ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জনগণ সহযোগিতা না করলে জঙ্গী নির্মূল সম্ভব নয় ॥ নৌমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ১৭ মার্চ ২০১৭

জনগণ সহযোগিতা না করলে জঙ্গী  নির্মূল সম্ভব নয় ॥ নৌমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ১৬ মার্চ ॥ নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, সাধারণ জনগণ সহযোগিতা না করলে পুলিশের একার পক্ষে জঙ্গী নির্মূল সম্ভব নয়। জঙ্গীদের মূল উদ্দেশ্য হলো ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে কিছু সরল যুবককে সংগঠিত করে মানুষ হত্যা, সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং দেশের অর্থনীতিকে বিনষ্ট করা। জঙ্গীরা যে ছক এঁকেছে তা কিছুতেই সরকার বাস্তবায়ন করতে দেবে না। পুলিশ জীবন বাজি রেখে জঙ্গীদের মোকাবেলা করছে। সকলের সহযোগিতায় দেশের জঙ্গীদের প্রতিহত করতে শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছে সরকার। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুর পুলিশ লাইনস্ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিয়াজউদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল উদ্দিন বিশ^াস, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খান, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ প্রমুখ। যশোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন ১৬ এপ্রিল স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আগামী ১৬ এপ্রিল ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ মার্চ, মনোনয়নপত্র বাছাই ২২ মার্চ, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৯ মার্চ, প্রতীক বরাদ্দ ৩০ মার্চ। গত ১৪ মার্চ তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ হাদিউজ্জামান বার্ধক্যজনিতকারণে মারা যাওয়ায় পদটি শূন্য হয়েছে। জেলা নির্বাচন অফিসার নাজমুল কবির জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৬-এর বিধি ২৭ অনুসারে তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে ৮ উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর, মেম্বারসহ ১হাজার ৩শ’ ৩৭ ভোটার রয়েছে। তবে ইউনিয়নের ৫টি ভোটার এলাকা শূন্য থাকায় ভোট দিতে পারবে না। চেয়ারম্যান পদে ১হাজার ৩শ’ ৩২জন ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। বাউফলে নির্যাতনের শিকার নববধূ বাবা-মার জিম্মায় নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ১৬ মার্চ ॥ গাজীপুর থেকে স্বামীর খোঁজে বাউফলে এসে পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার নববধূ ফাহিমা আক্তার হ্যাপিকে (২০) তার বাবা-মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাকে বাব-মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়। ওই দিনই তারা ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে বাউফল ত্যাগ করেন। বাউফল থানার ওসি আযম খান ফারুকী জানান, হ্যাপির বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কালিবাড়ি রোডের চর এলাকায়। তার বাবার নাম জামাল উদ্দিন, মায়ের নাম হালিমা খাতুন। তিনি গাজীপুরে একটি গার্মেন্টসে চাকরি করার সময় পটুয়াখালীর কমলাপুর ইউনিয়নের ভায়লা গ্রামের আবদুল হক সিকদারের ছেলে আল-আমিনের প্রেমে পড়েন এবং গত ২ মার্চ তারা বিয়ে করেন এবং ৫ মার্চ আল-আমিন বিশেষ কাজের কথা বলে বাড়ি চলে আসেন। এর পর তিনি স্ত্রী হ্যাপির সাথে আর যোগাযোগ রাখেননি । গত ১৩ মার্চ হ্যাপি স্বামীর খোঁজে পটুয়াখালী আসেন। এ খবর পেয়ে স্বামী আল-আমিন ও তার ভগ্নিপতি লিটন আকন হ্যাপিকে পটুয়াখালী থেকে ভায়লা গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাউফলের আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকায় ভগ্নিপতি লিটনের বাসায় নিয়ে আসেন এবং সেখানে বসে তার কাছ থেকে তালাক নেয়ার চেষ্টা করেন। এতে হ্যাপি রাজি না হওয়ায় তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। বেড়ায় সংঘর্ষ ॥ আহত ৩৫ সংবাদদাতা, বেড়া, পাবনা, ১৬ মার্চ ॥ আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১৫ জন আহতসহ ৫/৬ টি বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে চাকলা ইউনিয়নের বাগজান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ইউপি নির্বাচনে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ও স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাগজান গ্রামের মোল্লা গ্রুপ ও প্রামাণিক গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে মাঠে কাজ করতে থাকা প্রামাণিক গ্রুপের শাহীনুর ও তোতামকে মোল্লা গ্রুপের লোকজন মারপিট করলে প্রামাণিক গ্রুপ খবর পেয়ে লাঠি, রামদা ও দেশী অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করেন। এ সময় দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয় গ্রুপের ১৫ জন আহত হন।
×