নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ১৬ মার্চ ॥ নালিতাবাড়ীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অনশনের টানা ৬ দিন পরও কোন সুরাহা পায়নি সনাতন ধর্মের সেই যুবতী। উল্টো ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে যুবতী ও তার পরিবারকে। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশসহ এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হলেও টনক নড়েনি স্থানীয় প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর। অভিযোগ উঠেছে, প্রতারক প্রেমিক পুলিশ হওয়ার কারণেই পরিবারের পক্ষে প্রভাবশালী মহলের তদবিরের কারণেই বিষয়টি নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, পূর্ব পরিচিতির সুবাদে প্রায় ৩ বছর যাবত নালিতাবাড়ীর নন্নী পশ্চিমপাড়া এলাকার হরি চন্দ্র বর্মন মাস্টারের ছেলে মানহুর প্রসাদ বর্মন রাজীবের (২৬) সঙ্গে সম্পর্ক চলে আসছিল শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল এলাকার দরিদ্র পরিবারের ওই যুবতীর (২০)। সম্পর্কের সূত্রে প্রেমিকা যুবতীর বাড়িতে যাতায়াতও ছিল রাজীবের। কিন্তু ঘর বাঁধতে তার ভেতর ছিল টালবাহানা। এরই মধ্যে রাজীব অন্য এক যুবতীকে বিয়ে করছে এমন সংবাদে গত শনিবার বিকেল ৪টার দিকে বড়ভাইসহ কয়েকজনকে নিয়ে রাজীবের বাড়িতে উঠে। ওইসময় সম্পর্কের পূর্বাপর অবস্থা পিতা-মাতাকে অবহিত করার পর পরই রাজীব বাড়ি ছাড়ে। এরপর নানা হুমকির পরও ওই প্রতারিত যুবতী ওই বাড়িতেই অনশন শুরু করে। অন্যদিকে প্রেমিকাকে স্বীকৃতি না দিয়ে তাকে উপেক্ষা করে ঝিনাইগাতী সদরের সুস্মিতা নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে ওই বাড়িতে আশ্রয় নেয় প্রতারক প্রেমিক রাজীব। বিষয়টি প্রতারিত যুবতীর পরিবারের বড়ভাই থানা পুলিশকে জানানোর পরও কোন সুরাহা না পেয়ে মহিলা পরিষদকে অবহিত করে। এরপর মঙ্গলবার জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লুৎফুন নাহারের নেতৃত্বে একটি দল ওই এলাকা পরিদর্শন করে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: