ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১৬ মার্চ ২০১৭

নবম-দশম শ্রেণির পড়াশোনা

Blessed with SHAH MD.IDRIS ALI & HAMIDA ALI C/O Md. Sofiul Haq Khandakar (Shohag) M.Sc. (First Class 1st), B.Sc. (First Class 9th) Achieved: Best Teacher Award, Lecturer in Zoology, Arambagh High School & College, Arambagh, Motijheel, Dhaka -1000. Mob: 01717-293619 e-mail: [email protected] দ্বিতীয় অধ্যায়: জীবকোষ ও টিস্যু সুপ্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল। ইতোপূর্বে তোমরা প্রাণিটিস্যু (অহরসধষ ঞরংংঁব)র মধ্যে আবরণী টিস্যু ও যোজক টিস্যু সম্পর্কে জেনেছো। আজকের আলোচনা : প্রাণিটিস্যুর মধ্যে পেশি টিস্যু (গঁংপঁষধৎ ঞরংংঁব) ও ¯œায়ু টিস্যু (ঘবৎাব ঞরংংঁব) প্রাণিটিস্যুর প্রকারভেদ (ঞুঢ়বং ড়ভ অহরসধষ ঞরংংঁব): ৩. পেশি টিস্যু (গঁংপঁষধৎ ঞরংংঁব): ভ্রুণের মেসোডার্ম থেকে তৈরি সংকোচন প্রসারণশীল বিশেষ ধরনের টিস্যুকে পেশি টিস্যু বলে। এদের মাতৃকা প্রায় অনুপস্থিত। পেশি কোষগুলো সরু, লম্বা ও তন্তুময়। পেশি কোষ সংকোচন ও প্রসারণের মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ সঞ্চালন, চলন ও অভ্যন্তরীণ পরিবহন ঘটে। অবস্থান, গঠন এবং কাজের ভিত্তিতে পেশি টিস্যু তিন ধরনের, যথা ঐচ্ছিক পেশি, অনৈচ্ছিক পেশি ও হ্রুদ পেশি। ঐচ্ছিক পেশি (ঠড়ষঁহঃধৎু গঁংপষব): যেসব তন্তুতে আড়াআড়ি ডোরা কাটা থাকে তাদের ডোরাকাটা পেশি (ঝঃৎরধঃবফ সঁংপষব) বা ঐচ্ছিক পেশি (াড়ষঁহঃধৎু) বলে। বৈশিষ্ট্য: ঐচ্ছিক পেশি ট্যিসুর কোষগুলো নলাকার, শাখাবিহীন ও আড়াআড়ি ডোরাযুক্ত হয়। এদের সাধারণত একাধিক নিউক্লিয়াাস থাকে। চিত্র ২.২২ : ঐচ্ছিক পেশি অবস্থান: ঐচ্ছিক পেশি অস্থিতন্ত্রে সংলগ্ন থাকে। উদাহরণ-মানুষের পায়ের পেশি। কাজ: ঐচ্ছিক পেশি (াড়ষঁহঃধৎু) বা ডোরাকাটা পেশি প্রাণীর ইচ্ছানুযায়ী সংকুচিত বা প্রসারিত হয়। এই পেশি দ্রুত সংকোচিত ও প্রসারিত হতে পারে। অনৈচ্ছিক পেশি (ওহাড়ষঁহঃধৎু গঁংপষব): যেসব তন্তু ডোরবিহীন তাদের মসৃণপেশি (ঝসড়ড়ঃয সঁংপষব) বা অনৈচ্ছিক পেশি (ওহাড়ষঁহঃধৎু সঁংপষব) বলে। বৈশিষ্ট্য: অনৈচ্ছিক পেশি (ওহাড়ষঁহঃধৎু সঁংপষব) বা মসৃণ পেশির কোষগুলো মাকু আকৃতির। এদের গায়ে আড়াআড়ি দাগ থাকে না। এজন্য এ পেশিকে মসৃণ পেশি বলে। চিত্র ২.