ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশে কখনও জঙ্গীবাদ সন্ত্রাসের স্থান হবে না

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১৭ মার্চ ২০১৭

বাংলাদেশে কখনও জঙ্গীবাদ সন্ত্রাসের স্থান হবে না

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেধাবী শিক্ষার্থীরা যাতে বিপথগামী হয়ে জঙ্গীবাদে জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে শিক্ষক ও অভিভাবকদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, যেখানেই হোক জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসের স্থান কখনও বাংলাদেশে হবে না। তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে সরকার। আজকে বিশ্বব্যাপী একটি নতুন উপসর্গ শুরু হয়েছে- জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকাসক্তি। এর বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সকলে এ ব্যাপারে যদি একটা সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারেন, তাহলে আমরা দেশকে নিশ্চয় জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে সক্ষম হব। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সংস্থার বিজ্ঞানী ও গবেষকদের এবং মেধাবী ছাত্রছাত্রীর মধ্যে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ ও বিশেষ অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা অত্যন্ত মেধাবী। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও যারা পড়াশোনা করে, তারা তাদের মেধার দৃষ্টান্ত রেখে যাচ্ছে। তাই এরা যেন কেউ বিপথে না যায়, এ ধরনের জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকে, সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেয়ার জন্য শিক্ষক-অভিভাবক থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আমি আবেদন জানাচ্ছি। তাছাড়া আমাদের সরকার এ ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এসবের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা আরও নেব । বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়কমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সিরাজুল হক খান। এ বছর ১৭০২শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং গবেষণা অনুদান প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাবৃন্দ, বেসরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ ব্যক্তিবর্গ, দেশবরেণ্য গবেষক ও বিজ্ঞানী এবং ফেলোশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয়ী জাতি, এটা সব সময় আমাদের মনে রাখতে হবে। কাজেই আমরা কোন সময় পিছিয়ে যেতে পারি না। আমরা কারো অনুগ্রহ, অনুকম্পা নিয়ে নয়, মাথা উঁচু করে বিশ্বসভায় চলব। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে তার সরকার শিক্ষা, গবেষণা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। কারণ উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ যদি আমরা গড়তে চাই তাহলে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হচ্ছে শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো, গবেষণা বাড়ানো এবং বিজ্ঞানের চর্চা বৃদ্ধি করা। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা বায়ো-টেকনোলজিক্যাল সায়েন্স, মেডিক্যাল সায়েন্স, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড এ্যাপ্লায়েড সায়েন্স এবং খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনে গুরুত্ব প্রদান করেছি। যে কারণে আমরা আজ খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত দেশ, মৎস উৎপাদনে (মিঠা পানির মাছ) বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছি। সবজি উৎপাদনে তৃতীয় এবং মাংসসহ অন্যান্য উৎপাদনেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এসব উন্নয়ন এমনিতেই হয়নি, আমি বলব সবই বিজ্ঞানের অবদান, গবেষণার অবদান। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই সকলে এই গবেষণার কাজ আরও মনোযোগের সঙ্গে করবেন। যারা সত্যিই গবেষণা করে কোন ফল জাতিকে দিতে পারবেন তাদের জন্য আমাদের চিন্তা-চেতনাতেই আছে আরও বেশি সহযোগিতা করে যাওয়া। আমরা তা করে যাব। তিনি বলেন, আমাদের সীমিত সম্পদ এটা ঠিক। কিন্তু আমি মনে করি, পরিকল্পিতভাবে সীমিত সম্পদ যদি আমরা ব্যবহার করতে পারি এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে এটার ব্যবহার যদি নিশ্চিত করতে পারি তাহলে আমাদের কারো মুখাপেক্ষী হয়ে চলতে হবে না। আমরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে মাথা উঁচু করে বিশ্বসভায় এগিয়ে যাব। এটাই হচ্ছে আমাদের লক্ষ্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি লক্ষ্য স্থির না থাকলে দেশ উন্নত হতে পারে না। ২০২১ সালে যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব, ওই সময়ের মধ্যে আমরা দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ২০১৪ সালে যে নির্বাচনী ইস্তেহার দিয়েছিলাম সেখানে আমরা ঘোষণা করেছিলাম যে, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ। আমরা ইতোমধ্যে পরমাণু যুগে প্রবেশ করেছি পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই পরমাণু বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্পটি বহুকাল ধরে অবহেলিত ছিল, কিছুতেই কাজে লাগানো যাচ্ছিল না, এখন সেখানে আমরা পা দিচ্ছি। এজন্য আমাদের প্রচুর বিজ্ঞানী দরকার। পরমাণু শক্তি কেন্দ্রটি পরিচালনার জন্য পরমাণু জ্ঞানসম্পন্ন বিজ্ঞানী আমাদের দরকার হবে। এজন্য প্রশিক্ষণও দরকার, এই কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন এই বিজ্ঞান শিক্ষার দিকে ভবিষতে এগিয়ে আসে। তারাই এগুলো পরিচালনা করতে পারবে। সেদিকে আমরা দৃষ্টি দিতে চাচ্ছি। ন্যানো-টেকনোলজি এখন এসেছে, সেটাও আমাদের চিকিৎসা সেবা থেকে শুরু করে বহু কাজে এর ব্যবহার