ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষক-কর্মচারী-ছাত্র আন্দোলনে অচল বাংলাদেশ মেডিক্যাল

প্রকাশিত: ০৫:০১, ১৭ মার্চ ২০১৭

শিক্ষক-কর্মচারী-ছাত্র আন্দোলনে অচল বাংলাদেশ মেডিক্যাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিক্ষক, চিকিৎসক ও ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। উদ্যোক্তা সংস্থা বাংলাদেশ মেডিক্যাল স্টাডিজ এ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউশনের (বিএমএসআরআই) কতিপয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও শিক্ষকদের হয়রানির অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। গত বুধবার থেকে জরুরীসেবা ও পরীক্ষা ছাড়া কলেজ ও হাসপাতালের সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, বিএমএসআরআই’র কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার দুর্নীতির কারণে পঙ্গু হতে চলেছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। ষড়যন্ত্রকারীরা কলেজের গবর্নিং বডিকে কাজ করতে দিচ্ছে না। অর্থ অন্যত্র সরিয়ে দুর্বল করে তুলেছে কলেজ ও হাসপাতালের আর্থিক অবস্থা। নিয়মবহির্ভূত কাজের প্রতিবাদ করাতে বিএমএসআরআই’র কতিপয় কর্মকর্তার রোষানলে পড়ছেন কলেজের প্রতিবাদকারী শিক্ষক, চিকিৎসক ও ছাত্রছাত্রীরা। তারা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। অসততার অভিযোগ তুলে বিএমএসআরআই’র চার কর্মকর্তার অপসারণের দাবিসহ এই সঙ্কট নিরসনে সরকারী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে। কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষক, চিকিৎসক ও ছাত্রছাত্রীরা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ডা. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম, ডা. তামজিদ আলম, ডা. আদনান আহমেদ, ডা. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। জানানো হয়, বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, বাংলাদেশ ডেন্টাল কলেজ, উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাকারী সংস্থা হচ্ছে ‘বাংলাদেশ মেডিক্যাল স্টাডিজ এ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউশন (বিএমএসআরআই)’। এটি একটি সোসাইটি আইনে রেজিস্ট্রিকৃত সংস্থা মাত্র। এটি একটি অলাভজনক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। এই সংস্থার নির্বাহী কমিটির ৯ সদস্যের মধ্যে চারজন অফিস বিয়ারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন এবং তাঁরা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। তারা হলেন বিএমএসআরআই’র কো-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ সিদ্দিকুল্লাহ, অনারারি সেক্রেটারি অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ চৌধুরী, ট্রেজারার বেগম শামসুন্নাহার ও কো-অনারারি সেক্রেটারি ডা. এএইচএম রেজওয়ানুল কবির। এই চার ব্যক্তি প্রকিউরমেন্ট ম্যানেজার সাহেদ কামালকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিপুল আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও অসাংবিধানিক কাজে জড়িয়ে পড়েছেন। এই প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত চিন্তা করে দুর্নীতিবাজদের অপকর্ম ও অনিয়মের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, বাংলাদেশ ডেন্টাল কলেজের শিক্ষক, চিকিৎসক ও ছাত্রছাত্রীরা। বিএমএসআরআই’ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির শ্বেতপত্র তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অনারারি পদ হওয়ার পরও বিএমএসআরআই’র ওই সব কর্মকর্তা বেতন-ভাতাদি বাবদ প্রায় ৫২ লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন। বিএমএসআরআই’র অন্তর্ভুক্ত উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জমি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানকল্পে সাহেদ কামালের মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। গত দশ বছরে বিএমএসআরআই’র কোন ধরনের অডিট এবং পাঁচ বছর ধরে কোন বার্ষিক সাধারণ সভা হয়নি। ফলে তাঁদের কোন জবাবদিহিতা ছিল না। বছরের পর বছর ধরে চিরকুটের মাধ্যমে বড় অঙ্কের টাকা উত্তোলন করে নেয়া হয়েছে। অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এই কলেজ ও হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব গবর্নিং বড়ির। বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান হলেন গবর্নিং বড়ির চেয়ারম্যান। প্রিপেইড গ্যাস মিটার সরবরাহে জাপানী কোম্পানির সঙ্গে তিতাসের চুক্তি তিতাস গ্যাসের আবাসিক গ্রাহকদের জন্য প্রিপেইড গ্যাস মিটার সরবরাহ ও স্থাপনের জন্য জাপানী প্রতিষ্ঠান টয়োকেইকি কোম্পানি লিমিটেড এবং তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোং লিঃ-এর মধ্যে ১৬ মার্চ একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তিতাস গ্যাসের পক্ষে কোম্পানির সচিব মোস্তাক আহমেদ ও টয়োকেইকি কোম্পানির পক্ষে কোম্পানির পরিচালক কিয়োটাকা মিয়াহারা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার অর্থায়নে ‘প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দুই লাখ আবাসিক গ্রাহকদের এই অত্যাধুনিক সুবিধা দেয়া হবে। আগামী মে হতে গুলশান, বনানী, বারিধারা, বসুন্ধরা, বাড্ডা, খিলক্ষেত, ক্যান্টনমেন্ট, মিরপুর, উত্তরা ও তৎসংলগ্ন এলাকাসমূহে ওই কার্যক্রম শুরু হবে।-বিজ্ঞপ্তি
×