি শব্দ যোগ করে দোকান খোলা হয়েছে। কেউ একে বলছেন ব্যাঙের ছাতা আবার যারা এসব দলের নেতাকর্মী তারা বলছেন, না এটা তো দলেরই ছাতা। আবার ঘোষিত যেসব সহযোগী সংগঠন রয়েছে সেখানেও প্রশ্ন একটাইÑ যাদের জন্য দল তারা কোথায়? দেশের কৃষক লীগের নেতারা কি কৃষক? শ্রমিক লীগের নেতারা তো অনেক আগে থেকেই শ্রমিক নয়। ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন পর্যায় থেকে এদের অবৈধ আখ্যা দেয়া হচ্ছে। নেতারাও মাঝে মধ্যেই বলেন, আমাদের দলের নাম ভাঙিয়ে এসব করলে দেখে নেব কিন্তু! কিন্তু দোকান তো দোকানের মতোই চলে। এর অর্থ কী এরা ক্ষমতাসীনদের চেয়েও ক্ষমতাধর? নাকি ক্ষমতাসীনরাই আন্তরিক নয়! সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা সংগঠনের সংবাদ না ছাপাতে সংবাদ মাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি শুধু দলের সাধারণ সম্পাদকই নন, প্রভাবশালী মন্ত্রীও বটে। তিনি কেন এসব বন্ধ করতে পারেন না এমন প্রশ্ন জনমনে উঠতেই পারে। স্বীকৃত সহযোগী সংগঠন সম্পর্কেও কাদের সম্প্রতি বলছেন ‘কৃষক লীগের গুলশান শাখার কী দরকার, ধানম-ি শাখার কী দরকার! ধানম-িতে যে ধানচাষ হয় তা তো আমি জানি না!’ তিনি বলেন বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক লীগের যুক্তরাষ্ট্র শাখার কী দরকার? শ্রমিক লীগের বিদেশে কী দরকার? সৌদি আরব শাখার কী দরকার? কৃষক লীগের কাতার শাখার কী দরকার? তাঁতী লীগ নাম দেখলাম কুয়েত না কাতারে। তার আবার দুই কমিটি!’ ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আরেকটা হচ্ছে তরুণ লীগ! এই লীগের হেডকোয়ার্টার কোথায়? ৫০০ টাকা দিয়ে একটা সিল বানালেই তো হয়ে যায়!’ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এসব দোকানের স্বীকৃতি আমরা দেব না। এগুলো আওয়ামী লীগের সুনাম নষ্ট করছে। জনগণের কাছে ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করছে।’ ফেসবুক পার্টি স্টাফ রিপোর্টার ॥ পেট্রোলবোমা মারলে, মানুষ পোড়ালে, নির্মম হত্যাকা- চালালে সেই মানুষকে রাজনীতিতে পাশে পাওয়া কঠিন। বিএনপিও পাচ্ছে না। কর্মসূচী দিলেও মানুষ আসছে না। হরতাল ডাকলেও সফল হবে না ভেবে ও পাথ মাড়াচ্ছে না। কেনই বা এই বোমা পার্টির পাশে মানুষ দাঁড়াবে? পাশে দাঁড়াতে গেলে আবার সেই মানুষের গায়ে না আগুন দেয়! বিএনপিও বিষয়টি বুঝতে পেরেছে। এখন কয়েক দিন পর পর জিয়ার মাজার আর প্রায় প্রতিদিনই প্রেসক্লাব দলটির রাজনৈতিক কর্মসূচীর নতুন ঠিকানা হয়েছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদ বিএনপিকে ফেসবুক পার্টির সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি সম্প্রতি খুলনায় একটি দলীয় কর্মসূচীতে বলেছেন, বর্তমানে বিবৃতি আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বাইরে বিএনপির কোন কর্মকা- নেই। এইচএম এরশাদ বলেন, ‘বিএনপি জাতীয় পার্টির ওপর যে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে, তার ফল এখন তারা ভোগ করছে। ২৬ বছর জাতীয় পার্টি ক্ষমতার বাইরে। এর মধ্যে ছয় বছর আমি জেলে ছিলাম। তা সত্ত্বেও জাতীয় পার্টি টিকে আছে। বর্তমান রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি ভাল অবস্থানে রয়েছে। র! র! র! স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়াউর রহমান হত্যাকা-ে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ হাত ছিল বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রিজভী এই দাবি তুলে বলেন, র’ কাদের স্বার্থে কাজ করে, দেশের জনগণ ভালভাবেই জানে। জিয়া হত্যাকা-ে ‘র’ এর সম্পৃক্ততার অভিযোগের পক্ষে ভারতের সানডে সাময়িকীর একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেন রিজভী। এই সাময়িকীর তখন সম্পাদক ছিলেন এম জে আকবর। কংগ্রেসঘেঁষা এই সাংবাদিক রাজনৈতিক আদর্শ বদলে এখন বিজেপিতে আছেন। রিজভী বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা একটি ফাইল খুলেছিল, যা ভারতের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘সানডে’ তে ছাপা হয়েছিল প্রায় ২৫-২৬ বছর আগে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয় যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোরারজী দেশাই আসার পর ওই ফাইলটি বন্ধ করে দেয়া হয়। তার আগে ইন্দিরা গান্ধী এই ফাইলটি চালু করেন। ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসলে ওই ফাইলটি আবার চালু করা হয়। এর কিছুদিনের মধ্যেই ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জিয়াউর রহমান নিহত হন কিছু উচ্ছৃঙ্খল সৈনিকের হাতে বলে জানান রিজভী।
×