হয়। কাজেই সেদিকেও আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছি এবং সেটা কতটা ব্যবহার করা যায় ও কাজে লাগানো যায় তা অবশই আামরা দেখব। তিনি বলেন, আমরা বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি। মিয়ানমার এবং ভারতের সঙ্গে সমুদ্রবিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসা করায় বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ জলরাশিতে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে এবং ‘ব্লু ইকোনমি’র দ্বার উš§ুক্ত হয়েছে। সমুদ্র গবেষণায় জাহাজ সংগ্রহসহ ‘সী এ্যাকুয়ারিয়াম’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্র সম্পদ গবেষণার জন্য আমাদের একটি সী এ্যাকুয়ারিয়াম প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। কারণ, বার বার সাগরে নেমে গবেষণা করা যাবে না। আর জাহাজ কেনারও আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যেই আমরা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে দেশকে উন্নতির লক্ষ্যে তার সরকার কাজ করছে। বিজ্ঞানকে নানাভাবে ব্যবহার করা এবং বিজ্ঞানের মধদিয়েই আমরা দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করতে পারি। সে লক্ষ্য বাস্তবয়নেই আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের ছেলেমেয়েরা মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করবে সেজন্য অনেক দায়িত্ব আমরা নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছি। ২০১০ সাল থেকে আমরা মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীর মধ্যে বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ করছি। চলতি বছর ৪ কোটি ২৬ লাখ ৫৩ হাজার ৯২৯ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫ বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। গত আট বছরে সর্বমোট ২২৫ কোটি ৪৩ লাখ ১ হাজার ১২৮ বই বিতরণ করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে ৩১ হাজার ১৩১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। বিজ্ঞানমনষ্ক জাতি গঠন, বিজ্ঞানসংক্রান্ত গবেষণা উন্নয়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারের উদ্যোগ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ অন সায়েন্স এ্যান্ড আইসিটি’ প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণাগার ও ইনস্টিটিউটে পরিচালিত গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা, বিশেষ করে এমএস এবং পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের মাধ্যমে আমাদের জাতীয় পর্যায়ে দক্ষ ও বিশেষ যোগ্যতাসম্পন্ন বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ ও গবেষক তৈরিই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান গবেষণায় সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। ফেলোশিপের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন কাজে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা প্রদানের লক্ষ্যে বিজ্ঞানী ও গবেষকদের গবেষণা অনুদান প্রদান করা হচ্ছে। জ্ঞানভিত্তিক ও বিজ্ঞাননির্ভর সমাজ গঠনে এ কর্মসূচী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে আমার বিশ্বাস। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা খাতে সরকারের বরাদ্দ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০০৯-২০১০ অর্থবছর থেকে চলতি অর্থবছর পর্যন্ত ১ হাজার ৭৫৩ প্রকল্পের অনুকূলে ৬৮ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা গবেষণা অনুদান প্রদান করা হয়েছে। বর্তমান অর্থবছরে ৩৯৫ প্রকল্পের বিপরীতে ১১ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হচ্ছে। আমাদের সকল কর্মসূচীর মূল লক্ষ্য মানুষের কল্যাণ করা। দেশে বিজ্ঞান গবেষণায় অতীতের দুরবস্থার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর দেখলাম গবেষণার জন্য একটি টাকাও খরচ করা হতো না। আমরাই সর্বপ্রথম ১২ কোটি টাকা অনুদান ধার্য করেছি বিজ্ঞান গবেষণার জন্য। স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রী অত্যন্ত কম ছিল। ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার আইন পাস করেছি। একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য না থাকলে দেশ কখনও উন্নত হতে পারে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে সময় ধান ও খাদ্য গবেষণায় গুরুত্ব দিয়েছিলাম বলেই আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। শেখ হাসিনা তার রূপকল্প-২০২১ অনুযায়ী ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারও আহ্বান জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপের অনুদানের চেক নেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব বেগম জহুরা খাতুন ও আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রভাষক তানভির হাসান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার এ্যান্ড অটিজম প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক শাহীন আখতার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কবীর উদ্দিন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যানিমেল সায়েন্স বিভাগের ড. মোহাম্মদ মনীরুজ্জামান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু বিন হাসান গবেষণা অনুদানের চেক নেন। এক হাজার ৭০২ জনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপের অনুদানের চেক নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত ও কেমিকৌশল বিভাগের আশিষ কুমার বিশ্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বেগম ফাহমিদা সুলতানা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কেয়া মজুমদার ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের পিএইডি গবেষক আবদুল্লাহ আলম মোবিন।
×