ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সামিট পাওয়ার ও স্টক এক্সচেঞ্জের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সতর্ক করল কমিশন

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ১৭ মার্চ ২০১৭

সামিট পাওয়ার ও স্টক এক্সচেঞ্জের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সতর্ক করল কমিশন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আইন ভঙ্গের দায়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট পাওয়ারকে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি। একইসঙ্গে কমিশন সামিট পাওয়ারের একীভূতকরণ বিষয়ে উভয় স্টক একচেঞ্জের শীর্ষ আট কর্মকর্তাকেও সতর্ক করেছে। কমিশন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানিয়েছে, কোম্পানিটি সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস ১৯৮৭- এর রুল ১২ (২) অনুযায়ী হিসাব প্রস্তুত করেনি। ২০০০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি দেয়া কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী কোম্পানিটি মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ করেনি। কোম্পানিটি এ্যামালগামেশনের আগে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন না করে তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯-এর সেকশন ১৮ লঙ্ঘন করেছে। সূত্র আরও জানিয়েছে, রেকর্ড ডেট প্রদান না করার মাধ্যমে কোম্পানিটি ডিপজিটরি প্রবিধানমালা ২০০৩-এর প্রবিধান ৪৬(২) ও (৩) লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া কোম্পানিটি হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে পরিপালন করেনি। অন্যদিকে সামিট ইস্যুতে উভয় স্টক একচেঞ্জ ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে পারেনি বলে মনে করে কমিশন। সতর্কবার্তা পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন দুই স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা, তালিকাভুক্তি বিভাগের প্রধান ও হেড অব মার্কেট অপারেশন। কমিশন বৈঠকের সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, একই সঙ্গে আগামীতে এ ধরনের কোন ইস্যু থাকলে আরও অধিকতর সাবধানতা অবলম্বন করে কার্যক্রম পরিচালনা করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে পর্ষদকে। প্রসঙ্গত, সামিট পাওয়ারের সঙ্গে এ গ্রুপের তিন কোম্পানি একীভূতকরণ ইস্যুকে কেন্দ্র করে গত বছরই সৃষ্টি হয় জটিলতা। ওই সময় বিএসইসির অভিযোগ ছিল, কোম্পানিটি একীভূতকরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধিবিধান সঠিকভাবে অনুসরণ করেনি। বিশেষ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে কোম্পানিটি মূলধন বাড়ানোর অনুমতি নেয়নি। বিএসইসি সূত্র মতে, এই ইস্যুতে ডিএসই ও সিএসই সিকিউরিটিজ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর ধারা ৯(৫); ডিপজিটরি (ব্যবহারিক) প্রবিধানমালা, ২০০৩-এর প্রবিধান ৪৬(২) ও (৩); লিস্টিং রেগুলেশনের ধারা ৫১ ও ৫২ এবং ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩-এর ধারা ১৯ ভঙ্গ করেছে।
×