ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এগারো দিনব্যাপী শিশু একাডেমি বইমেলা আজ শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ১৬ মার্চ ২০১৭

এগারো দিনব্যাপী শিশু একাডেমি বইমেলা আজ শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ শিশু একাডেমি বইমেলা ২০১৭’ শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। সপ্তমবারের মতো শিশু একাডেমি আয়োজিত এ বইমেলায় অংশ নিচ্ছে দেশের ৫০টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। একাডেমি প্রাঙ্গণে বেলা ১১টায় ১১ দিনব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করবেন মহিলা ও শিশু প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম ও শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবাল। সভাপতিত্ব করবেন শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। বইমেলা উপলক্ষে একাডেমির সভাকক্ষে বুধবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলন হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন, শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, পরিচালক আনজীর লিটন, উপ-পরিচালক নাসির উদ-দৌলা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন বলেন, শিশুদের সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি। শিশুদের মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশ সাধনের লক্ষে দেশের ৬৪টি জেলা এবং ৬টি উপজেলায় কর্যক্রম চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় শিশুদের বই পাঠে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয় এ বইমেলা। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় বইয়ের কোন বিকল্প নেই। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কোমলমতি শিশু-কিশোরদের বই পাঠের প্রতি আগ্রহী করার লক্ষ্যে আমাদের এ মেলার আয়োজন। দেশের বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান শিশু-কিশোরদের উপযোগী বই নিয়ে মেলায় অংশ নিচ্ছে। শিশুতোষ বইয়ের পাশাপাশি ইতিহাস, ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বইও থাকবে। বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। মেলায় কোন রকমের পাইরেটেড বই বিক্রি করতে দেয়া হবে না। মেলা উপলক্ষে বুলেটিন প্রকাশ করা হবে। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত এবং ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন একাডেমির শহীদ মতিউর মুক্তমঞ্চে থাকবে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে অংশ নেবেন দেশের বরেণ্য কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ শিল্প সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ। শিশু একাডেমিসহ ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিশু সংগঠন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবে। ‘শোক থেকে শক্তি : অদম্য পদযাত্রা’ ২৬ মার্চ ॥ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত পদযাত্রা শুরু হবে ২৬ মার্চ। ‘শোক থেকে শক্তি : অদম্য পদযাত্রা’ শিরোনামের এ আয়োজন করেছে যৌথভাবে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও অভিযাত্রী। এ উপলক্ষে সেগুন বাগিচার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে এক সংবাদ সম্মেলন হয় বুধবার দুপুরে। এতে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক, পর্বতারোহী নিশাত মজুমদার, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি জিয়া উদ্দিন তারিক আলী, পাখি বিশারদ ইনাম আল হক প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের লক্ষ্যে ‘অভিযাত্রী’ নামের একটি দল গত চার বছর ধরে শহীদ মিনার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত পদযাত্রা করে আসছে। এই পায়ে হাঁটা কর্মসূচীতে ২০১৬ সালে যুক্ত হয়েছিল এক নবতর মাত্রা, সেবার পদযাত্রাটি নিবেদিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও এই পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২৬ মার্চ ভোর ৫টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হতে হাঁটা শুরু করে পদযাত্রী দল সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করবে। সেখানে স্বাধীনতা স্মারক শিখা-চিরন্তন প্রদক্ষিণ করে যাবে মোহাম্মদপুর শারীরিক শিক্ষা কলেজে। নীরবে খানিকটা সময় দাঁড়িয়ে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মৃতি স্মারক উন্মোচন করে অভিযাত্রী দল হাঁটতে থাকবে বধ্যভূমির উদ্দেশে। সেখানে পুষ্পিত ভালবাসা অর্পণ করে নিকটবর্তী বছিলা ব্রিজের নিচে অপেক্ষমাণ নৌকায় করে বুড়িগঙ্গা অতিক্রম করবে। তুরাগ নদীর বাঁকে বাঁকে ধান ক্ষেতের ফাঁকে ফাঁকে স্মৃতি জাগানিয়া বুড়ো হিজলের পাশ দিয়ে যেতে যেতে দুপুর না গড়াতেই পদযাত্রী দল পৌঁছে যাবে সাদুল্ল্যাপুরের শতবর্ষী বটমূলে-দেশমাতার স্নেহ মায়াময় আঁচলতলে। এরপর পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিকামী বাঙালীর সম্মুখ যুদ্ধের স্মৃতিঘেরা কলমা গ্রামের ছায়াময় মেঠোপথ ধরে পদযাত্রী দল সাভার ডেইরি ফার্ম পেরিয়ে চলে যাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের দিকে। বিশ^বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ঢোকার আগে ডেইরি ফার্ম গেটে শহীদ টিটোর সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে জানাবে বিনম্র শ্রদ্ধা। গেট পেরোলেই গোকুলনগর গ্রামের মেঠোপথ। এই পথে খানিক চলতে চলতে চকিতে দৃষ্টিপথে জেগে উঠবে শক্তির সেই উজ্জ্বল শিখর: জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সংবাদ সম্মেলনে জাননো হয়, পদযাত্রায় যারা প্রাক-নিবন্ধন করতে আগ্রহী তারা সেগুনবাগিচাস্থ’ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কার্যালয় অথবা ফেসবুকের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবে। পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারী এক মাইল হাঁটা পদযাত্রীদের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর কর্তৃক স্মারক সনদ প্রদান করা হবে এবং যে কেউ দুইশত টাকা শুভেচ্ছা মূল্য দিয়ে স্মারক পোলো-শার্ট সংগ্রহ করতে পারবে। বিস্তারিত জানতে ও প্রাক-নিবন্ধন করতে : ০১৮১৪৭৯২৬২৫ ও ০১৭১২৪৭৯৫১০ নাম্বারে ফোন, facebook.com/walkamileforlwmA_evfacebook.com/ovijaatri.eco যোগাযোগ করা যাবে। ‘কাঙ্গাল কবীর পথনাট্যোৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান’ শুরু হচ্ছে আজ ॥ ‘এক কাতারে সবাই মুক্তির পথে যাত্রা করি শুরু’ সেøাগানে ‘কাঙ্গাল কবীর ষষ্ঠ পথনাট্যোৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সিরাজউদ্দীন খান স্মরণে তিনদিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করেছে খেয়ালী নাট্যগোষ্ঠী। ঢাকার মুরাদপুর সমীরণ নেসা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিকেল ৪টায় তিনদিনব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধন করবেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। সভাপতিত্ব করবেন খেয়ালী নাট্যগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা এ কে এ কবীর। দ্বিতীয়দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। অতিথি থাকবেন ঝুনা চৌধুরী, আকতারুজ্জামান, আহাম্মেদ গিয়াস, মীর জাহিদ, খোরশেদুল আলম, মোঃ ফারুক হোসেন। উৎসবে পথনাটক পরিবেশন করবে চন্দ্রকলা থিয়েটার, খেয়ালী নাট্যগোষ্ঠী, রঙ্গপীঠ, নাট্যদল (টিএসসি), অবয়ব নাট্যদল, সংলাপ গ্রুপ থিয়েটার, নাট্যতীর্থ, মৈত্রী থিয়েটার ও বাংলা নাট্যদল।
×