ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ওয়াহিদুল হকের জন্মদিন আজ

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ১৬ মার্চ ২০১৭

ওয়াহিদুল হকের জন্মদিন আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ লেখক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সঙ্গীতজ্ঞ ওয়াহিদুল হকের ৮৪ তম জন্মদিন আজ বৃহস্পতিবার। তিনি ১৯৩৩ সালের এই দিনে (১৬ মার্চ) ঢাকা জেলার ভাওয়াল মনহরদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে ‘আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া’ শিরোনামে নালন্দার উৎসব শুরু হচ্ছে ছায়ানটে আজ বিকাল চারটায়। জানা যায়, উৎসব প্রদর্শনী হবে ১৮, ২১ ও ২২ মার্চ বিকাল চারটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত। এবং ১৯ ও ২০ মার্চ বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত ছায়ানট ভবনের তৃতীয় ও চতুর্থ তলায়। মঞ্চ পরিবেশনা হবে ১৯ ও ২০ মার্চ ছায়ানট মিলনায়তনে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। এদিকে ওয়াহিদুল হকের জন্মদিনকে ঘিরে কণ্ঠশীলন আজ আয়োজন করেছে ‘ওয়াহিদুল হক জয়ন্তী ও অভিজ্ঞানপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান’। শাহবাগের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশনার পাশাপাশি শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তি শিক্ষার পঞ্চাশীতিতম, ষড়শীতিতম, সপ্তাশীতিতম আবর্তন উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞানপত্র বিতরণ করা হবে। অনুষ্ঠানে প্রদায়ক গুণি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কবি ড. মুহম্মদ সামাদ। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে কণ্ঠশীলন আবৃত্তি প্রযোজনা ‘আমার জন্মভূমি’ পরিবেশিত হবে। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখা থেকে প্রযোজনাটির গ্রন্থনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন ইলা রহমান। ওয়াহিদুল হক ২০০৭ সালের ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চকিৎিসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ওয়াহিদুল হকের পেশা ছিল সাংবাদিকতা। শেষ জীবনে ‘অভয় বাজে হৃদয় মাঝে’ ও ‘এখনও গলে না আঁধার’ শিরোনামে নিয়মিত কলাম লিখেছেন দৈনিক জনকণ্ঠ ও দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকায়। পেশায় সাংবাদিক হলেও তাঁর আসল কর্মক্ষত্র ছিল সংস্কৃতি অঙ্গন। তিনি ছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীতজ্ঞ ও বাঙালি সংস্কৃতির একনিষ্ঠ প্রচারক। ১৯৬১ থেেক ১৯৭১ সাল পর্যন্ত ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ১৯৯৯ সাল থেকে আমৃত্যু সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের কর্যকরী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সহ-সভাপতি এবং ১৯৯৯ সাল থেকে আমৃত্যু সভাপতি ছিলেন। তিনি আবৃত্তি সংগঠন ‘কণ্ঠশীলন’ ও শিশু আবৃত্তি সংগঠন ‘শিশুতীর্থ’র প্রতিষ্ঠাতাসহ অনেক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁকে সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৮ সালে(মরনোত্তর) একুশে পদক প্রদান করা হয়। তিনি ২০০০ সালে বাংলা একাডেমি সম্মানসূচক ফেলোশীপ পান। সংস্কৃতিতে অসামান্য অবদান রাখায় তাঁকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১০’(মরণোত্তর) প্রদান করা হয়।
×