ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে ॥ মুহিত

প্রকাশিত: ০৮:০৮, ১৬ মার্চ ২০১৭

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে ॥ মুহিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আমাদের সন্তানদের বীরত্বের কাহিনী, আমাদের বন্ধুরা কীভাবে সাহায্য করেছে, সেই কাহিনী, ভারত একাত্তরে আমাদের ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, প্রশিক্ষণ দিয়েছে- এগুলো বলতে হবে। এতে লজ্জার কিছু নাই। সব দেশই স্বাধীনতার সময় প্রয়োজনে বন্ধুদের সহযোগিতা নিয়েছে। বুধবার জাতীয় জাদুঘরে মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। ভারত সরকারের মুক্তিযোদ্ধা স্কলারশিপ স্কিমের আওতায় ঢাকা অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই চেক প্রদান করা হয়। ভারতীয় হাইকমিশন ও মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বাঙালীর জীবনে মার্চ মাসের গুরুত্ব তুলে ধরেন। একাত্তরে তিনিও পাকিস্তানের আনুগত্য ছেড়ে বাংলাদেশের পক্ষে নেমেছিলেন। মুহিত বলেন, এই মাসজুড়েই ছিল সাসপেনশন, ইনথুসিয়াজম। এই মাসেই আমাদের ওপর পাকিস্তানীরা আক্রমণ করে। আমরা মনে করেছিলাম, আলোচনাতেই সমস্যা সমাধান হবে। কিন্তু এর মাঝেই তারা আক্রমণ করে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানানোর ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, সবচেয়ে কম বয়সী মুক্তিযোদ্ধার বয়সও ৫৫ হবে। শীঘ্রই তারা সবাই পৃথিবী থেকে বিদায় নেবেন। অনেকে নিয়েছেন। এখন কাজ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়া। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ইংরেজীতে বক্তব্য দিলেও এই অনুষ্ঠানে পুরো বক্তব্য দেন বাংলায়। তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশের মুক্তির জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় সেনা একসাথে রক্ত দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্কের বীজ বপন করেছিলেন। বর্তমানে বঙ্গন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এই সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আশা করছি, আমাদের এই সম্পর্ক চিরদিন অবিচ্ছেদ্য থাকবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাতে ভারতের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে শ্রিংলা বলেন, ১০ হাজার ছাত্রছাত্রী ১৫ কোটি টাকা মূল্যমানের এই বৃত্তি পেয়েছে। এ বছর পেয়েছে ছয় শ’ শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবিএম তাজুল ইসলাম, কাজী রোজী, মেহজাবিন খালেদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হেলাল মোর্শেদ খান উপস্থিত ছিলেন।
×