২২ : অনৈচ্ছিক পেশি অবস্থান: এ পেশি মেরুদন্ডী প্রাণিদের রক্তনালি, পৌষ্টিকনালী ইত্যাদির প্রাচীরে অনৈচ্ছিক পেশি থাকে। কাজ: অনৈচ্ছিক পেশি (ওহাড়ষঁহঃধৎু সঁংপষব) বা মসৃণ পেশি টিস্যুর সংকোচন ও প্রসারণ প্রাণীর ইচ্ছাধীন নয়। অনৈচ্ছিক পেশি প্রধানত দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গাদির সঞ্চালনে অংশ নেয়। যেমন খাদ্য হজম প্রক্রিয়ায় অন্ত্রের কর্মসংকোচন। হৃদপেশি (ঈধৎফরধপ গঁংপষব): কার্ডিয়াক পেশি বা হৃৎদপেশি (ঈধৎফরধপ সঁংপষব) মেরুদ-ী প্রাণিদের হৃৎপিন্ডের এক বিশেষ ধরনের অনৈচ্ছিক পেশি। বৈশিষ্ট্য: এই টিস্যুর কোষগুলো নলাকৃতি (অনেকটা ঐচ্ছিক পেশির মতো) শাখান্বিত ও আড়াআড়ি দাগযুক্ত। এ টিস্যুর কোষগুলোর মধ্যে ইন্টারক্যালাটেড ডিস্ক (ওহঃবৎপধষধঃবফ ফরংপ) থাকে। এদের সংকোচন ও প্রসারণ প্রাণীর ইচ্ছাধীন নয়। অর্থাৎ কর্ডিয়াক পেশি গঠন ঐচ্ছিক পেশির মতো হলেও কাজ অনৈচ্ছিক পেশির মতো। কার্ডিয়াক পেশির কোষগুলো শাখার মাধ্যমে পরস্পর যুক্ত থাকে। চিত্র ২.২২ : হৃদপেশি অবস্খন: মেরুদ-ী প্রাণিদের হৃৎপিন্ডের পেশি । কাজ: হৃৎপিন্ডের সব কার্ডিয়াক পেশি সমন্বিতভাবে সংকুচিত ও প্রসারিত হয়। মানব ভ্রুণ সৃষ্টির একটা বিশেষ পর্যায় থেকে মৃত্যুর পূব র্মুহূর্ত পর্যন্ত হৃৎপিন্ডের কার্ডিয়াক পেশি একটা নির্দিষ্ট গতিতে সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে দেহের মধ্যে রক্তচলাচলের প্রক্রিয়া সচল রাখে। ৮. ¯œায়ু টিস্যু (ঘবৎাব ঞরংংঁব): বৈশিষ্ট্য: দেহের বিশেষ সংবেদী কোষ নিউরন বা স্নায়ূকোষগুলো একত্রে স্নায়ূ টিস্যু গঠন করে। স্নায়ূ টিস্যু অসংখ্য নিউরন দিয়ে গঠিত। এর গঠন সম্পর্কে তোমরা দশম অধ্যায়ে জানতে পারবে। গঠন: একটি আদর্শ নিউরনের তিনটি অংশ থাকে, যথা অ্যাক্সন, ডেনড্রাইট ও কোষদেহ। নিউরন কোষদেহ বহুভুজাকৃতি এবং নিউক্লিয়াসযুক্ত। কোষের সাইটোপ্লাজমে থাকে, তবে নিউরণের সাইটোপ্লাজমে সক্রিয় সেন্ট্রিওল থাকে না বলে নিউরন বিভাজিত হয় না। নিউরনের কোষদেহ থেকে একটি লম্বা স্নায়ুতন্তু নিউরনের ডেনড্রাইটের সাথে যুক্ত থাকে তাকে অ্যাক্সন বলে। একটি নিউরনের একটি মাত্র অ্যাক্সন থাকে। পরপর দুটি নিউরনে প্রথমটির অ্যাক্সন এবং পরেরটির ডেনড্রাইটের মধ্যে একটি স্নায়ুসন্ধি গঠন হয় তাকে সিনাপস (ঝুহধঢ়ং) বলে। সিনাপস এর মধ্য দিয়েই একটি নিউরন থেকে উদ্দীপনা পরবর্তী নিউরনে পরিবাহিত হয়। কাজ: স্নায়ু টিস্যু পরিবেশ থেকে উদ্দীপনা যেমন তাপ, স্পর্শ, চাপ ইত্যাদি গ্রহণ করে দেহের ভিতরে মস্তিষ্কে পরিবাহিত করে এবং মস্তিষ্কের বিশ্লেষণের পর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপযুক্ত কাজ করে থাকে। স্নায়ু টিস্যু উদ্দীপনা গ্রহণ করে মস্তিষ্কে পরিবাহিত হয় এবং তাতে সাড়া দেয়। উচ্চতর প্রাণীতে স্নায়ু টিস্যু মস্তিষ্কে স্মৃতি সংরক্ষণ (গবসড়ৎরংব) করা সহ দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কাজ নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে। (পরবর্তীতে অঙ্গ ও তন্ত্র নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।)
×